PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT HARYANA:-
→ এই রাজ্যটি আসলে পঞ্চনদের দেশ পাঞ্জাবেরই অংশ। হরিয়ানা শব্দের অর্থ হল দেবলোক। কথিত আছে যে, এক সময়ে পাঞ্জাবের এই অঞ্চলে দেবতারা বাস করতেন। মহাভারত মহাকাব্যের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধও হয়েছিল এখানে। এখানকার মানুষদের বলা হয় হরিয়ানভি ( Haryanvi )। এরা যুদ্ধবিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী। ১৯৬৬ সালের ১লা নভেম্বর পাঞ্জাবের হিন্দিভাষী অঞ্চলই পরিনতি পেল এই নতুন রাজ্য হিসেবে। সেরকম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলের সংখ্যা খুবই কম হলেও এখানকার সরকার পর্যটনশিল্প নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রচুর ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স ( Tourist Complex ), হোটেল, ধাবায় ইত্যাদি। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার এগুলোর নামকরণ হয়েছে দেশি-বিদেশি নানা পাখির নামে। এর পিছনের কারণটি হ'ল, সারা রাজ্যজুড়ে বছরভর দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির সুন্দর সুন্দর পাখি উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৈশাখী উৎসব খুব জমকালো করে হয়। তখন দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা এই উৎসব দেখতে ভিড় করেন। কৃষি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনে ভারতের মধ্যে এক অন্যতম স্থান দখল করে আছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকেও পাঞ্জাবের পরেই এই রাজ্যের স্থান।
এর রাজধানী চন্ডীগড় ( Capital City is Chandigarh )। আয়তন ( Total Area ) হলো ৪৪২১২ বর্গ কি. মি. ( ১৭০৭০ বর্গ মাইল )। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ২৫৩৫৩০৭৫ জন। জনঘনত্ব ( Population Density ) হলো প্রতি বর্গ কি. মি. তে ৫৭৩ জন। সবচেয়ে বড়ো শহর হ'ল ফরিদাবাদ ( Faridabad )। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ৮৭৭ জন ( Sex Ratio of Male and Female )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৭৬.৬৪%। প্রধান ভাষা ( Main Official Languages ) হ'ল হিন্দি, পাঞ্জাবি এবং ইংরেজি। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Per Head / Per Capita Average Yearly Income ) ২২৬৬৫০ টাকা।
WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE. AVERAGE WEATHER OR CLIMATE:-
অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত সময়ই হলো এখানে বেড়াতে আসার সঠিক সময়। কারণ, এই সময় পরিবেশ থাকে মনোরম এবং আবহাওয়া থাকে শীতল। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কখনো সখনও অল্প বৃষ্টি হয়। মে-জুন মাসে অত্যাধিক গরম পড়ে। ৪৬° সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রা উঠে যায়। আর জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হল বর্ষাকাল। দিল্লি ও এখানকার তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া অনেকটা একই রকম।
Haryana Government Official Website - http://www.haryana.gov.in
Tourism Department - http://www.haryanatourism.gov.in
মোট ২২ টি জেলা আছে ( Total Number of Districts is 22 )। আর সেগুলো হলো - (i) আম্বালা ( Ambala ), (ii) ভিবানি ( Bhiwani ), (iii) চরখি দাদরি ( Charkhi Dadri ), (iv) ফরিদাবাদ ( Faridabad ), (v) ফতেহাবাদ ( Fatehabad ), (vi) গুরুগ্রাম ( Gurugram ), (vii) হিসার ( Hisar ), (viii) ঝাজ্জর ( Jhajjar ), (ix) জিন্দ ( Jind ), (x) কাইথাল ( Kaithal ), (xi) কারনাল ( Karnal ), (xii) কুরুক্ষেত্র ( Kurukshetra ), (xiii) মহেন্দ্রগড় ( Mahendragarh ), (xiv) নুহ্ ( Nuh ), (xv) পালওয়াল ( Palwal ), (xvi) পাঁচকুলা ( Panchkula ), (xvii) পানিপথ ( Panipat ), (xviii) রেওয়ারী ( Rewari ), (xix) রোহটাক ( Rohtak ), (xx) সিরসা ( Sirsa ), (xxi) সোনিপাত ( Sonipat ), (xxii) যমুনানগর ( Yamunanagar )।
IMPORTANT OFFICE ADDRESSES, CONTACT TELEPHONE NUMBERS FOR EMERGENCY ENQUIRIES WHEN YOU ARE TRAVELLING DIFFERENT PLACES IN / ESSENTIAL ADDRESSES OF GOVT. TOURISM OFFICES, TRAVEL AGENCIES FOR ALL TOURISTS:-
কনডাক্টেড ট্যুরের জন্য যোগাযোগ করুন ( Contact For Conducted Tour Programmes ) -
Haryana Tourism, 17-19, Sector 17-B, Chandigarh - 160017, Tel - 0172 2702955 7; অথবা Chanderlok Building, 36 Janpath, New Delhi - 110001, Tel - 23324910 - 11.
ALL TOTAL LIST OF 11 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(1) Baisakhi at Pinjore, (2) Festivals and Events in Gurgaon, (3) Haryana Day, (4) Kurukshetra Festival, (5) Mahabharata Festival, (6) Mango Mela, (7) Sahna Car Rally, (8) Surajkund Crafts Mela, (9) Kartik Cultural Festival in Gurgaon, (10) Pinjore Heritage Festival, (11) International Gita Mahotsava.
কলকাতায় হরিয়ানা ট্যুরিজমের বুকিং এজেন্ট হলো - (১) Diamond Tours & Travels, 30, Jadunath Dey Road, 2nd Floor, Kolkata - 700012, Tel- 22259639; (২) Himalchura Travels & Tours, P-263, C. I. T. Road, Kol- 700010, Tel- 23708004.
[ TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN HARYANA, INDIA WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS. ]
চন্ডীগড় ( Chandigarh ) - এই রাজধানী শহরের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে ক্লিক করুন 👉পাঞ্জাব ও হরিয়ানার রাজধানী চণ্ডীগড়ের সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
যাদবীন্দ্র উদ্যান, পিঞ্জোর ( Yadavindra Gardens, Pinjore, Ambala-Shimla Highway, Pinjore, Haryana - 134102 ) - চন্ডীগড় থেকে ২২ কি. মি. দূরে আম্বালা-শিমলা হাইওয়ের উপর শিবালিক পর্বতের পাদদেশে ভারতের প্রাচীনতম উদ্যান পিঞ্জোর অবস্থিত। আবার CITCO ও হরিয়ানা ট্যুরিজমের প্যাকেজ ট্যুরে এই সুন্দর জায়গাটি ঘুরে নিতে পারেন। আম্বালার দূরত্ব ৫৬ কি. মি.। পাঞ্জাবের নবাব ফিডাই খানের হাতে ১৭ শতকে ৭ ধাপে এই বাগিচাটি রূপ পেয়েছে। বেগম সাহিবার জন্য তিনি ৩ টি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে পাতিয়ালার প্রাক্তন মহারাজা যাদবীন্দ্র সিং -এর নাম অনুসারে এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন হয়। পরবর্তী পাতিয়ালা রাজাদের হাতেও এর প্রসার ঘটে। ধাপে ধাপে নীচে নামা, মোগল ও রাজস্থানি শৈলীর শিশমহল, তার ঠিক নীচে রংমহল, জলমহল, সুুন্দর ঝরনা, মিনি চিড়িয়াখানা, ভোঁদড় স্যাংচুয়ারি, পক্ষীশালা, শিশু উদ্যান সহ মনোরঞ্জনের নানা পসরা নিয়ে কিছুটা জাপানি ধাঁচ সহযোগে তৈরি এই পিঞ্জোর বাগিচাটি। এখানকার অবিস্মরণীয় ফোয়ারাটি কেবল রবিবারই দর্শন করা যায়। শোনা যায়, বনবাসের সময় পান্ডবরা এখানে কিছুকাল অবস্থান করেন। তাই নামটিও পঞ্চপাণ্ডব থেকে পঞ্চপুর বা পাঁচপুরা হয়ে পিঞ্জোর হয়ে থাকতে পারে। কাছের ভীমা দেবীর অতি প্রাচীন মন্দিরটিও দর্শন করে নিতে পারেন। মন্দিরটির ভাস্কর্য খুবই সুন্দর। পর্যটকেরা দেবতা ও সুন্দর স্থাপত্য - দুই দেখেই তৃপ্ত হন।
হরিয়ানার হিসার জেলার কুণাল গ্রামে খনন করে পরপর তিনটি পর্যায়ে প্রাক হরপ্পা যুগের অর্থাৎ ৫০০০ বছরেরও আগের সভ্যতার নিদর্শন মিলেছে। পাওয়া বস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে সিলমোহর, ২টি রৌপ্যমুকুট, গলার হার, বালা, বাজু ছাড়াও আরও অনেক কিছু। ভুনা শহর থেকে ১২ কি. মি. দূরে সরস্বতী নদীর বামতীরে ৩৩ একর জায়গা জুড়ে খনন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব দপ্তর। এই কাজ ১৯৮৬ সালে শুরু হয়ে এখনও চলছে। এটিও আপনার দ্রষ্টব্য তালিকাভুক্ত করে নিতে পারেন।
পিঞ্জোর থেকে ৩৫ কি. মি. দূরে হিমালয়ের পাদদেশে ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে চান্দেলা রাজাদের দূর্গনগরী ( Chandela Fort Nalagarh ) নলগড় ঘুরে আসতে পারেন। এই দূর্গ সংলগ্ন ২০ একর ব্যাপী রয়্যাল অর্চার্ডটিও আর এক দর্শনীয় স্থান। থাকার জন্য হিল টপে নলগড় ফোর্ট রিসর্ট রয়েছে (Tel :- 01795 - 223009 / 9816038433 )। পিঞ্জোর, চন্ডীগড়, আম্বালা এবং ৩০০ কিলোমিটার দূরের দিল্লি থেকে নলগড়ে নিয়মিত বাস আসছে।
মোরনী পাহাড় ( Morni Hills ) - চন্ডীগড় থেকে পিঞ্জোরের রাস্তায় ঠিক ৮ কি. মি. আগে পাঞ্চকুলা থেকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে ৩০ কিলোমিটার গেলেই ১১৩০ মিটার উঁচু মোরনী পাহাড়ে পৌঁছে যেতে পারবেন। এই জায়গাটি প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতার পীঠস্থান। পাইন-পিপল বৃক্ষে ছাওয়া, ফুলে ফলে ভরা, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত রমনীয় প্রকৃতির নৈসর্গিক শোভায় ভরপুর নিরিবিলি স্থান এটি। নানা ধরনের বন্য জীবজন্তুর দর্শনও পেয়ে যেতে পারেন। ছোট্ট ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা। বর্তমানে সরস্বতী নদী এখানে অন্ত:সলিলা। থাকার জন্য আছে Morni Resorts, Mountain Quail Resort [Tel :- 01733 250166].
কুরুক্ষেত্র ( Kurukshetra ) - হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাছে মহা পবিত্র তীর্থক্ষেত্র এই স্থান। আর্যদের সর্বপ্রাচীন ধর্মক্ষেত্র হলো এই কুরুক্ষেত্র। পুরাণ কালে কৌরব ও পান্ডবদের পিতৃপুরুষ রাজর্ষি কুরু এখানে তপস্যা করেন। তার পূর্বে এই জায়গার নাম ছিল সমন্তপঞ্চক। প্রচলিত আছে, মহাভারতের ১৮ দিন ব্যাপী মহাযুদ্ধ হয়েছিল ঠিক এইখানে। এই যুদ্ধে ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্য নিহত হন। স্বজন হত্যায় অর্জুন যখন আকুল হতাশ হয়ে পড়েন তখন এই প্রান্তরেই বিশ্বরূপ দর্শন করিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে নিষ্কাম কর্ম সম্পর্কে একটি ছোট ভাষণ দেন। যে ভাষণ পরে বাণীরূপে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় স্থান পায়। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হলো হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্র একটি ধর্মগ্রন্থ।স্মারকরূপে একটি সুন্দর উদ্যান রয়েছে। সূর্যগ্রহণ ও ফাল্গুন মাসের শুক্লা একাদশীতে বর্ণাঢ্য মেলা বসে। এখানেই আছে দ্বাপর যুগের দ্বৈপায়ন হ্রদ, যেটি এখন সূর্যকুন্ড নামে ভারতবিখ্যাত। কথিত আছে, আজকের এই সূর্যকুন্ড মহাতীর্থ স্নানে সহস্র অশ্বমেধ যঞ্জের পূণ্যপ্রাপ্তি হয়। সূর্যগ্রহণের সময় ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন পূণ্যস্নান করতে। হিন্দুদের বিশ্বাস যে, কুরুক্ষেত্রে মৃত্যু হলে আত্মার মোক্ষলাভ হয়। এখানকার ধূলিকণায় সর্বপাপ নাশ হয়। ১৩ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে ৩৬৫ টি হিন্দুতীর্থ আছে। শোনা যায় বুদ্ধদেবও নাকি এখানে এসেছিলেন। সরস্বতী নদীর জল আজ শুকিয়ে গেলেও একসময় এর উত্তর দিক দিয়ে বয়ে যেত। কুরুর খনন করা ব্রহ্মাসর হ্রদটিও ( Brahma Sarovar / Lake ) আর একটি পবিত্র স্থান। স্নান করলে পূণ্যলাভ হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। একে অনেকে Samantapanchaka বা Ramahrada-ও বলে থাকে। সরোবরের মাঝখানে সর্বেশ্বর মহাদেবের অর্থাৎ শিবের মন্দির হয়েছে। সেতুর সাহায্যে আসা যাওয়া করতে হয়। এই সরোবরের তীরে বিড়লা গীতা মন্দির নির্মিত হয়েছে। শীতকালে দূর-দূরান্ত থেকে পরিযায়ী পাখিরা এসে এই জলাশয়ের আশেপাশে বাসা বাঁধে। আর জলকেলি করে বেড়ায়। সে আর এক অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। অদূরে কুরুক্ষেত্র ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তৈরি করা শ্রীকৃষ্ণ মিউজিয়াম ( Sri Krishna Museum ) রয়েছে যেখানে পটচিত্র, কাঙড়া, মধুবনী, পিছাবনী শৈলীর ছবিতে শ্রীকৃষ্ণ আখ্যান প্রদর্শিত হয়েছে। আর আছে পহ্লব, চোল ও নায়ক রাজাদের সময়ের ব্রোঞ্জ মূর্তিতে শ্রীকৃষ্ণ আখ্যান, হাতির দাঁতের বেণুগোপাল যা সত্যিই দেখার মতো। ব্রহ্মা সরোবরের তীরে ৫ একর জুড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ করে স্টুডিও প্রিন্ট আর্টের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ধর্মযুদ্ধের সুবৃহৎ প্যানোরামিক দৃশ্য। তৈরি করা হয়েছে ন্যাশনাল সায়েন্স মিউজিয়ামের উদ্যোগে একটি বিজ্ঞান কেন্দ্র। সৃষ্টিধর্মী আলোকসম্পাতে আলোকশিল্পী তাপস সেনের অবদান অনস্বীকার্য। বাণগঙ্গা সরোবর, ভীষ্মকুন্ড জায়গা দুটিও খুবই পবিত্র। ভীষ্মকুন্ডের পাড়েই ভীষ্মের শরশয্যা হয়েছিল। অভিমন্যু ক্ষেত্র অর্থাৎ মহাভারতের অদিতি বন, কর্ণটিলা অর্থাৎ মির্জাপুুর, লক্ষীনারায়ণ মন্দির, গীতা ভবন, সীতামাঈ, দূর্গা মন্দির, কর্ণ মন্দির, জ্যোতিসর কুন্ড রয়েছে এই চত্বরে। জ্যোতিসর কুন্ডের পাড়ে মহাভারতের সময়ের দুটি বটবৃক্ষ এখনও বিরাজমান। বিপরীতে আছে শঙ্করাচার্য মঠ। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে এই কুরুক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে খনন করে খ্রীস্টপূর্ব ৪০০ থেকে খ্রীস্টাব্দ ৩০০ অবধি ৭০০ বছরের রাজা কামা বা কিল্লা ছাড়াও হরপ্পা যুগের নানা নিদর্শন মিলেছে কুরুক্ষেত্রে। মধ্যযুগে সুফি সেন্টার হিসেবেও যথেষ্ট বিখ্যাত ছিল এই স্থান। জুম্মা মসজিদ, পাথরিয়া মসজিদ, চিনিওয়ালি মসজিদ, ছোট লাল মসজিদ, শেখ চিল্লী জালাল-এর সমাধি ও মুসলিম দূর্গও আছে এখানে।
কি কি কিনবেন? কোথায় থাকবেন? কিভাবে এখানে পৌঁছবেন? What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling in Kurukshetra? Where to Stay? How to Reach / Go?
কুরুক্ষেত্রে থাকার দরকার হয় না। আর সেরকম ভালো হোটেল-লজও নেই। দিল্লি, চন্ডীগড় অথবা আম্বালা থেকে বাসে, ট্রেনে বা গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে সব জায়গা দর্শন করে আবার ঐ দিনেই ফিরে যাওয়া যায়। খাবার ও অন্যান্য জিনিসেরও দোকানপাটেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। শুধু চা-বিস্কুট ও টুকিটাকি খাবার ছাড়া আর সেরকম কিছুই পাবেন না। বিড়লা মন্দির ও গৌড়ীয় মঠের গেষ্ট হাউস আছে। মঠের অতিথিশালায় থাকতে পারবেন আর অন্নপ্রসাদ পাবেন। রেল স্টেশনের কাছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও ভারত সেবা সরণের ধর্মশালা রয়েছে। হরিয়ানা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির একাধিক শহরের সাথে কুরুক্ষেত্রের বাস যোগাযোগ আছে। এই শহরে ৩ কিলোমিটার ব্যবধানে দু-দুটি বাসস্ট্যান্ড সদাব্যস্ত থাকে। বাসে করে আপনি এখান থেকে হরিদ্বারেও চলে যেতে পারেন। যাওয়া আসার পথে কোন কাপড়ের দোকান থেকে পানিপথের বিখ্যাত তাঁতবস্ত্র কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
থানেশ্বর ( Thanesar / Thaneshwar ) - Kurukshetra থেকে মাত্র ৩ কি. মি. দূরে এটি আর এক বিখ্যাত হিন্দু তীর্থক্ষেত্র। প্রাচীন কালে এর নাম ছিল স্থানু তীর্থ। এই পবিত্র জায়গায় রাজা হর্ষবর্ধনের তৈরি থানেশ্বর মহাদেব মন্দির ( Thanesar Mahadev Temple Established By King Harshavardhan ), সিংহবাহিনী অম্বিকা, সন্তোষী মাতা, ভদ্রকালী, শ্রী হনুমান ছাড়াও প্রচুর মন্দির রয়েছে পুরো অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ৫১ সতী পীঠের অন্যতম হলো এই ভদ্রকালী মন্দির ( Bhadrakaali Temple )। এই পীঠস্থানের পূূূূজিতা দেবী হলেন ত্রিশূলধারী কষ্টিপাথরের এলোকেশী দেবী ভদ্রকালী। প্রচলিত আছে যে, এই দেবীকে মাটির ঘোড়া দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। শেখ চিল্লির মসজিদ ও সমাধি রয়েছে। দানবীর রাজা হর্ষবর্ধনের জন্মস্থান এবং রাজধানী ছিল এই স্থানে। তাঁর রাজ্য বিস্তার পায় বাংলা থেকে গুজরাট পর্যন্ত। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং রাজা হর্ষের সময় থানেশ্বরে আসেন। ১০১১ খ্রিস্টাব্দে গজনির সুলতান মামুদ এখানকার ইতিহাস প্রায় ধ্বংস করেন। এখান থেকে NH1 ধরে ৬৩ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে গেলেই পৌঁছে যাবেন আর এক Popular and Famous Tourist Destination কাইথালে ( Kaithal )। বাদশাহ আকবরের আমলের বিদকিয়ার লেক, ভাই ডেসু সিং-এর বিধ্বস্ত দুর্গটিও দেখে নিতে পারেন। এখানে থাকার জন্য হরিয়ানা ট্যুরিজমের Koel Resort-Kaithal আছে। বুকিং নম্বর - (01746) 224270. আবার কাইথাল থেকে কার্নালও ( Karnal ) ঘুরে আসতে পারেন।
পিপলি এবং পানিপথ ( Pipli and Panipat ) - দিল্লি ফেরার পথে কুরুক্ষেত্রের পর্যটকেরা ৫ কি. মি. দূরের পিপলিতে হরিয়ানা ট্যুরিজমের Parakeet Motel, Pipli ( Tel - 01744 230250 ) -এ এক রাত কাটিয়ে Pipli Mini Zoo সমেত সমস্ত শহর Explore করে অর্থাৎ ঘুরে দেখে তারপর সোজা বাসে করে পিপলি শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের পানিপথে ( Panipat is a Historical Place ) চলে আসুন। হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশ সীমান্তবর্তী এই স্থানের ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রটি দর্শন করলে শিহরণ জাগিয়ে দেবে আপনার মনে। তিনবার তিনটি ঐতিহাসিক মহাসংগ্রামের দ্বারা রক্তস্নাত হয়েছে এই প্রান্তর। প্রথম যুদ্ধটি হলো দিল্লীর সম্রাট ইব্রাহিম লোধীর সাথে বাবরের। ১৫২৬ সালের এই যুদ্ধে বাবরের জয়ের ফলেই মোগল সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটে। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে যুদ্ধের দৃশ্যাবলী খোদাই করা ফলক বসেছে এখানে। দ্বিতীয় যুদ্ধটি অনুষ্ঠিত হয় ১৫৫৬ সালে আকবরের সেনাপতি বৈরাম খাঁর এবং পাঠান নায়ক হিমুর মধ্যে। এই যুদ্ধে হিমু পরাজিত হন। আর তৃতীয়টি ঘটেছিল ১৭৬১ সালে। এই লড়াইয়ে সম্মিলিত মারাঠা শক্তি হেরে যায় আফগান নায়ক আহম্মদ শাহ দুরানীর কাছে। নানান গল্পকাহিনী জড়িয়ে থাকা মুসলিম ফকির আবু আলী কালান্দারের সমাধি, প্রথম যুদ্বের স্মৃতিফলক ও ইতিহাস রোমন্থন করা ছাড়া আর কোন দ্রষ্টব্য নেই এখানে। বর্তমান সময়ের পানিপথ বিখ্যাত আর একটি কারণে। সেটি হলো বয়নশিল্প বা তাঁতশিল্পের অগ্রগতি। ১৯৯০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই অঞ্চলে মোট তাঁতযন্ত্র আছে ৩০০০০ টি। এখানকার তাঁতজাত শিল্প সম্ভার বিশ্বের নানা দেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং যথেষ্ট সুনাম কুড়োচ্ছে। এখানে থাকার জন্য PWD Rest House এবং হরিয়ানা ট্যুরিজমের Sky Lark Resort, Panipat ( 0180 2641051 ) রয়েছে। এই স্থান থেকে ট্রেনে বা বাসে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দেশের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছে যেতে পারবেন।
দিল্লি-চন্ডীগড় জাতীয় সড়ক NH1 এর পথে কার্নাল শহর লাগোয়া আর একটি ভ্রমণ গন্তব্য হলো কার্নাল লেক ( Karna Lake in Karnal, Opposite of Uchana Village )। পিপলি থেকে দূরত্ব ৩১ কি. মি. এবং পানিপথ থেকে দূরত্ব ৩৫ কি. মি.। মহাভারতের সময়ের হ্রদ এই কর্ণ ঝিল বা কার্নাল লেক। বিশাল বড়ো জলাশয়, চারিদিকে মনোরম পরিবেশ, শান্ত জলরাশি এবং তাতে ভেসে বেড়াচ্ছে অনেক নৌকা আর অনেক হংসবলাকা। আপনিও একটি বোট ভাড়া করে এই শান্ত-সুন্দর জলরাশিতে ভেসে বেড়ান খানিকক্ষণ। এখানে দু-এক দিন থাকার জন্য হরিয়ানা ট্যুরিজমের উদ্যোগে কার্নাল লেকের পাড়েই গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল Delux Motel Karnala Lake ( 0184 2267264 )। এর ঠিক বিপরীতেই রয়েছে ভীষণ বেগে বহমান যমুনা খাল বা ওয়েস্টার্ন যমুনা ক্যানাল।
দিল্লি-মথুরা-আগ্রা রোড ধরে দিল্লি থেকে বাসে বা গাড়িতে চড়ে ২৫ কি. মি. গিয়ে তারপর ডানহাতি রাস্তা ধরে ৪ কি. মি. যাওয়ার পরে ৭৬০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আরাবল্লীর ঢালে দুটি পাহাড়ি টিলাকে যুক্ত করার জন্য ১২৭ একর জায়গা জুড়ে একটি কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা হয়েছে। এর নাম বাদখাল লেক ( Badkhal Lake )। ফরিদাবাদ রেল স্টেশন থেকে এই হ্রদের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। স্টেশন থেকে বাস, রিকশা ও অটো সরাসরি লেকের পাড় পর্যন্ত যাচ্ছে। পিকনিক করার আদর্শ পরিবেশ। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস অবধি পরিযায়ী পাখিরা ভেসে বেড়ায় লেকের জলে। মৃদুমন্দ বাতাসে ঢেউ খেলে জলে, তাতে অস্তরাগের লালিমার আভা ছড়িয়ে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আবহ তৈরি হয়। লেকের জলে বোটিং ও সুইমিং-এর সুবন্দোবস্ত রয়েছে পর্যটকদের জন্য। শিব ও হনুমান মন্দির আছে। চারিদিকের টিলা সবুজে ছাওয়া ও তাতে রঙবেরঙের সুন্দর ফুলের সমারোহ এখানে ঘুরতে আসা মানুষের মনে এক আবেশ ছড়িয়ে দেয়। উট, হাতি বা ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকার জন্য হরিয়ানা ট্যুরিজম নির্মিত Badkhal Lake Minivel Hut ও Falcon Suite ( Tel- 0129 2463777/1743 ) রয়েছে।
দিল্লি-জয়পুর রোডে দিল্লি থেকে ৫৪ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে সোনা পাহাড়ে ( Sohna Hill Viewpoint ) রয়েছে আর এক সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। অনেক আগে এখানকার নদীর চরে বালুকাবেলায় সোনাও পাওয়া যেত বলে এই জায়গার Sohna Hill নাম হয়েছে। চূড়ার হিল ভিউ পয়েন্ট থেকে চারপাশের দৃশ্য অপরূপ সুন্দর। এখানে এলে প্রচুর ময়ূর দেখতে পাবেন। পাহাড়চূড়ায় Camper Hut এবং Barbet Motel-এ আগে থেকে বুকিং ( Booking Telephone Number - 0124 2362256 ) করে আসলে থাকতে পারবেন। এই হাটের বাথরুমে নলের মাধ্যমে ৩ কি. মি. দূরের প্রস্রবণ থেকে সালফারযুক্ত জল আসে। এই জলে স্নান করলে নানাবিধ চর্মরোগ সেরে যায়। এটি একটি বাড়তি পাওয়া উপহার।
সুলতানপুর ( Sultanpur, Gurgaon Farukh Nagar Road, Gurugram, Haryana 122006 ) - দিল্লী-জয়পুর রোডে দিল্লী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটি বিখ্যাত সুলতানপুর জাতীয় উদ্যান ( Sultanpur National Park ) এবং সুলতানপুর পক্ষী আলয়ের ( Sultanpur Bird Sanctuary ) জন্য। প্রায় চারশো একর জলাভূমি ও তার আশেপাশের বনভূমিকে কেন্দ্র করে এই সংরক্ষিত পাখিরালয়টি গড়ে উঠেছে। চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অপরূপ। জলাশয়ের ( Sultanpur Lake / Wet Land of Local & Migratory Birds ) পাড়ের গাছগুলির শাখাসমূহে অসংখ্য প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি বাসা বেঁধে রয়েছে ও বংশবিস্তার করে চলেছে। আপনি যদি অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এখানে আসেন তাহলে সুদূর ইউরোপ, সাইবেরিয়া ও উত্তরের অন্যান্য শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে আসা ফ্লেমিংগো, পেলিক্যান সহ আরো অনেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখতে পাবেন। জলন্ধর, ফিরোজপুর রেল স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে ঘন্টা তিনেকের মধ্যে সুলতানপুর লোধী স্টেশনে পৌঁছে যাবেন। আমেদাবাদ থেকেও ট্রেনে সরাসরি আসা যায়। ১০ কি. মি. দূরে রয়েছে গুরগাঁও শহর। দিল্লী, কুরুক্ষেত্র, জলন্ধর, গুরগাঁওসহ এই রাজ্যের এবং প্রতিবেশী রাজ্যের অনেক ছোট বড়ো শহর থেকে বাসে করে এখানে সহজেই যাওয়া যায়। হরিয়ানা ট্যুরিজমের সদিচ্ছায় ও উদ্যোগে লেকের পাড়ে নানা সুবিধাসহ থাকার সুবন্দোবস্ত হয়েছে। Bird Sanctuary. For Booking - (0124) 2015670 / 22259639. Watch Tower ও মোটেলের View Gallery থেকে পাখিদের রোজকার জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এখানে পর্যটকদের জন্য বাইনোকুলারের ব্যবস্থা আছে। একটি পাখি সংক্রান্ত লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামও রয়েছে। যেখানে পাখি সম্পর্কে পড়াশোনা করতে ও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
আম্বালা ( Ambala ) - জেলাসদর এবং শিল্পকেন্দ্রিক বানিজ্যিক শহরটির একটি ইতিহাস আছে। ২৭৫ মিটার উঁচু আম্বালার সৃষ্টি ১৮৪৩ সাল নাগাদ ব্রিটিশ ক্যান্টনমেন্ট নগরী রূপে। প্রচলিত আছে যে, কুতুবের লৌহমিনারটি নাকি প্রোথিত ছিল এই আম্বালার পাহাড়ে। দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শহরের উত্তরে পাগেট পার্ক, গথিক শৈলীতে নির্মিত সেন্ট জনস ক্যাথিড্রাল চার্চ যেটি ১৯৬৫- এর ইন্দো-পাক যুদ্ধের বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, রেস কোর্স ইত্যাদি। কিন্তু, পর্যটকদের কাছে এবং জনমানসে এর আকর্ষণের মূল কারণ হলো এটি সিমলা পাহাড়ের সংযোগকারী রেলস্টেশন। শহরের সেরা খাবার জায়গা হিসেবে দুটি স্থানের নাম উল্লেখ না করে পারলাম না। প্রথমটি হল সদর বাজারের শর্মা ভোজনালয়। দ্বিতীয়টি, বাজারা বাজারের সাকুঝাস্ আইসক্রিম সেন্টার। এখান থেকে পাঞ্জাবের পাতিয়ালাও ঘুরে আসতে পারেন। কুরুক্ষেত্রের প্রতিটি ট্রেন আম্বালা হয়ে যাচ্ছে। নিউ দিল্লি বা দিল্লি রেল স্টেশন থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে এখানে পৌঁছে যাবেন। এই শহরের সাথে উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরের রেল এবং বাসের মাধ্যমে ভালো যোগাযোগ আছে। রেল স্টেশনের পিছনে অবস্থিত Ambala Bus Stand ( Tel - 2640821 ) থেকে বাসে করে ১৫০ কিলোমিটার দূরের সিমলায় যেতে পারবেন। সিমলা পাহাড়ে যাওয়ার অল্প সময়ের তফাৎে প্রচুর বাস রয়েছে। এছাড়া কুলু, মানালি, জম্মু, দেরাদুন প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার বাসও পেয়ে যাবেন এই বাসস্ট্যান্ড থেকে। থাকা খাওয়ার জন্য প্রচুর হোটেল আছে রেল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে। শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরত্বে অমৃতসর-চন্ডীগড় রোডে হরিয়ানা ট্যুরিজমের তত্ত্বাবধানে থাকা King Fisher, Ambala ( 0171 2521570 ) হোটেলটিতেও থাকতে পারেন।
→ এই রাজ্যটি আসলে পঞ্চনদের দেশ পাঞ্জাবেরই অংশ। হরিয়ানা শব্দের অর্থ হল দেবলোক। কথিত আছে যে, এক সময়ে পাঞ্জাবের এই অঞ্চলে দেবতারা বাস করতেন। মহাভারত মহাকাব্যের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধও হয়েছিল এখানে। এখানকার মানুষদের বলা হয় হরিয়ানভি ( Haryanvi )। এরা যুদ্ধবিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী। ১৯৬৬ সালের ১লা নভেম্বর পাঞ্জাবের হিন্দিভাষী অঞ্চলই পরিনতি পেল এই নতুন রাজ্য হিসেবে। সেরকম আকর্ষণীয় পর্যটনস্থলের সংখ্যা খুবই কম হলেও এখানকার সরকার পর্যটনশিল্প নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। সারা রাজ্য জুড়ে প্রচুর ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্স ( Tourist Complex ), হোটেল, ধাবায় ইত্যাদি। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার এগুলোর নামকরণ হয়েছে দেশি-বিদেশি নানা পাখির নামে। এর পিছনের কারণটি হ'ল, সারা রাজ্যজুড়ে বছরভর দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির সুন্দর সুন্দর পাখি উড়ে বেড়াতে দেখা যায়। এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে বৈশাখী উৎসব খুব জমকালো করে হয়। তখন দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা এই উৎসব দেখতে ভিড় করেন। কৃষি, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদনে ভারতের মধ্যে এক অন্যতম স্থান দখল করে আছে। মাথাপিছু আয়ের দিক থেকেও পাঞ্জাবের পরেই এই রাজ্যের স্থান।
এর রাজধানী চন্ডীগড় ( Capital City is Chandigarh )। আয়তন ( Total Area ) হলো ৪৪২১২ বর্গ কি. মি. ( ১৭০৭০ বর্গ মাইল )। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ২৫৩৫৩০৭৫ জন। জনঘনত্ব ( Population Density ) হলো প্রতি বর্গ কি. মি. তে ৫৭৩ জন। সবচেয়ে বড়ো শহর হ'ল ফরিদাবাদ ( Faridabad )। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ৮৭৭ জন ( Sex Ratio of Male and Female )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৭৬.৬৪%। প্রধান ভাষা ( Main Official Languages ) হ'ল হিন্দি, পাঞ্জাবি এবং ইংরেজি। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Per Head / Per Capita Average Yearly Income ) ২২৬৬৫০ টাকা।
WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE. AVERAGE WEATHER OR CLIMATE:-
অক্টোবর মাস থেকে মার্চ মাসের শেষ পর্যন্ত সময়ই হলো এখানে বেড়াতে আসার সঠিক সময়। কারণ, এই সময় পরিবেশ থাকে মনোরম এবং আবহাওয়া থাকে শীতল। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে কখনো সখনও অল্প বৃষ্টি হয়। মে-জুন মাসে অত্যাধিক গরম পড়ে। ৪৬° সেলসিয়াসের উপর তাপমাত্রা উঠে যায়। আর জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত হল বর্ষাকাল। দিল্লি ও এখানকার তাপমাত্রা এবং আবহাওয়া অনেকটা একই রকম।
Haryana Government Official Website - http://www.haryana.gov.in
Tourism Department - http://www.haryanatourism.gov.in
মোট ২২ টি জেলা আছে ( Total Number of Districts is 22 )। আর সেগুলো হলো - (i) আম্বালা ( Ambala ), (ii) ভিবানি ( Bhiwani ), (iii) চরখি দাদরি ( Charkhi Dadri ), (iv) ফরিদাবাদ ( Faridabad ), (v) ফতেহাবাদ ( Fatehabad ), (vi) গুরুগ্রাম ( Gurugram ), (vii) হিসার ( Hisar ), (viii) ঝাজ্জর ( Jhajjar ), (ix) জিন্দ ( Jind ), (x) কাইথাল ( Kaithal ), (xi) কারনাল ( Karnal ), (xii) কুরুক্ষেত্র ( Kurukshetra ), (xiii) মহেন্দ্রগড় ( Mahendragarh ), (xiv) নুহ্ ( Nuh ), (xv) পালওয়াল ( Palwal ), (xvi) পাঁচকুলা ( Panchkula ), (xvii) পানিপথ ( Panipat ), (xviii) রেওয়ারী ( Rewari ), (xix) রোহটাক ( Rohtak ), (xx) সিরসা ( Sirsa ), (xxi) সোনিপাত ( Sonipat ), (xxii) যমুনানগর ( Yamunanagar )।
IMPORTANT OFFICE ADDRESSES, CONTACT TELEPHONE NUMBERS FOR EMERGENCY ENQUIRIES WHEN YOU ARE TRAVELLING DIFFERENT PLACES IN / ESSENTIAL ADDRESSES OF GOVT. TOURISM OFFICES, TRAVEL AGENCIES FOR ALL TOURISTS:-
কনডাক্টেড ট্যুরের জন্য যোগাযোগ করুন ( Contact For Conducted Tour Programmes ) -
Haryana Tourism, 17-19, Sector 17-B, Chandigarh - 160017, Tel - 0172 2702955 7; অথবা Chanderlok Building, 36 Janpath, New Delhi - 110001, Tel - 23324910 - 11.
ALL TOTAL LIST OF 11 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(1) Baisakhi at Pinjore, (2) Festivals and Events in Gurgaon, (3) Haryana Day, (4) Kurukshetra Festival, (5) Mahabharata Festival, (6) Mango Mela, (7) Sahna Car Rally, (8) Surajkund Crafts Mela, (9) Kartik Cultural Festival in Gurgaon, (10) Pinjore Heritage Festival, (11) International Gita Mahotsava.
কলকাতায় হরিয়ানা ট্যুরিজমের বুকিং এজেন্ট হলো - (১) Diamond Tours & Travels, 30, Jadunath Dey Road, 2nd Floor, Kolkata - 700012, Tel- 22259639; (২) Himalchura Travels & Tours, P-263, C. I. T. Road, Kol- 700010, Tel- 23708004.
এই রাজ্যের যেকোন জায়গায় যাওয়া আসা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারে আগে থাকতে অনলাইন বুকিং-এর জন্য নীচের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। [ FOR ONLINE BOOKING OF FOODS / FLIGHTS, TRAIN / RAILWAY RESERVATION, HOUSES ON RENT/ FLATS RENTAL / LODGES / RESORTS / HOMESTAYS / TENTS / HOTELS ROOMS IN ANY PLACE WITH DISCOUNT, CHEAP AIR TICKETS, BUS BOOKING, CAR HIRE ]:-
1. https://www.trivago.in
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
[ TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN HARYANA, INDIA WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS. ]
চন্ডীগড় ( Chandigarh ) - এই রাজধানী শহরের ভ্রমণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে ক্লিক করুন 👉পাঞ্জাব ও হরিয়ানার রাজধানী চণ্ডীগড়ের সেরা দর্শনীয় স্থানসমূহ
যাদবীন্দ্র উদ্যান, পিঞ্জোর ( Yadavindra Gardens, Pinjore, Ambala-Shimla Highway, Pinjore, Haryana - 134102 ) - চন্ডীগড় থেকে ২২ কি. মি. দূরে আম্বালা-শিমলা হাইওয়ের উপর শিবালিক পর্বতের পাদদেশে ভারতের প্রাচীনতম উদ্যান পিঞ্জোর অবস্থিত। আবার CITCO ও হরিয়ানা ট্যুরিজমের প্যাকেজ ট্যুরে এই সুন্দর জায়গাটি ঘুরে নিতে পারেন। আম্বালার দূরত্ব ৫৬ কি. মি.। পাঞ্জাবের নবাব ফিডাই খানের হাতে ১৭ শতকে ৭ ধাপে এই বাগিচাটি রূপ পেয়েছে। বেগম সাহিবার জন্য তিনি ৩ টি প্রাসাদ নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে পাতিয়ালার প্রাক্তন মহারাজা যাদবীন্দ্র সিং -এর নাম অনুসারে এই উদ্যানের নাম পরিবর্তন হয়। পরবর্তী পাতিয়ালা রাজাদের হাতেও এর প্রসার ঘটে। ধাপে ধাপে নীচে নামা, মোগল ও রাজস্থানি শৈলীর শিশমহল, তার ঠিক নীচে রংমহল, জলমহল, সুুন্দর ঝরনা, মিনি চিড়িয়াখানা, ভোঁদড় স্যাংচুয়ারি, পক্ষীশালা, শিশু উদ্যান সহ মনোরঞ্জনের নানা পসরা নিয়ে কিছুটা জাপানি ধাঁচ সহযোগে তৈরি এই পিঞ্জোর বাগিচাটি। এখানকার অবিস্মরণীয় ফোয়ারাটি কেবল রবিবারই দর্শন করা যায়। শোনা যায়, বনবাসের সময় পান্ডবরা এখানে কিছুকাল অবস্থান করেন। তাই নামটিও পঞ্চপাণ্ডব থেকে পঞ্চপুর বা পাঁচপুরা হয়ে পিঞ্জোর হয়ে থাকতে পারে। কাছের ভীমা দেবীর অতি প্রাচীন মন্দিরটিও দর্শন করে নিতে পারেন। মন্দিরটির ভাস্কর্য খুবই সুন্দর। পর্যটকেরা দেবতা ও সুন্দর স্থাপত্য - দুই দেখেই তৃপ্ত হন।
হরিয়ানার হিসার জেলার কুণাল গ্রামে খনন করে পরপর তিনটি পর্যায়ে প্রাক হরপ্পা যুগের অর্থাৎ ৫০০০ বছরেরও আগের সভ্যতার নিদর্শন মিলেছে। পাওয়া বস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে সিলমোহর, ২টি রৌপ্যমুকুট, গলার হার, বালা, বাজু ছাড়াও আরও অনেক কিছু। ভুনা শহর থেকে ১২ কি. মি. দূরে সরস্বতী নদীর বামতীরে ৩৩ একর জায়গা জুড়ে খনন করে অনুসন্ধান চালাচ্ছে প্রত্নতত্ত্ব দপ্তর। এই কাজ ১৯৮৬ সালে শুরু হয়ে এখনও চলছে। এটিও আপনার দ্রষ্টব্য তালিকাভুক্ত করে নিতে পারেন।
পিঞ্জোর থেকে ৩৫ কি. মি. দূরে হিমালয়ের পাদদেশে ন্যাশনাল হাইওয়ের ধারে চান্দেলা রাজাদের দূর্গনগরী ( Chandela Fort Nalagarh ) নলগড় ঘুরে আসতে পারেন। এই দূর্গ সংলগ্ন ২০ একর ব্যাপী রয়্যাল অর্চার্ডটিও আর এক দর্শনীয় স্থান। থাকার জন্য হিল টপে নলগড় ফোর্ট রিসর্ট রয়েছে (Tel :- 01795 - 223009 / 9816038433 )। পিঞ্জোর, চন্ডীগড়, আম্বালা এবং ৩০০ কিলোমিটার দূরের দিল্লি থেকে নলগড়ে নিয়মিত বাস আসছে।
মোরনী পাহাড় ( Morni Hills ) - চন্ডীগড় থেকে পিঞ্জোরের রাস্তায় ঠিক ৮ কি. মি. আগে পাঞ্চকুলা থেকে আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ ধরে ৩০ কিলোমিটার গেলেই ১১৩০ মিটার উঁচু মোরনী পাহাড়ে পৌঁছে যেতে পারবেন। এই জায়গাটি প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতার পীঠস্থান। পাইন-পিপল বৃক্ষে ছাওয়া, ফুলে ফলে ভরা, পাখির কলকাকলিতে মুখরিত রমনীয় প্রকৃতির নৈসর্গিক শোভায় ভরপুর নিরিবিলি স্থান এটি। নানা ধরনের বন্য জীবজন্তুর দর্শনও পেয়ে যেতে পারেন। ছোট্ট ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা। বর্তমানে সরস্বতী নদী এখানে অন্ত:সলিলা। থাকার জন্য আছে Morni Resorts, Mountain Quail Resort [Tel :- 01733 250166].
কুরুক্ষেত্র ( Kurukshetra ) - হিন্দু তীর্থযাত্রীদের কাছে মহা পবিত্র তীর্থক্ষেত্র এই স্থান। আর্যদের সর্বপ্রাচীন ধর্মক্ষেত্র হলো এই কুরুক্ষেত্র। পুরাণ কালে কৌরব ও পান্ডবদের পিতৃপুরুষ রাজর্ষি কুরু এখানে তপস্যা করেন। তার পূর্বে এই জায়গার নাম ছিল সমন্তপঞ্চক। প্রচলিত আছে, মহাভারতের ১৮ দিন ব্যাপী মহাযুদ্ধ হয়েছিল ঠিক এইখানে। এই যুদ্ধে ১৮ অক্ষৌহিণী সৈন্য নিহত হন। স্বজন হত্যায় অর্জুন যখন আকুল হতাশ হয়ে পড়েন তখন এই প্রান্তরেই বিশ্বরূপ দর্শন করিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে নিষ্কাম কর্ম সম্পর্কে একটি ছোট ভাষণ দেন। যে ভাষণ পরে বাণীরূপে শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় স্থান পায়। শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা হলো হিন্দুদের কাছে অতি পবিত্র একটি ধর্মগ্রন্থ।স্মারকরূপে একটি সুন্দর উদ্যান রয়েছে। সূর্যগ্রহণ ও ফাল্গুন মাসের শুক্লা একাদশীতে বর্ণাঢ্য মেলা বসে। এখানেই আছে দ্বাপর যুগের দ্বৈপায়ন হ্রদ, যেটি এখন সূর্যকুন্ড নামে ভারতবিখ্যাত। কথিত আছে, আজকের এই সূর্যকুন্ড মহাতীর্থ স্নানে সহস্র অশ্বমেধ যঞ্জের পূণ্যপ্রাপ্তি হয়। সূর্যগ্রহণের সময় ভারত তথা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন পূণ্যস্নান করতে। হিন্দুদের বিশ্বাস যে, কুরুক্ষেত্রে মৃত্যু হলে আত্মার মোক্ষলাভ হয়। এখানকার ধূলিকণায় সর্বপাপ নাশ হয়। ১৩ মাইল ব্যাসার্ধের মধ্যে ৩৬৫ টি হিন্দুতীর্থ আছে। শোনা যায় বুদ্ধদেবও নাকি এখানে এসেছিলেন। সরস্বতী নদীর জল আজ শুকিয়ে গেলেও একসময় এর উত্তর দিক দিয়ে বয়ে যেত। কুরুর খনন করা ব্রহ্মাসর হ্রদটিও ( Brahma Sarovar / Lake ) আর একটি পবিত্র স্থান। স্নান করলে পূণ্যলাভ হয় বলে হিন্দুদের বিশ্বাস। একে অনেকে Samantapanchaka বা Ramahrada-ও বলে থাকে। সরোবরের মাঝখানে সর্বেশ্বর মহাদেবের অর্থাৎ শিবের মন্দির হয়েছে। সেতুর সাহায্যে আসা যাওয়া করতে হয়। এই সরোবরের তীরে বিড়লা গীতা মন্দির নির্মিত হয়েছে। শীতকালে দূর-দূরান্ত থেকে পরিযায়ী পাখিরা এসে এই জলাশয়ের আশেপাশে বাসা বাঁধে। আর জলকেলি করে বেড়ায়। সে আর এক অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য। অদূরে কুরুক্ষেত্র ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তৈরি করা শ্রীকৃষ্ণ মিউজিয়াম ( Sri Krishna Museum ) রয়েছে যেখানে পটচিত্র, কাঙড়া, মধুবনী, পিছাবনী শৈলীর ছবিতে শ্রীকৃষ্ণ আখ্যান প্রদর্শিত হয়েছে। আর আছে পহ্লব, চোল ও নায়ক রাজাদের সময়ের ব্রোঞ্জ মূর্তিতে শ্রীকৃষ্ণ আখ্যান, হাতির দাঁতের বেণুগোপাল যা সত্যিই দেখার মতো। ব্রহ্মা সরোবরের তীরে ৫ একর জুড়ে ৫ কোটি টাকা খরচ করে স্টুডিও প্রিন্ট আর্টের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে ধর্মযুদ্ধের সুবৃহৎ প্যানোরামিক দৃশ্য। তৈরি করা হয়েছে ন্যাশনাল সায়েন্স মিউজিয়ামের উদ্যোগে একটি বিজ্ঞান কেন্দ্র। সৃষ্টিধর্মী আলোকসম্পাতে আলোকশিল্পী তাপস সেনের অবদান অনস্বীকার্য। বাণগঙ্গা সরোবর, ভীষ্মকুন্ড জায়গা দুটিও খুবই পবিত্র। ভীষ্মকুন্ডের পাড়েই ভীষ্মের শরশয্যা হয়েছিল। অভিমন্যু ক্ষেত্র অর্থাৎ মহাভারতের অদিতি বন, কর্ণটিলা অর্থাৎ মির্জাপুুর, লক্ষীনারায়ণ মন্দির, গীতা ভবন, সীতামাঈ, দূর্গা মন্দির, কর্ণ মন্দির, জ্যোতিসর কুন্ড রয়েছে এই চত্বরে। জ্যোতিসর কুন্ডের পাড়ে মহাভারতের সময়ের দুটি বটবৃক্ষ এখনও বিরাজমান। বিপরীতে আছে শঙ্করাচার্য মঠ। সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছে এই কুরুক্ষেত্রে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে খনন করে খ্রীস্টপূর্ব ৪০০ থেকে খ্রীস্টাব্দ ৩০০ অবধি ৭০০ বছরের রাজা কামা বা কিল্লা ছাড়াও হরপ্পা যুগের নানা নিদর্শন মিলেছে কুরুক্ষেত্রে। মধ্যযুগে সুফি সেন্টার হিসেবেও যথেষ্ট বিখ্যাত ছিল এই স্থান। জুম্মা মসজিদ, পাথরিয়া মসজিদ, চিনিওয়ালি মসজিদ, ছোট লাল মসজিদ, শেখ চিল্লী জালাল-এর সমাধি ও মুসলিম দূর্গও আছে এখানে।
কি কি কিনবেন? কোথায় থাকবেন? কিভাবে এখানে পৌঁছবেন? What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling in Kurukshetra? Where to Stay? How to Reach / Go?
কুরুক্ষেত্রে থাকার দরকার হয় না। আর সেরকম ভালো হোটেল-লজও নেই। দিল্লি, চন্ডীগড় অথবা আম্বালা থেকে বাসে, ট্রেনে বা গাড়ি ভাড়া করে গিয়ে সব জায়গা দর্শন করে আবার ঐ দিনেই ফিরে যাওয়া যায়। খাবার ও অন্যান্য জিনিসেরও দোকানপাটেরও যথেষ্ট অভাব রয়েছে। শুধু চা-বিস্কুট ও টুকিটাকি খাবার ছাড়া আর সেরকম কিছুই পাবেন না। বিড়লা মন্দির ও গৌড়ীয় মঠের গেষ্ট হাউস আছে। মঠের অতিথিশালায় থাকতে পারবেন আর অন্নপ্রসাদ পাবেন। রেল স্টেশনের কাছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ ও ভারত সেবা সরণের ধর্মশালা রয়েছে। হরিয়ানা ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির একাধিক শহরের সাথে কুরুক্ষেত্রের বাস যোগাযোগ আছে। এই শহরে ৩ কিলোমিটার ব্যবধানে দু-দুটি বাসস্ট্যান্ড সদাব্যস্ত থাকে। বাসে করে আপনি এখান থেকে হরিদ্বারেও চলে যেতে পারেন। যাওয়া আসার পথে কোন কাপড়ের দোকান থেকে পানিপথের বিখ্যাত তাঁতবস্ত্র কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
থানেশ্বর ( Thanesar / Thaneshwar ) - Kurukshetra থেকে মাত্র ৩ কি. মি. দূরে এটি আর এক বিখ্যাত হিন্দু তীর্থক্ষেত্র। প্রাচীন কালে এর নাম ছিল স্থানু তীর্থ। এই পবিত্র জায়গায় রাজা হর্ষবর্ধনের তৈরি থানেশ্বর মহাদেব মন্দির ( Thanesar Mahadev Temple Established By King Harshavardhan ), সিংহবাহিনী অম্বিকা, সন্তোষী মাতা, ভদ্রকালী, শ্রী হনুমান ছাড়াও প্রচুর মন্দির রয়েছে পুরো অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ৫১ সতী পীঠের অন্যতম হলো এই ভদ্রকালী মন্দির ( Bhadrakaali Temple )। এই পীঠস্থানের পূূূূজিতা দেবী হলেন ত্রিশূলধারী কষ্টিপাথরের এলোকেশী দেবী ভদ্রকালী। প্রচলিত আছে যে, এই দেবীকে মাটির ঘোড়া দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। শেখ চিল্লির মসজিদ ও সমাধি রয়েছে। দানবীর রাজা হর্ষবর্ধনের জন্মস্থান এবং রাজধানী ছিল এই স্থানে। তাঁর রাজ্য বিস্তার পায় বাংলা থেকে গুজরাট পর্যন্ত। চৈনিক পরিব্রাজক হিউয়েন সাং রাজা হর্ষের সময় থানেশ্বরে আসেন। ১০১১ খ্রিস্টাব্দে গজনির সুলতান মামুদ এখানকার ইতিহাস প্রায় ধ্বংস করেন। এখান থেকে NH1 ধরে ৬৩ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে গেলেই পৌঁছে যাবেন আর এক Popular and Famous Tourist Destination কাইথালে ( Kaithal )। বাদশাহ আকবরের আমলের বিদকিয়ার লেক, ভাই ডেসু সিং-এর বিধ্বস্ত দুর্গটিও দেখে নিতে পারেন। এখানে থাকার জন্য হরিয়ানা ট্যুরিজমের Koel Resort-Kaithal আছে। বুকিং নম্বর - (01746) 224270. আবার কাইথাল থেকে কার্নালও ( Karnal ) ঘুরে আসতে পারেন।
পিপলি এবং পানিপথ ( Pipli and Panipat ) - দিল্লি ফেরার পথে কুরুক্ষেত্রের পর্যটকেরা ৫ কি. মি. দূরের পিপলিতে হরিয়ানা ট্যুরিজমের Parakeet Motel, Pipli ( Tel - 01744 230250 ) -এ এক রাত কাটিয়ে Pipli Mini Zoo সমেত সমস্ত শহর Explore করে অর্থাৎ ঘুরে দেখে তারপর সোজা বাসে করে পিপলি শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরের পানিপথে ( Panipat is a Historical Place ) চলে আসুন। হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশ সীমান্তবর্তী এই স্থানের ঐতিহাসিক যুদ্ধক্ষেত্রটি দর্শন করলে শিহরণ জাগিয়ে দেবে আপনার মনে। তিনবার তিনটি ঐতিহাসিক মহাসংগ্রামের দ্বারা রক্তস্নাত হয়েছে এই প্রান্তর। প্রথম যুদ্ধটি হলো দিল্লীর সম্রাট ইব্রাহিম লোধীর সাথে বাবরের। ১৫২৬ সালের এই যুদ্ধে বাবরের জয়ের ফলেই মোগল সাম্রাজ্যের পত্তন ঘটে। স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে যুদ্ধের দৃশ্যাবলী খোদাই করা ফলক বসেছে এখানে। দ্বিতীয় যুদ্ধটি অনুষ্ঠিত হয় ১৫৫৬ সালে আকবরের সেনাপতি বৈরাম খাঁর এবং পাঠান নায়ক হিমুর মধ্যে। এই যুদ্ধে হিমু পরাজিত হন। আর তৃতীয়টি ঘটেছিল ১৭৬১ সালে। এই লড়াইয়ে সম্মিলিত মারাঠা শক্তি হেরে যায় আফগান নায়ক আহম্মদ শাহ দুরানীর কাছে। নানান গল্পকাহিনী জড়িয়ে থাকা মুসলিম ফকির আবু আলী কালান্দারের সমাধি, প্রথম যুদ্বের স্মৃতিফলক ও ইতিহাস রোমন্থন করা ছাড়া আর কোন দ্রষ্টব্য নেই এখানে। বর্তমান সময়ের পানিপথ বিখ্যাত আর একটি কারণে। সেটি হলো বয়নশিল্প বা তাঁতশিল্পের অগ্রগতি। ১৯৯০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই অঞ্চলে মোট তাঁতযন্ত্র আছে ৩০০০০ টি। এখানকার তাঁতজাত শিল্প সম্ভার বিশ্বের নানা দেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং যথেষ্ট সুনাম কুড়োচ্ছে। এখানে থাকার জন্য PWD Rest House এবং হরিয়ানা ট্যুরিজমের Sky Lark Resort, Panipat ( 0180 2641051 ) রয়েছে। এই স্থান থেকে ট্রেনে বা বাসে করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দেশের রাজধানী দিল্লিতে পৌঁছে যেতে পারবেন।
দিল্লি-চন্ডীগড় জাতীয় সড়ক NH1 এর পথে কার্নাল শহর লাগোয়া আর একটি ভ্রমণ গন্তব্য হলো কার্নাল লেক ( Karna Lake in Karnal, Opposite of Uchana Village )। পিপলি থেকে দূরত্ব ৩১ কি. মি. এবং পানিপথ থেকে দূরত্ব ৩৫ কি. মি.। মহাভারতের সময়ের হ্রদ এই কর্ণ ঝিল বা কার্নাল লেক। বিশাল বড়ো জলাশয়, চারিদিকে মনোরম পরিবেশ, শান্ত জলরাশি এবং তাতে ভেসে বেড়াচ্ছে অনেক নৌকা আর অনেক হংসবলাকা। আপনিও একটি বোট ভাড়া করে এই শান্ত-সুন্দর জলরাশিতে ভেসে বেড়ান খানিকক্ষণ। এখানে দু-এক দিন থাকার জন্য হরিয়ানা ট্যুরিজমের উদ্যোগে কার্নাল লেকের পাড়েই গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল Delux Motel Karnala Lake ( 0184 2267264 )। এর ঠিক বিপরীতেই রয়েছে ভীষণ বেগে বহমান যমুনা খাল বা ওয়েস্টার্ন যমুনা ক্যানাল।
দিল্লি-মথুরা-আগ্রা রোড ধরে দিল্লি থেকে বাসে বা গাড়িতে চড়ে ২৫ কি. মি. গিয়ে তারপর ডানহাতি রাস্তা ধরে ৪ কি. মি. যাওয়ার পরে ৭৬০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত আরাবল্লীর ঢালে দুটি পাহাড়ি টিলাকে যুক্ত করার জন্য ১২৭ একর জায়গা জুড়ে একটি কৃত্রিম জলাধার তৈরি করা হয়েছে। এর নাম বাদখাল লেক ( Badkhal Lake )। ফরিদাবাদ রেল স্টেশন থেকে এই হ্রদের দূরত্ব ৫ কিলোমিটার। স্টেশন থেকে বাস, রিকশা ও অটো সরাসরি লেকের পাড় পর্যন্ত যাচ্ছে। পিকনিক করার আদর্শ পরিবেশ। অক্টোবর থেকে মার্চ মাস অবধি পরিযায়ী পাখিরা ভেসে বেড়ায় লেকের জলে। মৃদুমন্দ বাতাসে ঢেউ খেলে জলে, তাতে অস্তরাগের লালিমার আভা ছড়িয়ে এক স্বর্গীয় সৌন্দর্যের আবহ তৈরি হয়। লেকের জলে বোটিং ও সুইমিং-এর সুবন্দোবস্ত রয়েছে পর্যটকদের জন্য। শিব ও হনুমান মন্দির আছে। চারিদিকের টিলা সবুজে ছাওয়া ও তাতে রঙবেরঙের সুন্দর ফুলের সমারোহ এখানে ঘুরতে আসা মানুষের মনে এক আবেশ ছড়িয়ে দেয়। উট, হাতি বা ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকার জন্য হরিয়ানা ট্যুরিজম নির্মিত Badkhal Lake Minivel Hut ও Falcon Suite ( Tel- 0129 2463777/1743 ) রয়েছে।
দিল্লি-জয়পুর রোডে দিল্লি থেকে ৫৪ কি. মি. দক্ষিণ-পূর্বে সোনা পাহাড়ে ( Sohna Hill Viewpoint ) রয়েছে আর এক সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র। অনেক আগে এখানকার নদীর চরে বালুকাবেলায় সোনাও পাওয়া যেত বলে এই জায়গার Sohna Hill নাম হয়েছে। চূড়ার হিল ভিউ পয়েন্ট থেকে চারপাশের দৃশ্য অপরূপ সুন্দর। এখানে এলে প্রচুর ময়ূর দেখতে পাবেন। পাহাড়চূড়ায় Camper Hut এবং Barbet Motel-এ আগে থেকে বুকিং ( Booking Telephone Number - 0124 2362256 ) করে আসলে থাকতে পারবেন। এই হাটের বাথরুমে নলের মাধ্যমে ৩ কি. মি. দূরের প্রস্রবণ থেকে সালফারযুক্ত জল আসে। এই জলে স্নান করলে নানাবিধ চর্মরোগ সেরে যায়। এটি একটি বাড়তি পাওয়া উপহার।
সুলতানপুর ( Sultanpur, Gurgaon Farukh Nagar Road, Gurugram, Haryana 122006 ) - দিল্লী-জয়পুর রোডে দিল্লী থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এই জায়গাটি বিখ্যাত সুলতানপুর জাতীয় উদ্যান ( Sultanpur National Park ) এবং সুলতানপুর পক্ষী আলয়ের ( Sultanpur Bird Sanctuary ) জন্য। প্রায় চারশো একর জলাভূমি ও তার আশেপাশের বনভূমিকে কেন্দ্র করে এই সংরক্ষিত পাখিরালয়টি গড়ে উঠেছে। চারিদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যিই অপরূপ। জলাশয়ের ( Sultanpur Lake / Wet Land of Local & Migratory Birds ) পাড়ের গাছগুলির শাখাসমূহে অসংখ্য প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি বাসা বেঁধে রয়েছে ও বংশবিস্তার করে চলেছে। আপনি যদি অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে এখানে আসেন তাহলে সুদূর ইউরোপ, সাইবেরিয়া ও উত্তরের অন্যান্য শীতপ্রধান দেশগুলো থেকে আসা ফ্লেমিংগো, পেলিক্যান সহ আরো অনেক প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখতে পাবেন। জলন্ধর, ফিরোজপুর রেল স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে ঘন্টা তিনেকের মধ্যে সুলতানপুর লোধী স্টেশনে পৌঁছে যাবেন। আমেদাবাদ থেকেও ট্রেনে সরাসরি আসা যায়। ১০ কি. মি. দূরে রয়েছে গুরগাঁও শহর। দিল্লী, কুরুক্ষেত্র, জলন্ধর, গুরগাঁওসহ এই রাজ্যের এবং প্রতিবেশী রাজ্যের অনেক ছোট বড়ো শহর থেকে বাসে করে এখানে সহজেই যাওয়া যায়। হরিয়ানা ট্যুরিজমের সদিচ্ছায় ও উদ্যোগে লেকের পাড়ে নানা সুবিধাসহ থাকার সুবন্দোবস্ত হয়েছে। Bird Sanctuary. For Booking - (0124) 2015670 / 22259639. Watch Tower ও মোটেলের View Gallery থেকে পাখিদের রোজকার জীবনযাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। এখানে পর্যটকদের জন্য বাইনোকুলারের ব্যবস্থা আছে। একটি পাখি সংক্রান্ত লাইব্রেরি ও মিউজিয়ামও রয়েছে। যেখানে পাখি সম্পর্কে পড়াশোনা করতে ও অনেক অজানা তথ্য জানতে পারবেন।
আম্বালা ( Ambala ) - জেলাসদর এবং শিল্পকেন্দ্রিক বানিজ্যিক শহরটির একটি ইতিহাস আছে। ২৭৫ মিটার উঁচু আম্বালার সৃষ্টি ১৮৪৩ সাল নাগাদ ব্রিটিশ ক্যান্টনমেন্ট নগরী রূপে। প্রচলিত আছে যে, কুতুবের লৌহমিনারটি নাকি প্রোথিত ছিল এই আম্বালার পাহাড়ে। দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো শহরের উত্তরে পাগেট পার্ক, গথিক শৈলীতে নির্মিত সেন্ট জনস ক্যাথিড্রাল চার্চ যেটি ১৯৬৫- এর ইন্দো-পাক যুদ্ধের বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, রেস কোর্স ইত্যাদি। কিন্তু, পর্যটকদের কাছে এবং জনমানসে এর আকর্ষণের মূল কারণ হলো এটি সিমলা পাহাড়ের সংযোগকারী রেলস্টেশন। শহরের সেরা খাবার জায়গা হিসেবে দুটি স্থানের নাম উল্লেখ না করে পারলাম না। প্রথমটি হল সদর বাজারের শর্মা ভোজনালয়। দ্বিতীয়টি, বাজারা বাজারের সাকুঝাস্ আইসক্রিম সেন্টার। এখান থেকে পাঞ্জাবের পাতিয়ালাও ঘুরে আসতে পারেন। কুরুক্ষেত্রের প্রতিটি ট্রেন আম্বালা হয়ে যাচ্ছে। নিউ দিল্লি বা দিল্লি রেল স্টেশন থেকে ৩ ঘন্টার মধ্যে এখানে পৌঁছে যাবেন। এই শহরের সাথে উত্তর ভারতের বিভিন্ন শহরের রেল এবং বাসের মাধ্যমে ভালো যোগাযোগ আছে। রেল স্টেশনের পিছনে অবস্থিত Ambala Bus Stand ( Tel - 2640821 ) থেকে বাসে করে ১৫০ কিলোমিটার দূরের সিমলায় যেতে পারবেন। সিমলা পাহাড়ে যাওয়ার অল্প সময়ের তফাৎে প্রচুর বাস রয়েছে। এছাড়া কুলু, মানালি, জম্মু, দেরাদুন প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়ার বাসও পেয়ে যাবেন এই বাসস্ট্যান্ড থেকে। থাকা খাওয়ার জন্য প্রচুর হোটেল আছে রেল স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের চারপাশে। শহর থেকে ৫ কি. মি. দূরত্বে অমৃতসর-চন্ডীগড় রোডে হরিয়ানা ট্যুরিজমের তত্ত্বাবধানে থাকা King Fisher, Ambala ( 0171 2521570 ) হোটেলটিতেও থাকতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, Don't Spam.
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷