মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

[ Tourist Destinations Gujarat Western India Tourism ]

PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT GUJARAT:-     

               আরব সাগরের তীরে অবস্থিত পশ্চিম উপকূলের এই রাজ্য পর্যটন সম্পদ ও তার বৈচিত্র্যে ভরপুর। অনেকে একে Jewell of The West India - ও বলে থাকেন। বাস্তবিকই তা সম্পূর্ণ সত্য। আগে এটি গুর্জরদের দেশ ছিল। এই গুর্জর ( Gurjar ) শব্দ থেকেই গুজরাট কথাটির উৎপত্তি। দশম শতকে চালুক্য সম্রাট মূলরাজ সোলাঙ্কির হাত ধরে আধুনিক গুজরাটের সৃষ্টি। ইতিহাস অনুসারে, প্রায় ৫০০০ বছর আগে গুজরাট ছিল ভারতীয় সভ্যতার পিঠস্থান। খ্রীস্টজন্মের প্রায় ২৫০০ বছর আগে হরপ্পার বাসিন্দারা কচ্ছের রান ( Runn of Kutch ) পেরিয়ে এসে নর্মদা নদী উপত্যকায় ( Narmada River Valley ) স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। শিক্ষা ও সভ্যতায় যথেষ্ট উন্নত ছিল এই রাজ্য। খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ শতকে সেই অতীত ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যদিও তার অল্পবিস্তর নিদর্শন এখনো মেলে লোথাল, আমরি, রংপুর, রোজারিতে। হিন্দুদের পবিত্র তীর্থক্ষেত্র দ্বারকা ও সোমনাথ মন্দিরের অবস্থানও এই রাজ্যে। ১৯৫০ সালের ১লা মে এটি স্বতন্ত্র রাজ্যের স্বীকৃতি পায়।

            এর রাজধানী গান্ধীনগর ( Gandhinagar )। বৃহত্তম শহর আহমেদাবাদ ( Largest City Ahmedabad )। মোট এলাকা বা আয়তন ১৯৬০২৪ বর্গ কি.মি. ( ৭৫৬৮৫ বর্গ মাইল )। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ৬০৩৮৩৬২৫। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ৯১৭ ( Sex Ratio of Male and Female )। প্রতি বর্গ কি.মি.তে জনঘনত্ব ( Population Density ) অর্থাৎ মানুষ বাস করে প্রায় ৩১০ জন। অধিবাসীদের বলা হয় গুজরাটি ( Gujrati )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৭৯.০১%। প্রধান ভাষা ( Main Official Language ) গুজরাটি। এছাড়াও, হিন্দি ও ইংরেজিরও ( Other Languages) ভালো চল আছে। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Per Head / Per Capita Annual Income ) ১৭৪৬৫০ টাকা।

WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE. AVERAGE WEATHER OR CLIMATE:-

              ভ্রমণের সেরা মরশুম বা সময় হলো অক্টোবর থেকে মার্চ মাস। এই সময় এখানের আবহাওয়া থাকে মনোরম। তাপমাত্রা ৫৫° থেকে ৯৫° ফারেনহাইটের মধ্যে ওঠানামা করে। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বেশি গরম পড়ে। আর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষাকাল। এই সময় রাজ্যের দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। আর উত্তরে আছে শুষ্ক আবহাওয়ার বিখ্যাত কচ্ছের রান ( মরু অঞ্চল )।

Gujarat State Government Official Portal -
https://www.gujaratindia.gov.in

Tourism Department Web Address -
https://www.gujarattourism.com

                   মোট জেলা ( Total Number  of Districts is 33 ) আছে ৩৩টি। আর এই জেলাগুলিকে চারটি অঞ্চলে ( Four Regions ) ভাগ করা হয়েছে প্রশাসনিক সুবিধার জন্য।

(1) মধ্য গুজরাট ( Central Gujarat Region ) - আহমেদাবাদ ( Ahmedabad ), ভাদোদরা ( Vadodara ), আনন্দ ( Anand ), ছোট উদয়পুর ( Chhota Udaipur ), দাহোড় ( Dahod ), খেড়া ( Kheda ), মাহিসাগর ( Mahisagar ), পাঁচমহল ( Panchmahal ),

(2) উত্তর গুজরাট ( North Gujarat Region ) - গান্ধীনগর ( Gandhinagar ), আরাবল্লী ( Aravalli ), বনসকন্ঠ ( Banaskantha ), মেহসানা ( Mehsana ), পাটান ( Patan ), সাবরকন্ঠ ( Sabarkantha ),

(3) সৌরাষ্ট্র-কচ্ছ ( Saurashtra - Kutch Region ) - রাজকোট ( Rajkot ), আমরেলি ( Amreli ), ভাবনগর ( Bhavnagar ), বোটাড্ ( Botad ), দেবভূমি দ্বারকা ( Devbhoomi Dwarka ), গির সোমনাথ ( Gir Somnath ), জামনগর ( Jamnagar ), জুনাগড় ( Junagadh ), মোরবি ( Morbi ), পোরবন্দর ( Porbandar ), সুরেন্দ্রনগর ( Surendranagar ), কচ্ছ ( Kachchh ),

(4) দক্ষিণ গুজরাট ( South Gujarat Region ) - সুরাট ( Surat ), ভারুচ ( Bharuch ), ডাঙ্ ( Dang ), নর্মদা ( Narmada ), নবসারি ( Navsari ), টাপি ( Tapi ), ভালসাড্ ( Valsad )।

ALL TOTAL LIST OF 36 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-

(i) Rann Utsav, (ii) International Kite Festival, (iii) Beach Festival, (iv) Chitra Vichitra Fair, (v) Dang Darbar, (vi) Easter Gujarat, (vii) Gandhi Jayanti, (viii) Good Friday, (ix) Global Bird Watchers Conference, (x) Guru Purnima, (xi) Holi, (xii) Id ul Fitr, (xiii) Eid ul Zoha, (xiv) Maha Shivaratri, (xv) Mahavir Jayanti, (xvi) Mango Festival, (xvii) May Day, (xviii) Modhera Dance Festival, (xix) Mansoon Fest, (xx) Paragliding Utsav, (xxi) Ram Navami, (xxii) Shab E Barat, (xxiii) Tarnetar Mela, (xxiv) Vadfest Vadodara, (xxv) Navratri Dandia Utsav, (xxvi) Republic Day, (xxvii) Bhavnath Mahadev Fair, (xxviii) Vautha Mela, (xxix) Bhadra Poornima Fair, (xxx) Madhav Rai Fair, (xxxi) Shamlaji Melo, (xxxii) Makar Sankranti, (xxxiii) Rath Yatra, (xxxiv) Janmashtami, (xxxv) Ravechi Fair, (xxxvi) Kavant Mela.

এই রাজ্যের যেকোন জায়গায় যাওয়া আসা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারে আগে থাকতে অনলাইন বুকিং-এর জন্য নীচের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। [ FOR ONLINE BOOKING OF FOODS / FLIGHTS, TRAIN / RAILWAY RESERVATION, HOUSES ON RENT/ FLATS RENTAL / LODGES / RESORTS / HOMESTAYS / TENTS / HOTELS ROOMS IN ANY PLACE WITH DISCOUNT, CHEAP AIR TICKETS, BUS BOOKING, CAR HIRE ]:-
1. https://www.trivago.in
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com

TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN GUJARAT  WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS:-

গান্ধীনগর ( Gandhinagar ) - ১৯৬০ সালে বম্বে প্রভিন্সকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য গঠন করা হয়। তখনকার মতো গুজরাটের রাজধানী করা হয় আমেদাবাদকে। পরে চিন্তাভাবনা করে ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে সবরমতী নদীর পশ্চিম পাড়ে প্রায় ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে সুপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠতে শুরু করে জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর নামে নতুন এই রাজধানী শহর গান্ধীনগর। ১৯৭০ সাল নাগাদ রাজ্য সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর স্থানান্তরিত হয়েছিল পুরনো Capital City থেকে প্রায় ৩০ কি. মি. দূরবর্তী এই নতুন রাজধানী শহরে। এটি বিশ্বের অন্যতম সবুজ রাজধানী শহর হিসেবে পরিগণিত হয়। প্রায় ৩৫ লক্ষ বৃক্ষ এখানকার সৌন্দর্য বাড়াতে এবং পরিবেশ অনেকটাই দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য করছে। ৩০ টি সেক্টরে বিভক্ত। রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে বর্ণ ও সংখ্যা দিয়ে।

গুজরাট পর্যটনের ট্যুরিস্ট অফিস রয়েছে ১৬ নম্বর সেক্টরে। ১০ নম্বর সেক্টরে রয়েছে সুন্দর স্থাপত্যশৈলীর বিঠলভাই প্যাটেল ভবন অর্থাৎ বিধানসভা। এই বিল্ডিংটি লেক দ্বারা পরিবৃত। সর্দার ভবন, নর্মদা ভবনের সৌন্দর্যেরও কোন তুলনা হয় না। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন ডিজাইন ( NIFD School ), ইলেকট্রনিক এস্টেট আছে এই শহরটিতে। সেক্টর ২৮-এ রয়েছে চিলড্রেন পার্ক। এই শিশু উদ্যানে বিভিন্ন বিনোদনের পসরার সাথে সাথে মিনি ট্রেনও চলছে। সেক্টর ৯-এ রয়েছে সরিতা পিকনিক উদ্যান ( Sarita Picnic Spot )। এর গায়ে আছে ডিয়ার পার্ক ( Deer Park )। ইনড্রোডা প্রকৃতি উদ্যানে ( Indroda Nature Park ) রয়েছে বটানিক্যাল গার্ডেন, সাপের ঘর, কুমির পুকুর, তিমির কঙ্কাল, কচ্ছপের গুহা সহ অনেক ধরনের জীবজন্তু। এছাড়া, এই পার্কে গ্রিন হাউস, ওয়াইল্ডারনেস পার্ক, ৩০০ প্রজাতির ক্যাকটাস নিয়ে ক্যাকটাস হাউস, ২৫০ রকমের গাছপালা, বিভিন্ন ওষধি গাছ আছে যেগুলি এই জায়গার আকর্ষণকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার বন্ধ। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সেক্টর ১৫য় Sports Authority of India বা SAI- এর কর্মকাণ্ড ও উদ্যোগগুলিকে নিজের চোখেই পরখ করে নিন। এন্টারটেইনমেন্ট পার্কটিরও যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।

রাজধানীর আর এক আকর্ষণ বৈদিক আদর্শে গড়ে তোলা অক্ষরধাম কালচারাল কমপ্লেক্স ( BAPS Akshardham Temple, Gandhinagar )। এখানেই ২০০২ সালে জঙ্গীদের হাতে ২৬ জনের প্রানহানি ঘটে। উত্তরপ্রদেশ থেকে শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে অনেক আগে এই গুজরাটে চলে আসেন লর্ড স্বামীনারায়ণ ( Lord Swaminarayan )। ৭ বছর এই রাজ্যে অবস্থান করার সময়ে মোট ৬ টি মন্দির গড়ে তোলেন। বর্তমানে সারা পৃথিবী জুড়ে মোট মন্দিরের সংখ্যা ১৫০-রও বেশি। ২০ নং সেক্টরে ২৩ একর জমির উপর ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বরূপ শাস্ত্রীজি মহারাজ তাঁদের স্বামীনারায়ণ সংগঠনের সদর দপ্তর এই অক্ষরধাম স্বামীনারায়ণ মন্দিরটি তৈরি করেন। কয়েক হাজার মেট্রিক টন গোলাপি রঙের বেলেপাথর দিয়ে ১০৮ ফুট উঁচু মন্দিরটিতে মাথায় গম্বুজযুক্ত শতাধিক স্তম্ভ রয়েছে। যেগুলোর চন্দন কাঠের কারুকার্যময় ভাস্কর্য সত্যি অতুলনীয়। স্বামীনারায়ণ মহারাজের মূর্তিটিও অসাধারণ। তাঁর শেখানো বৈদিক আদর্শের কর্মকাণ্ড নিয়ে সদাব্যস্ত এই পবিত্র স্থানটি। দোতলার মিউজিয়াম, মন্দিরের লাগোয়া অডিটোরিয়াম, সহজানন্দ বনে গিয়ে দেখে নিন হিন্দু পুরাণের নানা দেবদেবীর মূর্তির অসামান্য ভাস্কর্য। এই চত্বরেই আছে Restaurant, Children Amusement Park, Car Parking Place ইত্যাদি। প্রতিদিন সকাল ৯ - ৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭ - ৩০ অবধি খোলা থাকে। প্রত্যেক শনিবার ও রবিবার পুরো এলাকা সুন্দর আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়ে ওঠে। সে এক অপূর্ব দৃশ্য।

কিভাবে আসবেন এখানে?

                  রাজ্যের সমস্ত বড়ো ও মাঝারি শহরের সাথে বাস ও রেলপথে যোগাযোগ রয়েছে। GSRTC-এর সরকারি বাস আমেদাবাদ থেকে নিয়মিত চলাচল করছে। লাল দরজা বাস স্ট্যান্ডের পিছনে অবস্থিত হোমগার্ড মাঠ থেকে ১০-১৫ মিনিট অন্তর এই বাস যাচ্ছে। রেলপথে ও বিমানে ভারতবর্ষের যেকোন প্রান্ত থেকে আমেদাবাদ হয়ে এই শহরে পৌঁছতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন?

                     প্রাইভেট হোটেলের সংখ্যা সেরকম হারে বৃদ্ধি না হলেও থাকার কোন সমস্যা হবে না। প্রচুর সরকারি ও আধাসরকারি হোটেল-লজ-রিসর্ট রয়েছে। ব্যবস্থাপনা যথেষ্টই ভালো। উপরের লিঙ্ক থেকে বুকিং করে নিন। ডিসকাউন্ট পেতে পারেন। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, Don't Spam.

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷