PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT MANIPUR:-
ভারতের একেবারে পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত মায়ানমার সীমান্তবর্তী অতি সুন্দর রাজ্য হলো এই মণিপুর। নীল-সবুজ পাহাড় বেষ্টিত ডিম্বাকার রাজ্যটিকে প্রকৃতি দেবী যেন তাঁর সৌন্দর্যের ভান্ডার উজাড় করে অতি যত্নে সাজিয়ে তুলেছেন। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই মোহময় যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু একে Kashmir of The East বলেছেন। আবার অনেকে একে A Little Paradise of Earth বলেন, কেউ কেউ আবার বলেন, Switzerland of The East বা The Jewel of India অথবা A Flower on Lofty Heights. নানা মুনির নানা মত হলেও এই ধরনের নামকরণ থেকে একটা ব্যাপার পুরোপুরি পরিষ্কার যে এর সৌন্দর্য এতটাই বেশি যেকোন ধরনের মানুষই সম্পূর্ণ মুগ্ধ এবং আবেগতাড়িত হতে বাধ্য। মণিপুর শব্দটির প্রকৃত অর্থ হ'ল মণিখচিত দেশ ( A Jewelled Land )। এখানে পরিবেশদূষণ প্রায় নেই বললেই চলে। তাই আকাশ এখানে ঘন নীলবর্নের। তার নীচে পাহাড়, ঝোরা, জলপ্রপাত, নদী, সবুজ বনাঞ্চল নিয়ে গোটা উপত্যকা যেন এক স্বপ্নপুরী। এখনও পর্যন্ত ৫০০ -এরও বেশি প্রজাতির অর্কিডের খোঁজ মিলেছে এই উপত্যকা রাজ্যজুড়ে। অরন্যে দেখতে পাওয়া যায় রঙবেরঙের পাখি-প্রজাপতি, বার্মিজ ময়ূর, মেঘবর্ণ লেপার্ড ইত্যাদি প্রানীর। মহাভারতের নায়ক চরিত্র অর্জুনের এক পত্নী চিত্রাঙ্গদাও ছিলেন এই রাজ্যের মেয়ে। কতটা প্রাচীন এই রাজ্য তা এই একটি উদাহরণ থেকে সহজেই অনুমেয়। এখানকার মেয়েরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সাংসারিকক্ষেত্র সবেতেই অত্যন্ত সফলতার সাথে বিচরণ করে থাকেন। সেই কারণেই হয়তো এখানকার পুরুষেরা কিছুটা অলস হয়ে গেছেন। এঁরা নিম্নাঙ্গে মণিপুরী ফানেক অর্থাৎ লুঙ্গি আর উর্ধাঙ্গে ইনাফি বা চাদর পরিধান করেন।
লোকসংস্কৃতি ও শিল্পকলাতেও এই রাজ্য যথেষ্ট সম্পদশালী। মণিপুরী নৃত্য আজ বিশ্বের নৃত্যরসিকদের কাছ থেকে নিজস্ব সম্মান আদায় করে নিয়েছে। এখানকার প্রধান শিল্পগুলি হ'ল হস্তশিল্প এবং কুটিরশিল্প ( Handicrafts and Handlooms ), যেমন তাঁতশিল্প, বেত ও বাঁশের নানা জিনিস তৈরি, টেবিল ম্যাট - মনোহারী ব্যাগ - বিছানার চাদর তৈরি ইত্যাদি। এখানকার প্রধান উৎসবগুলির ( Local Festivals ) মধ্যে একটি হলো রাস। এই সময় স্কুল-কলেজ-অফিস ৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকে। এপ্রিল - মে মাসে ফসল ঘরে তোলার উৎসব লাই - হারোবা ( Lai - Haroba ) এবং এই উৎসবের যে নৃত্যকলা তাও যথেষ্ট জনপ্রিয় এখানে। হলংকা অর্থাৎ বসন্তোৎসব বা দোল ( DolYatra Utsav ) এখানে দশদিন ধরে পালন করা হয়। বিশ্ববিখ্যাত পোলো খেলাটির সৃষ্টি এই অনিন্দ্যসুন্দর রাজ্যেই।
এদের প্রধান জীবিকা হ'ল কৃষি বা চাষবাস। যুদ্ধবিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী এবং এই বিদ্যার প্রতি প্রচন্ড টান আছে মণিপুরীদের। তাই কুস্তি ও অসিযুদ্ধ আজও এখানে এত জনপ্রিয়।
মনিপুর রাজ্যের রাজধানী ( Capital City ) ইম্ফল ( Imphal )। মোট আয়তন বা Total Area হলো ২২৩২৭ বর্গ কি.মি. বা ৮৬২১ বর্গ মাইল। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ২৮৫৫৮০০। জনঘনত্ব ( Population Density ) বা প্রতি বর্গ কি.মি.তে বাস করেন ১২২ জন। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ৯৮৭ জন ( Male and Female Sex Ratio )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৮০%। প্রধান সরকারি ভাষা ( Main Official Languages ) হ'ল Meitei অর্থাৎ Manipuri এবং English. গড় বার্ষিক আয় ( Average Income Per Head / Capita Per Year ) ৬২৬৪০ টাকা।
Govt. Official Website -
https://www.manipur.gov.in
Tourism Portal -
http://www.manipurtourism.gov.in
মোট জেলা আছে ১৬ টি ( Total Number of Districts is 16 )। যথা - (1) Bishnupur, (2) Thoubal, (3) Imphal East, (4) Imphal West, (5) Senapati, (6) Ukhrul, (7) Chandel, (8) Churachandpur, (9) Tamenglong, (10) Jiribam, (11) Kangpokpi, (12) Kakching, (13) Tengnoupal, (14) Kamjong, (15) Noney ( Longmai ), Pherzawl.
WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE:-
এখানে ঘুরতে আসার সেরা সময় হ'ল অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস। কিন্তু, যদি ঠিক রাসলীলা বা দোল উৎসব অথবা দূর্গাপূজার সময়ে আসেন তাহলে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে উলের পোশাক আর অন্যান্য সময়ে সুতির পোশাকই যথেষ্ট।
AVERAGE WEATHER OR CLIMATE:-
গ্রীষ্মকালে ১৮° থেকে ৩১° সেলসিয়াস এবং শীতকালে ৮° থেকে ২৫° সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। গড় বৃষ্টিপাত ( Average Rainfall ) ২০৫ সে.মি.।
ALL TOTAL LIST OF 14 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(i) Lai Haraoba, (ii) Yaoshang / Dol Yatra / Holi, (iii) Ratha Jatra, (iv) Ramjan Eid, (v) Kut ( Kuki Chin Mizo ), (vi) Gang / Gaan ( Kabui Nagas ), (vii) Chumpha ( Tangkhul Nagas ), (viii) Christmas ( Christians ), (ix) Cheiraoba ( New Year Celebration ), (x) Heikru Hidongba, (xi) Ningol Chakouba, (xii) Lui Ngai Ni, (xiii) Kwak Jatra, (xiv) Khuado Pawi.
ভারতের একেবারে পূর্বপ্রান্তে অবস্থিত মায়ানমার সীমান্তবর্তী অতি সুন্দর রাজ্য হলো এই মণিপুর। নীল-সবুজ পাহাড় বেষ্টিত ডিম্বাকার রাজ্যটিকে প্রকৃতি দেবী যেন তাঁর সৌন্দর্যের ভান্ডার উজাড় করে অতি যত্নে সাজিয়ে তুলেছেন। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এতটাই মোহময় যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু একে Kashmir of The East বলেছেন। আবার অনেকে একে A Little Paradise of Earth বলেন, কেউ কেউ আবার বলেন, Switzerland of The East বা The Jewel of India অথবা A Flower on Lofty Heights. নানা মুনির নানা মত হলেও এই ধরনের নামকরণ থেকে একটা ব্যাপার পুরোপুরি পরিষ্কার যে এর সৌন্দর্য এতটাই বেশি যেকোন ধরনের মানুষই সম্পূর্ণ মুগ্ধ এবং আবেগতাড়িত হতে বাধ্য। মণিপুর শব্দটির প্রকৃত অর্থ হ'ল মণিখচিত দেশ ( A Jewelled Land )। এখানে পরিবেশদূষণ প্রায় নেই বললেই চলে। তাই আকাশ এখানে ঘন নীলবর্নের। তার নীচে পাহাড়, ঝোরা, জলপ্রপাত, নদী, সবুজ বনাঞ্চল নিয়ে গোটা উপত্যকা যেন এক স্বপ্নপুরী। এখনও পর্যন্ত ৫০০ -এরও বেশি প্রজাতির অর্কিডের খোঁজ মিলেছে এই উপত্যকা রাজ্যজুড়ে। অরন্যে দেখতে পাওয়া যায় রঙবেরঙের পাখি-প্রজাপতি, বার্মিজ ময়ূর, মেঘবর্ণ লেপার্ড ইত্যাদি প্রানীর। মহাভারতের নায়ক চরিত্র অর্জুনের এক পত্নী চিত্রাঙ্গদাও ছিলেন এই রাজ্যের মেয়ে। কতটা প্রাচীন এই রাজ্য তা এই একটি উদাহরণ থেকে সহজেই অনুমেয়। এখানকার মেয়েরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সাংসারিকক্ষেত্র সবেতেই অত্যন্ত সফলতার সাথে বিচরণ করে থাকেন। সেই কারণেই হয়তো এখানকার পুরুষেরা কিছুটা অলস হয়ে গেছেন। এঁরা নিম্নাঙ্গে মণিপুরী ফানেক অর্থাৎ লুঙ্গি আর উর্ধাঙ্গে ইনাফি বা চাদর পরিধান করেন।
লোকসংস্কৃতি ও শিল্পকলাতেও এই রাজ্য যথেষ্ট সম্পদশালী। মণিপুরী নৃত্য আজ বিশ্বের নৃত্যরসিকদের কাছ থেকে নিজস্ব সম্মান আদায় করে নিয়েছে। এখানকার প্রধান শিল্পগুলি হ'ল হস্তশিল্প এবং কুটিরশিল্প ( Handicrafts and Handlooms ), যেমন তাঁতশিল্প, বেত ও বাঁশের নানা জিনিস তৈরি, টেবিল ম্যাট - মনোহারী ব্যাগ - বিছানার চাদর তৈরি ইত্যাদি। এখানকার প্রধান উৎসবগুলির ( Local Festivals ) মধ্যে একটি হলো রাস। এই সময় স্কুল-কলেজ-অফিস ৫ দিনের জন্য বন্ধ থাকে। এপ্রিল - মে মাসে ফসল ঘরে তোলার উৎসব লাই - হারোবা ( Lai - Haroba ) এবং এই উৎসবের যে নৃত্যকলা তাও যথেষ্ট জনপ্রিয় এখানে। হলংকা অর্থাৎ বসন্তোৎসব বা দোল ( DolYatra Utsav ) এখানে দশদিন ধরে পালন করা হয়। বিশ্ববিখ্যাত পোলো খেলাটির সৃষ্টি এই অনিন্দ্যসুন্দর রাজ্যেই।
এদের প্রধান জীবিকা হ'ল কৃষি বা চাষবাস। যুদ্ধবিদ্যায় যথেষ্ট পারদর্শী এবং এই বিদ্যার প্রতি প্রচন্ড টান আছে মণিপুরীদের। তাই কুস্তি ও অসিযুদ্ধ আজও এখানে এত জনপ্রিয়।
মনিপুর রাজ্যের রাজধানী ( Capital City ) ইম্ফল ( Imphal )। মোট আয়তন বা Total Area হলো ২২৩২৭ বর্গ কি.মি. বা ৮৬২১ বর্গ মাইল। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ২৮৫৫৮০০। জনঘনত্ব ( Population Density ) বা প্রতি বর্গ কি.মি.তে বাস করেন ১২২ জন। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ৯৮৭ জন ( Male and Female Sex Ratio )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৮০%। প্রধান সরকারি ভাষা ( Main Official Languages ) হ'ল Meitei অর্থাৎ Manipuri এবং English. গড় বার্ষিক আয় ( Average Income Per Head / Capita Per Year ) ৬২৬৪০ টাকা।
Govt. Official Website -
https://www.manipur.gov.in
Tourism Portal -
http://www.manipurtourism.gov.in
মোট জেলা আছে ১৬ টি ( Total Number of Districts is 16 )। যথা - (1) Bishnupur, (2) Thoubal, (3) Imphal East, (4) Imphal West, (5) Senapati, (6) Ukhrul, (7) Chandel, (8) Churachandpur, (9) Tamenglong, (10) Jiribam, (11) Kangpokpi, (12) Kakching, (13) Tengnoupal, (14) Kamjong, (15) Noney ( Longmai ), Pherzawl.
WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE:-
এখানে ঘুরতে আসার সেরা সময় হ'ল অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস। কিন্তু, যদি ঠিক রাসলীলা বা দোল উৎসব অথবা দূর্গাপূজার সময়ে আসেন তাহলে অনেক বেশি ভালো লাগবে। নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে উলের পোশাক আর অন্যান্য সময়ে সুতির পোশাকই যথেষ্ট।
AVERAGE WEATHER OR CLIMATE:-
গ্রীষ্মকালে ১৮° থেকে ৩১° সেলসিয়াস এবং শীতকালে ৮° থেকে ২৫° সেলসিয়াসের মধ্যে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। গড় বৃষ্টিপাত ( Average Rainfall ) ২০৫ সে.মি.।
ALL TOTAL LIST OF 14 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(i) Lai Haraoba, (ii) Yaoshang / Dol Yatra / Holi, (iii) Ratha Jatra, (iv) Ramjan Eid, (v) Kut ( Kuki Chin Mizo ), (vi) Gang / Gaan ( Kabui Nagas ), (vii) Chumpha ( Tangkhul Nagas ), (viii) Christmas ( Christians ), (ix) Cheiraoba ( New Year Celebration ), (x) Heikru Hidongba, (xi) Ningol Chakouba, (xii) Lui Ngai Ni, (xiii) Kwak Jatra, (xiv) Khuado Pawi.
এই রাজ্যের যেকোন জায়গায় যাওয়া আসা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারে আগে থাকতে অনলাইন বুকিং-এর জন্য নীচের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। [ FOR ONLINE BOOKING OF FOODS / FLIGHTS, TRAIN / RAILWAY RESERVATION, HOUSES ON RENT/ FLATS RENTAL / LODGES / RESORTS / HOMESTAYS / TENTS / HOTELS ROOMS IN ANY PLACE WITH DISCOUNT, CHEAP AIR TICKETS, BUS BOOKING, CAR HIRE ]:-
1. https://www.trivago.in
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN MANIPUR WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS:-
ইম্ফল ( Imphal ):- রাজ্যের ঠিক মাঝামাঝি অবস্থিত প্রায় ৮০০ মিটার উঁচু উপত্যকা জুড়ে রয়েছে এই রাজধানী শহর। নামটি এসেছে মণিপুরী শব্দ য়ুম-ফল থেকে। য়ুম অর্থ হ'ল ঘরবাড়ি আর ফল অর্থ সমষ্টি। অর্থাৎ, বাড়িঘরের সমাহার। চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা ছবির মতো সুন্দর সাজানো ছোট শহর এটি। বহু প্রাচীন এই জনপদটি। আনুমানিক প্রায় ৩৩ খ্রিস্টাব্দে এর সৃষ্টি। রাজ্যের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রস্থল। এখানে পা ফেলতেই নজরে আসবে বাংলা হরফে লেখা বিজ্ঞাপনের বোর্ডগুলি। মণিপুরী এদের মাতৃভাষা। লেখার মাধ্যম বাংলা হরফ। এখানকার লোকাচার ও উৎসব-অনুষ্ঠানে বাংলারই প্রতিচ্ছবি মেলে। ধুতির সাথে কোট পরে ও গলায় চাদর দেয় পুরুষেরা। যুবকদের মধ্যে প্যান্টেরও চল যথেষ্ট রয়েছে। মেয়েরা ফানেক পরে। এই ফানেক হ'ল রঙীন লম্বা জামা।
ভ্রমণের সময় কোথা থেকে কি কি কেনাকাটা করবেন? What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling in Imphal ?
শহরের কেন্দ্রস্থলে গড়ে উঠেছে পুরোপুরি মহিলা পরিচালিত খ্বাইরাম্বড বা ইম্মা বাজার ( Khwairamband or Imma Market )। এই অভিনব বাজারটি ইম্ফালের এক বিশেষ আকর্ষণও বটে। ৩০০০ মণিপুরী ইমাস অর্থাৎ মায়েরা নানারকম জিনিস বিক্রি করছেন। এখান থেকে মণিপুরী তাঁতবস্ত্র ও হস্তজাত শিল্প যেমন বেডকভার, ফানেক, ব্যাগ, বাঁশ ও বেতের নানা দ্রব্য, মৈতেই মেয়েদের পোশাক কিনে নিয়ে যেতে পারেন। প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এই মার্কেট খোলা থাকে। ভাষার কারণে কথপোকথনে মাঝেমধ্যে অসুবিধায় পরতে পারেন। আর রয়েছে থঙ্গল বাজার ও পাওনা বাজার। এই জায়গাগুলিতে দোকানপাটের যথেষ্ট রমরমা আছে। পাইকারি বাজারে মারোয়াড়ি প্রভাব যথেষ্ট দেখতে পাবেন। আপনার কেনাকাটা করার সেরা জায়গাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ'ল Manipur Handlooms Sales Emporium-Khwairamband Bazar, Handloom House-Paona Market, Sangai Handloom and Handicrafts-Near Clock Tower ইত্যাদি।
শহর থেকে মাত্র ৮ কি. মি. দূরে ইন্দো-বার্মা সড়কের উপর লঙ্থাবালে ( Langthabal Old King Palace ) রয়েছে প্রাচীন রাজপ্রাসাদ। কাঁঠাল আর পাইন বনের মধ্যে বেশ কয়েকটি মন্দিরও রয়েছে Langthabal-এ। ভারতীয় আধা সামরিক বাহিনীর দপ্তরও ( Indian Para Military Force Office ) হয়েছে এখানে। পাশেই রয়েছে নেহেরু ইউনির্ভাসিটি সেন্টার ( Nehru University Centre )। অটো, ট্যাক্সি, রিকশায় বা সিটি বাসে করে ঘুরে নিতে পারেন।
এই রাজপ্রাসাদের পূর্বে প্রায় ২ কি. মি. দূরে রয়েছে সুবর্ণ শ্রীগোবিন্দজী মন্দির ( Shri Govindaji Golden Temple )। এই মন্দিরটি যথেষ্ট আকর্ষণীয়। এখানকার আরাধ্য দেবতা হ'ল বলরাম, শ্রীকৃষ্ণ ও জগন্নাথ। বৈষ্ণবধর্মের এই পীঠস্থানের রাসলীলা ও গোষ্ঠলীলাও যথেষ্ট চিত্তাকর্ষক। গম্বুজ দুটি সোনার। এখানে নিয়মিত নাচের আসর বসে। দুপুর ১২ টা থেকে ৩ টা পর্যন্ত মন্দির বন্ধ থাকে। এখান থেকে পায়ে হেঁটে বাঁধের পাড়ে অবস্থিত মহাবলী ঠাকুরের মন্দিরটিও দেখে নিতে পারেন। হনুমান থেকে সদা সতর্ক থাকবেন।
পোলো গ্রাউন্ড স্টেডিয়ামের কাছে অবস্থিত মণিপুর স্টেট মিউজিয়াম ( Manipur State Museum ) দেখে নিন। এখানে প্রাণিতত্ত্ব, ছবি, পোশাক, ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ ছাড়াও অনেকরকম জিনিসের সংগ্রহ রয়েছে। রবিবার ও অন্যান্য ছুটির দিন ছাড়া রোজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টা ৩০ মিনিট অবধি খোলা থাকে। আর একটি অবশ্য দর্শনীয় স্থান হ'ল ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা মুটুয়া মিউজিয়াম ( Mutua Museum )। এখানে দেখার জন্য প্রত্নতত্ত্ব, শিল্পকলা, মুদ্রা ও বয়নশিল্পের বিভিন্ন নিদর্শন আছে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজদের সাথে মৈতেইদের স্বাধীনতার যুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে বীর টিকেন্দ্রজিৎ পার্কে ( Bir Tikendrajeet Park ) শহীদ মিনার তৈরি হয়েছে। এই পার্কেই পোলো খেলার আসর বসে।
শহরের শেষে ডিমাপুর যাওয়ার রাস্তায় ট্যুরিস্ট লজ ছাড়িয়ে আর একটি ঐতিহাসিক দেখার জায়গা হ'ল ইম্ফল ওয়ার সিমেট্রি ( Imphal War Cemetery )। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত ব্রিটিশ মিত্র বাহিনীর মৃত সৈনিকদের মৃতদেহ এখানে কবরে শায়িত রয়েছে। আর একটি কবরস্থান আছে উখরুল যাওয়ার রাস্তায়।
১২ কি. মি. দূরে খোনঘামপাটে গিয়ে বিখ্যাত অর্কিড ফার্মটি ( Khonghampat State Orchidarium ) দেখে আসুন। ২০০ একরের এই পার্কে এপ্রিল-মে মাস নাগাদ ৩০০-রও বেশি প্রজাতির অর্কিডের সাথে সাথে ১২০ ধরনের ফুল ফুঁটে এই পার্কের সৌন্দর্য কয়েকশো গুণ বাড়িয়ে তোলে।
কাংচুপ যাওয়ার রাস্তায় শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চিড়িয়াখানাটিও ( Manipur Zoological Garden, Lamphelpat, Imphal ) দেখে নিন। এখানে বাঘ, ভালুক, সিংহ, পাইথন, লেপার্ড, সাঙগাই বা এক শিঙের হরিণের জন্য এই জায়গার যথেষ্ট সুখ্যাতি আছে।
এছাড়াও ইম্ফল শহরে আরও অনেক কিছু রয়েছে। যেমন, মণিপুর কলাকেন্দ্র, নুপিলাল মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স, গান্ধী মেমোরিয়াল হল, বাঙালি কালীবাড়ি ইত্যাদি। আবার সেপ্টেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত Heikru Hitong-ba Boat Race-এরও যথেষ্ট আকর্ষণ রয়েছে।
খাবার ( Foods ):- খাবারে যথেষ্ট বৈচিত্র্য আছে। ভাত ও মাংসের যথেষ্ট প্রাধান্য দেখতে পাবেন। মণিপুরীরা ফ্রায়েড রাইসের নাম কাবোক। মাছের চাটনি হ'ল এখানকার জনপ্রিয় স্থানীয় খাবার ( Popular Local Foods )। এর নাম ইরোম্বা। তবে, দেশী-বিদেশী অনেক রকম খাবার পেয়ে যাবেন এখানকার হোটেল রেস্তোরাঁয়।
কিভাবে যাবেন? ( How to Go or Reach? ):- কলকাতা থেকে সড়ক, রেল ও বিমান তিন মাধ্যমেই যেতে পারবেন। শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি, শিলচর ও জিরিবাম হয়ে ইম্ফল পৌঁছতে পারবেন। রেলে করে প্রথমে নাগাল্যান্ডের ডিমাপুর যাবেন। তারপর এখান থেকে সড়কপথে যেতে হবে। সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোতে কলকাতা থেকে সরাসরি বিমান আছে। এছাড়াও, আইজল, শিলচর, গুয়াহাটি বিমানে পৌঁছে তারপর সড়কপথে যেতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন? ( Where to Stay? ):- থাকার জন্য প্রচুর হোটেল, গেস্ট হাউস, লজ, রিসর্ট রয়েছে সারা শহর ও শহরতলি জুড়ে। আগে থেকে অনলাইন বুকিং করে না গেলেও খুব একটা সমস্যায় পরার কথা নয়।
বিষ্ণুপুর ( Bishnupur ):- ইম্ফালের প্রায় ৩০ কি. মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে ময়রাঙ-এর রাস্তায় পাহাড়ের পাদদেশে ছবির মতো সুন্দর একটি ছোট শহর হ'ল বিষ্ণুপুর। রাজা কিয়াম্বার সময় ১৪৬৭ খ্রিস্টাব্দে চীনা শৈলীতে নির্মিত প্রাচীন বিষ্ণু মন্দিরের জন্য এই জায়গার যথেষ্ট খ্যাতি আছে। পাথরের তৈরি নানা জিনিসের জন্যও এই শহরটি বিখ্যাত। অতীতের কাছাড় রোডটিও এখান থেকে শুরু হয়েছে। বাস যোগাযোগ রয়েছে।
মৈরাং ও লোকতাক লেক ( Moirang and Loktak Lake ):- বিষ্ণুপুর থেকে প্রায় ২০ কি. মি. এবং ইম্ফল থেকে ৪৬ কি. মি. দূরে অবস্থিত ইন্দো-বার্মা সড়কের এই মফস্বল শহরটি। এটি ঠিক লোকতাক লেকের পশ্চিম পাড়ে। খুব সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। লেক জুড়ে রয়েছে ছোট ছোট ফুমাদি অর্থাৎ ভাসমান দ্বীপে বাগিচা। খাম্বা ও থৌইবীর অমর প্রেমের গাঁথা খাম্বা-থৌইবী নৃত্যকলা সৃষ্টিও এই মৈরাং শহরে। এখানে আছে বনদেবতা থঙজিঙের পুরাতন মন্দির ( Thangjing Temple )। এই মন্দির চত্বরে মে মাসে জমকালো উৎসব হয়। মণিপুরী লোকসংস্কৃতির পীঠস্থান বলা হয় এই স্থানটিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখানেই নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের বা ভারতীয় জাতীয় বাহিনীর ( INA ) সদর দপ্তর বসে। এখানেই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ১৪ই এপ্রিল প্রথম জাতীয় পতাকা তোলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহত সৈনিকদের স্মৃতিচিহ্নরূপে গড়ে উঠেছে ইন্ডিয়ান পিস মেমোরিয়াল। নামবল বাজার অতিক্রম করে দেখতে পাবেন এই INA Memorial Library and Museum. এর ঠিক সামনেই নেতাজির মূর্তি রয়েছে। আগের মূর্তিটি দুষ্কৃতিদের হাতে ধ্বংস হওয়াতে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দে আবার নতুন করে সুভাষচন্দ্রের মূর্তি গড়া হয়েছে। এখানে একটি লাইব্রেরি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের স্মারক নিয়ে গড়ে ওঠা একটি মিউজিয়াম আছে। সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠিত প্রস্তরলিপির অনুকরণও বসেছে। সোমবার বন্ধ থাকে। আপনি ইম্ফল থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে একদিনেই মৈরাং, বিষ্ণুপুর ও লোকতাক লেক বেড়িয়ে আসতে পারেন।
সেন্দ্রা দ্বীপ থেকে দেখা লোকতাক লেকের নৈসর্গিক শোভা কোনদিনই ভুলতে পারবেন না। উত্তর-পূর্ব ভারতের বৃহত্তম মিষ্টি জলের হ্রদ হ'ল এই Loktak Lake। ১৩ কি. মি. প্রস্থ ও ২৭ কি. মি. দৈর্ঘ্যের এই জলাশয়ের গড় গভীরতা খুব একটা বেশী নয়, মাত্র ২ মিটার। বর্ষাকালে এর আয়তন কিছুটা বেড়ে যায়। বোটিং, শুটিং ও মাছ ধরার উপযুক্ত বন্দোবস্ত রয়েছে এখানে। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস অবধি পরিযায়ী পাখিরা এসে এই জায়গার আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তোলে। এখানকার সবচেয়ে বড়ো বিস্ময়ের ব্যাপার হলো প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট লতাপাতায় ছাওয়া ছোট-বড়ো নানা আকারের দ্বীপ, যার নাম ফুমদি। এইসব ফুমদিতে সাঙ্গাইরা বসবাস করেন। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এইসব ভাসমান দ্বীপে বাগান করা হয়েছে। অনেকগুলিতে পাহাড়ি টিলাও মাথা তুলেছে। বন্য জন্তুরাও এইসমস্ত জায়গায় শিকার করতে আসে। জলের রঙ নীলচে-সবুজ। বিভিন্ন ধরনের ওয়াটার স্পোর্টসের ব্যবস্থা রয়েছে।
সেন্দ্রা দ্বীপ থেকে ৫ কি. মি. দূরে লোকতাকের দক্ষিণ-পশ্চিমে পৃথিবীর একমাত্র ভাসমান সংরক্ষিত জাতীয় উদ্যান Keibul Lamjao National Park রয়েছে। কেইবুল লামজাও-এ অনেকগুলি বাঘ আছে। এখানে ১৫০-এর মতো সংখ্যার সাঙ্গাই অর্থাৎ শিংওয়ালা নাচুনে হরিণও আছে। বছরভর পাহাড় লাগোয়া জঙ্গলে থাকলেও শীতকালে ফুমদিতে চরে বেড়ায়। এছাড়াও আরো অনেক রকম জন্তু জানোয়ার রয়েছে। যেমন, বুনো শুয়োর, বুনো ভালুক, ভোঁদড়, প্যান্থার ইত্যাদি। শীতকালে সহজে জন্তু দেখার উপযুক্ত সময়। বোটে করে দ্বীপ থেকে দ্বীপে ঘুরে ঘুরে পুরো জঙ্গলটি দেখে নিতে পারেন। থাকা-খাওয়ার জন্য ফুবালা ও সেন্দ্রায় ফরেস্ট রেস্ট হাউস আছে। সেখানে থাকতে পারেন। ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার, ওয়াইল্ড লাইফ, কেইবুল লামজাও ন্যাশনাল পার্ক - এই অফিসের ঠিকানা থেকে জঙ্গলে প্রবেশ ও রেস্ট হাউসে থাকার অনুমতি মেলে। সেন্দ্রা দ্বীপে টিলার মাথায় মণিপুর রাজ্য পর্যটনের Sendra Tourist Home-এ থাকা ও এখানকার রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে পারবেন। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের কনডাকটেড ট্যুরে এই জাতীয় উদ্যান দেখে নেওয়া যায়। আর একটি মনোরম থাকার জায়গা হ'ল লোকতাক লেকের পশ্চিমে অবস্থিত Phubala Tourist Complex.
মোরে ( Moreh ):- ইম্ফল থেকে সড়কপথে পাঁচ ঘন্টা যাত্রাপথের শেষে ১১০ কিলোমিটার দূরে মায়ানমার সীমান্তের পাশে এই মোরে শহরটি অবস্থিত। এই জায়গাটি বিখ্যাত বিদেশী পণ্য কেনাবেচার কেন্দ্র হিসেবে। এখানকার দোকানপাটে বিভিন্ন ধরনের বিদেশী জিনিস কিনতে পারবেন। থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল ও গেস্ট হাউস আছে। যাওয়ার পথে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের প্যালেল ( Pallel ) দেখে নিতে পারেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের স্মৃতি বিজড়িত এই প্যালেল। সময় হাতে থাকলে ও সম্ভব হলে ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ড অথবা পাসপোর্ট দেখিয়ে Indian Immigration Booth থেকে Day Pass করিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে মোরে শহর থেকে মাত্র ৫ কি. মি. দূরত্বের মায়ানমারের তামু শহর ( Tamu City, Myanmar ) ঘুরে আসতে পারেন। এককথায় ছোট্ট বিদেশ ভ্রমণ হয়ে যাবে। দেখবেন রাস্তার পাশের দোকানগুলোতে অনেক সস্তা দামে থাইল্যান্ড ও চীনের বিভিন্ন জিনিস বিক্রি হচ্ছে।
কাঞ্চিপুর ( Canchipur ):- বহু বছর পূর্বে জয় সিং ও গম্ভীর সিং-এর সময়ে ইম্ফলের শহরতলি এই কাঞ্চিপুর ছিল মণিপুরের রাজধানী। মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়টিও ( Manipur University ) এখানে অবস্থিত।
থৌবাল ( Thoubal ):- এই সাব-ডিভিশনাল শহরটি ভারত-মায়ানমার জাতীয় সড়কের উপর অবস্থিত। এর ঐতিহাসিক তাৎপর্য আছে। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশদের সাথে মণিপুররাজের যুদ্ধ এই স্থানেই হয়েছিল। বর্তমান রাজধানীর সাথে বাস যোগাযোগ আছে।
ককচিঙ ( Kakching ):- ১৮ ও ১৯ শতকে মণিপুর ও তৎকালীন ব্রহ্মদেশের মধ্যে অনেকগুলি যুদ্ধ এই ছোট শহরটিতেই হয়েছিল।
কায়না ( Kaina ):- এটি একটি বৈষ্ণব তীর্থ। ইম্ফল থেকে মোটামুটি ৩০ কি. মি. দূরে ৯২০ মিটার উঁচুতে এই পবিত্র স্থানটি অবস্থিত। এখানে শ্রী গোবিন্দজীর মন্দির আছে। শোনা যায় যে, স্বয়ং ভগবান গোবিন্দজী কায়নাতেই মহারাজ জয় সিংকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে এইখানে তাঁর মন্দির তৈরি করতে নির্দেশ দেন। ভগবানের ইচ্ছামতো কাঁঠাল গাছে ঘেরা এই জায়গায় মন্দির নির্মাণ হয়। দেবতার মূর্তিটিও হয় কাঁঠাল কাঠ দিয়ে। চারিপাশের পরিবেশ অত্যন্ত সুন্দর। ইম্ফল বাসে করে এক ঘন্টায় এখানে পৌঁছে যেতে পারবেন। Kaina Tourist Home-এ থাকতে পারবেন।
উখরুল ( Ukhrul ):- এটি হ'ল মণিপুর রাজ্যের বিখ্যাত শৈলশহর। আবহাওয়া অনুযায়ী সিমলার সাথে কিছুটা মেলে। অত্যন্ত সুন্দর জায়গা। ইম্ফল শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে মোটামুটি ৬০০০ ফুট উঁচুতে থিরই পর্বতে অবস্থিত। আর একটি বৈশিষ্ট্য হ'ল থরে থরে ফুঁটে থাকা লিলি ফুল। টাঙখুল নাগারা এখানে বসবাস করেন। এনারা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ও যুদ্ধে ওস্তাদ হন। খ্রিস্টমাস অর্থাৎ বড়দিনের সময় এই Hill Station উৎসবে মেতে ওঠে। ইম্ফল থেকে বাসে বা গাড়িতে তিন ঘন্টা সময় লাগে। যাতায়াতের রাস্তার সৌন্দর্যও অতুলনীয়। রাজ্য পর্যটন দপ্তরের কনডাকটেড ট্যুরেও উখরুল ঘুরে আসতে পারেন। থাকতে চাইলে PWD বাংলোয় থাকতে পারেন। চাইলে এখান থেকে Kangkhui Lime Cave বা কাঙখুই চুনের গুহাটিও দেখে আসতে পারেন।
কাংচুপ ( Kangchup ):- ইম্ফল থেকে মাত্র ১৫ কি. মি. পশ্চিমে প্রায় ১০০০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত খুব সুন্দর পাহাড়ি স্বাস্থ্যকর জায়গা এটি। থাকার জন্য পি. ডাব্লিউ. ডি. বাংলো আছে।
মাও ( Mao ):- ইম্ফল থেকে ১০৭ কি. মি. দূরে ডিমাপুর যাওয়ার জাতীয় সড়কের উপর এই সীমান্তবর্তী শহরটি অবস্থিত। চেকপোস্ট পেরিয়েই নাগাল্যান্ড রাজ্য। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭৮৮ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এখানে মাও নাগারা বসবাস করেন। অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর জায়গা। আবহাওয়া অতি মনোরম। হাতের নাগালেই মেঘেদের ভেসে বেড়ানো দেখতে পাবেন। অবশ্যই একবার আসা উচিত।
চুরাচাঁদপুর ( Churachandpur ):- মণিপুরের রাজধানী শহর থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে এই সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক সুন্দর শহরটি রয়েছে। এখানে কুকি উপজাতির লোকেরা বেশি বাস করেন। এঁদের হস্তশিল্প সত্যিই অসাধারণ। ফেরার সময় কয়েকটি কিনে নিয়ে যান স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে। এর কাছে আছে আকর্ষণীয় টঙলন গুহা ( Tonglon Cave )। তবে, সাবধানে যাবেন। অনেকরকম বন্য জন্তু জানোয়ার আছে। আর রয়েছে খুগা উপত্যকা ( Khuga Valley )।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, Don't Spam.
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷