PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT MEGHALAYA:-
উত্তর-পূর্ব ভারতের আর একটি সুন্দর রাজ্য মেঘালয়। মেঘেদের স্বর্গরাজ্য বা বাসস্থান অথবা অবাধ বিচরণক্ষেত্র - এই ভাবনা থেকে শব্দটির উৎপত্তি। এটিও উচুঁনিচু পাহাড়, সবুজ বনাঞ্চল, প্রাকৃতিক মনোরম সবুজ-পান্না লেক আর সহজ সরল আদিম উপজাতি অধ্যুষিত একটি রাজ্য। এখানে অনেকগুলি বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয় আছে যেগুলির টানে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এখানে ছুটে আসে। তার মধ্যে কয়েকটির উল্লেখ প্রথমেই না করে পারছি না। সেগুলো হল - বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড, হাজারো রকমের উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী, অসংখ্য প্রজাতির মথ ও প্রজাপতি, ভারতের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল চেরাপুঞ্জি ও মৌসিনরাম।
খাসি, জয়ন্তিয়া ও গারো উপজাতির মানুষ এখানে বেশি সংখ্যায় বাস করেন। এদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মাচরণ, পোশাকপরিচ্ছদও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। এনারা ইংরেজি এবং রোমান হরফে লেখেন। প্রাচীনকালে নরবলিরও প্রথা প্রচলিত ছিল এদের সমাজে। এমনকি একসময়ে প্রতি ঘরে মানুষের খুলি ঝুলিয়ে রাখা হতো। গারো সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষেরা এখানে আসেন তিব্বত থেকে। খাসিরা আসেন দক্ষিণ চীন থেকে। আর জয়ন্তীয়ারা হলেন মঙ্গোলিয়ানদের উত্তরসূরি।
এই রাজ্যের মানুষেরা ফুল অসম্ভব ভালোবাসেন। তাই প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে অতিযত্নে লাগানো ও প্রতিপালন করা প্রচুর সুন্দর সুগন্ধি বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ। নাচে-গানে-আনন্দে-উৎসবে মেতে থাকতে পছন্দ করেন এখানকার বাসিন্দারা। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এনারা প্রত্যেকেই গানের সাথে গিটার বাজাতে ভালোবাসেন। এখানকার অধিবাসীরা খুবই বন্ধুবৎসল ও অতিথি পরায়ন হন। সমাজজীবন এখনও মাতৃতান্ত্রিক। নামের পরে মেয়েদের পদবীই ব্যবহৃত হয়। মেয়েরা হাটবাজার, ব্যাবসা বানিজ্য, অফিস কাছারি পরিচালনা করছে। পুরুষেরা ঘরে থাকতেই ভালোবাসেন। যে কোন পরিবারের সবচেয়ে ছোট অর্থাৎ কনিষ্ঠা কন্যাই সেই পরিবারের প্রধান উত্তরাধিকারী অর্থাৎ গৃহকর্ত্রী।
রাজধানীর ( Capital City ) নাম শিলং ( Shillong )। রাজ্যের মোট এলাকা ( Total Area ) বা আয়তন হলো ২২৪২৯ বর্গ কি.মি. বা ৮৬৬০ বর্গ মাইল। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ২৯৬৪০০০। প্রতি ১০০০ পুরুষ পিছু নারীর সংখ্যা ৯৮৬ ( Sex Ratio of Male and Female )। জনঘনত্ব ( Population Density ) অথবা ১ বর্গ কি.মি.তে বাস করেন ১৩৩ জন। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) প্রায় ৭৬%। এখানকার অধিবাসীদের প্রধান ভাষা ( Main Languages ) হলো খাসি, জয়ন্তীয়া ও গারো। সরকারি ভাষা ( Official Language ) ইংরেজি। এছাড়া, ( Other Languages ) বাংলা ও হিন্দিরও বেশ চল আছে। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Per Head / Per Capita Yearly Income ) প্রায় ৮৫৬১০ টাকা।
AVERAGE WEATHER OR CLIMATE. WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE:-
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১৫° থেকে ২৪° সেলসিয়াস ও শীতকালে ৩° থেকে ১৬° সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। এখানে বৃষ্টিপাত হয় নজিরবিহীনভাবে প্রচুর পরিমাণে। বর্ষাকালের ব্যাপ্তিও বেশি। মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এখানে বর্ষাকাল। গ্রীষ্মকাল হালকা পোশাকে চলে গেলেও শীতে ভারী গরম পোশাকের প্রয়োজন হয়। সারা বছরের যে কোন সময়ই এখানে ঘুরতে আসতে পারেন। তবে, সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো ১লা মার্চ থেকে ১৫ই জুলাই এবং ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত। খুব সম্প্রতি মেঘালয় সরকার ভারত তথা বিশ্বের যে কোন ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য রাজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যেকেউ যেকোন সময় এখানে কোন বিশেষ সরকারি অনুমতি ছাড়াই বেড়াতে আসতে পারবেন।
State Government Official Portal -
http://www.meghalaya.gov.in
Department of Tourism Website -
http://www.megtourism.gov.in
মোট তিনটি ডিভিশন, ১১টি জেলা ও এগারোটি জেলা সদর ( বন্ধনীতে Districts & Sub Divisions - এর নাম দেওয়া আছে ) রয়েছে।
(1) Jaintia Hills Division - West Jaintia Hills ( Jowai ), East Jaintia Hills ( Khliehriat ).
(2) Khasi Hills Division - East Khasi Hills ( Shillong ), West Khasi Hills ( Nongstoin ), South West Khasi Hills ( Mawkyrwat ), Ri-Bhoi ( Nongpoh ).
(3) Garo Hills Division - North Garo Hills ( Resubelpara ), East Garo Hills ( Williamnagar ), South Garo Hills ( Baghmara ), West Garo Hills ( Tura ), South West Garo Hills ( Ampati ).
ALL TOTAL LIST OF 18 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(i) Khasi Festival, (ii) Ka Shad Suk Mynsiem Dance, (iii) Ka Pom Blang Nongkrem Dance, (iv) Jaintia Festival, (v) Behdeinkhlam Fest, (vi) Loho Dance, (vii) Chad Sukra, (viii) Wangala Utsav, (ix) Autumn Festival, (x) Strawberry Fest, (xi) Ranikor Utsav, (xii) Bacardi NH7 Weekender, (xiii) Ka Shad Shyngwiang Thangiap, (xiv) Ka Shad Kynjoh Khaskain, (xv) Ka Bam Khana Shnong, (xvi) Umsan Nongkharai and Shad Beh Sier, (xvii) Wanma Rongchua, (xviii) Mangona or Chugana.
উত্তর-পূর্ব ভারতের আর একটি সুন্দর রাজ্য মেঘালয়। মেঘেদের স্বর্গরাজ্য বা বাসস্থান অথবা অবাধ বিচরণক্ষেত্র - এই ভাবনা থেকে শব্দটির উৎপত্তি। এটিও উচুঁনিচু পাহাড়, সবুজ বনাঞ্চল, প্রাকৃতিক মনোরম সবুজ-পান্না লেক আর সহজ সরল আদিম উপজাতি অধ্যুষিত একটি রাজ্য। এখানে অনেকগুলি বিশেষ আকর্ষণীয় বিষয় আছে যেগুলির টানে দূর-দূরান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এখানে ছুটে আসে। তার মধ্যে কয়েকটির উল্লেখ প্রথমেই না করে পারছি না। সেগুলো হল - বিভিন্ন প্রজাতির অর্কিড, হাজারো রকমের উদ্ভিদ ও বন্যপ্রাণী, অসংখ্য প্রজাতির মথ ও প্রজাপতি, ভারতের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতযুক্ত অঞ্চল চেরাপুঞ্জি ও মৌসিনরাম।
খাসি, জয়ন্তিয়া ও গারো উপজাতির মানুষ এখানে বেশি সংখ্যায় বাস করেন। এদের ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্মাচরণ, পোশাকপরিচ্ছদও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের। এনারা ইংরেজি এবং রোমান হরফে লেখেন। প্রাচীনকালে নরবলিরও প্রথা প্রচলিত ছিল এদের সমাজে। এমনকি একসময়ে প্রতি ঘরে মানুষের খুলি ঝুলিয়ে রাখা হতো। গারো সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষেরা এখানে আসেন তিব্বত থেকে। খাসিরা আসেন দক্ষিণ চীন থেকে। আর জয়ন্তীয়ারা হলেন মঙ্গোলিয়ানদের উত্তরসূরি।
এই রাজ্যের মানুষেরা ফুল অসম্ভব ভালোবাসেন। তাই প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে অতিযত্নে লাগানো ও প্রতিপালন করা প্রচুর সুন্দর সুগন্ধি বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ। নাচে-গানে-আনন্দে-উৎসবে মেতে থাকতে পছন্দ করেন এখানকার বাসিন্দারা। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এনারা প্রত্যেকেই গানের সাথে গিটার বাজাতে ভালোবাসেন। এখানকার অধিবাসীরা খুবই বন্ধুবৎসল ও অতিথি পরায়ন হন। সমাজজীবন এখনও মাতৃতান্ত্রিক। নামের পরে মেয়েদের পদবীই ব্যবহৃত হয়। মেয়েরা হাটবাজার, ব্যাবসা বানিজ্য, অফিস কাছারি পরিচালনা করছে। পুরুষেরা ঘরে থাকতেই ভালোবাসেন। যে কোন পরিবারের সবচেয়ে ছোট অর্থাৎ কনিষ্ঠা কন্যাই সেই পরিবারের প্রধান উত্তরাধিকারী অর্থাৎ গৃহকর্ত্রী।
রাজধানীর ( Capital City ) নাম শিলং ( Shillong )। রাজ্যের মোট এলাকা ( Total Area ) বা আয়তন হলো ২২৪২৯ বর্গ কি.মি. বা ৮৬৬০ বর্গ মাইল। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ২৯৬৪০০০। প্রতি ১০০০ পুরুষ পিছু নারীর সংখ্যা ৯৮৬ ( Sex Ratio of Male and Female )। জনঘনত্ব ( Population Density ) অথবা ১ বর্গ কি.মি.তে বাস করেন ১৩৩ জন। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) প্রায় ৭৬%। এখানকার অধিবাসীদের প্রধান ভাষা ( Main Languages ) হলো খাসি, জয়ন্তীয়া ও গারো। সরকারি ভাষা ( Official Language ) ইংরেজি। এছাড়া, ( Other Languages ) বাংলা ও হিন্দিরও বেশ চল আছে। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Per Head / Per Capita Yearly Income ) প্রায় ৮৫৬১০ টাকা।
AVERAGE WEATHER OR CLIMATE. WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE:-
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা ১৫° থেকে ২৪° সেলসিয়াস ও শীতকালে ৩° থেকে ১৬° সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে। এখানে বৃষ্টিপাত হয় নজিরবিহীনভাবে প্রচুর পরিমাণে। বর্ষাকালের ব্যাপ্তিও বেশি। মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এখানে বর্ষাকাল। গ্রীষ্মকাল হালকা পোশাকে চলে গেলেও শীতে ভারী গরম পোশাকের প্রয়োজন হয়। সারা বছরের যে কোন সময়ই এখানে ঘুরতে আসতে পারেন। তবে, সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হলো ১লা মার্চ থেকে ১৫ই জুলাই এবং ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ই নভেম্বর পর্যন্ত। খুব সম্প্রতি মেঘালয় সরকার ভারত তথা বিশ্বের যে কোন ভ্রমণপিপাসু মানুষের জন্য রাজ্যের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। যেকেউ যেকোন সময় এখানে কোন বিশেষ সরকারি অনুমতি ছাড়াই বেড়াতে আসতে পারবেন।
State Government Official Portal -
http://www.meghalaya.gov.in
Department of Tourism Website -
http://www.megtourism.gov.in
মোট তিনটি ডিভিশন, ১১টি জেলা ও এগারোটি জেলা সদর ( বন্ধনীতে Districts & Sub Divisions - এর নাম দেওয়া আছে ) রয়েছে।
(1) Jaintia Hills Division - West Jaintia Hills ( Jowai ), East Jaintia Hills ( Khliehriat ).
(2) Khasi Hills Division - East Khasi Hills ( Shillong ), West Khasi Hills ( Nongstoin ), South West Khasi Hills ( Mawkyrwat ), Ri-Bhoi ( Nongpoh ).
(3) Garo Hills Division - North Garo Hills ( Resubelpara ), East Garo Hills ( Williamnagar ), South Garo Hills ( Baghmara ), West Garo Hills ( Tura ), South West Garo Hills ( Ampati ).
ALL TOTAL LIST OF 18 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(i) Khasi Festival, (ii) Ka Shad Suk Mynsiem Dance, (iii) Ka Pom Blang Nongkrem Dance, (iv) Jaintia Festival, (v) Behdeinkhlam Fest, (vi) Loho Dance, (vii) Chad Sukra, (viii) Wangala Utsav, (ix) Autumn Festival, (x) Strawberry Fest, (xi) Ranikor Utsav, (xii) Bacardi NH7 Weekender, (xiii) Ka Shad Shyngwiang Thangiap, (xiv) Ka Shad Kynjoh Khaskain, (xv) Ka Bam Khana Shnong, (xvi) Umsan Nongkharai and Shad Beh Sier, (xvii) Wanma Rongchua, (xviii) Mangona or Chugana.
এই রাজ্যের যেকোন জায়গায় যাওয়া আসা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারে আগে থাকতে অনলাইন বুকিং-এর জন্য নীচের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। [ FOR ONLINE BOOKING OF FOODS / FLIGHTS, TRAIN / RAILWAY RESERVATION, HOUSES ON RENT/ FLATS RENTAL / LODGES / RESORTS / HOMESTAYS / TENTS / HOTELS ROOMS IN ANY PLACE WITH DISCOUNT, CHEAP AIR TICKETS, BUS BOOKING, CAR HIRE ]:-
1. https://www.trivago.in
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN MEGHALAYA WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS:-
শিলং ( Shillong ) - আমাদের দেশে যে কয়টি অতি মনোরম ও সুবিখ্যাত শৈলশহর ( Hill Station ) আছে, তার মধ্যে অন্যতম হ'ল মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী তথা East Khasi Hills District- এর সদর শহর এই শিলং। এমনকি সাহিত্য ও সঙ্গীতেও এর উল্লেখ যথেষ্ট ভালো পরিমাণে রয়েছে। প্রায় ১৫০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত পাইন-ফার গাছে ছাওয়া, ফুল-ফলে সমৃদ্ধ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় সুন্দরী এই স্থানটির আকর্ষণ উপেক্ষা করার সাধ্য কারোরই নেই। ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে তৎকালীন অসমের ব্রিটিশ কমিশনার ইউরোপীয় আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সাথে মিল থাকার কারণে এই শহরের খুব কাছের Nongkhlaw নামক স্থানে প্রথম বাংলো কটেজ গড়ে তোলেন। খাসিরা এর প্রতিবাদ করায় ১৮৩৫ নাগাদ চেরাপুঞ্জিতে সরে যায় ব্রিটিশেরা। তখনকার মতো চেরাপুঞ্জিতেই জেলা সদর স্থাপনা করে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে থাকেন। পরে ১৮৬৪-তে খাসি রাজার কাছ থেকে জমি পেয়ে আবার ব্রিটিশেরা এখানে এসে আপার শিলংয়ে ক্যান্টনমেন্ট গড়েন, আর লোয়ার অংশে খাসিয়াদের সাথে মিলেমিশে পরিকল্পিত শহরের পত্তন করেন। ইংল্যান্ডের মতন জলবায়ু হওয়ার কারণে এই মনোরম স্থানটিকে Scotland of the East নামেও অভিহিত করেন তাঁরা। সেইসময়ে ত্রিপুরা, চারখারি, মণিপুর, ময়ূরভঞ্জ রাজপরিবারও এখানে শৈলাবাস গড়েন। কিন্তু, ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে আগের শহর পুরোপুরি ধ্বংস হতে আবার নতুন আঙ্গিকে সেজে ওঠে এই পাহাড়ি অঞ্চল। ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হওয়ার কারণে এখানকার বাড়িঘর হয় কাঠের, আর ছাদ হয় করোগেটেড টিনের। রাজভবনটি সেই অতীতের নিদর্শন হিসেবে এখনও স্বমহিমায় বিরাজ করছে। এটি একসময় অবিভক্ত অসমের রাজধানীও ছিল। স্থানীয় মানুষেরা খুবই প্রাণোচ্ছল। এরা নাচ, গান, বাজনা অত্যন্ত পছন্দ করেন।
সবার মতে এখানে ঘুরতে যাবার সেরা সময় ( Best Time to Travel / Visit ) মার্চ থেকে জুন মাস ও অক্টোবর-নভেম্বর মাস হলেও বছরের যেকোন সময়ই এখানে বেড়াতে আসা যায়। শীতকালে যেমন বরফ পড়ে না, তেমনি গ্রীষ্মকালে সেরকম গরমও থাকে না। মোটামুটি চিরবসন্তের দেশ বললেও অত্যুক্তি করা হয় না। বর্ষার সময় পাইন-ফার-ধুপি বনে মেঘেরা লুকোচুরি খেলে। বর্ষায় জলপ্রপাতের মাধুর্য যেমন বাড়ে, তেমনি পাহাড়-জঙ্গলের রূপও আরো খোলতাই হয়।
আগের মতো বাঙালি প্রভাব না থাকলেও বাঙালিয়ানার যথেষ্ট ছোঁয়া রয়েছে এখানকার হাটে-বাজারে, দোকানপাটে, হোটেল-রেস্তোরাঁয়। স্থানীয়রা বাঙলাভাষাও বেশ ভালো বুঝতে পারেন। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই পাহাড়ের আনাচেকানাচে। পাইন গাছে ছাওয়া কবিগুরুর বসতবাড়ি মালঞ্চ আজও সেই গর্বিত অতীতের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে এই বাড়িতেই মেঘালয় সরকারের Art and Craft Centre বসেছে। আর সাদা পাথরে খোদাই করে Here Lived Rabindranath Tagore in Oct 1919 লেখা একটি ফলক আছে। ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের আসা যাওয়া ও বসবাস ছিল এই জায়গাটিতে। তাঁর বাড়িতে এখন সার্কিট হাউস বসেছে। স্বাধীনতার পরে দেশবিভাগের কারণে পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা প্রচুর বাঙালি শরণার্থী এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। নগরজীবনে তাঁদের যথেষ্ট প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হ'ল নারী স্বাধীনতার জ্বলন্ত উদাহরণ হিসেবে এই নগরের বাজারে, দোকানে খাসি মেয়েরা অত্যন্ত নৈপুণ্যের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করে চলেছেন। যা দেখলে আপনিও মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
আধুনিক নগরায়নের কারণে দিনে দিনে গাছপালার পরিমাণ কমছে ও বিশাল অট্টালিকার সংখ্যা বাড়ছে। তাই শহরের সৌন্দর্যের ঘাটতিও হয়েই চলেছে। জিনিসপত্রের দামও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গলফ, পোলো, রেস খেলা অনেক আগেই বিদায় নিয়েছে। গ্রীষ্মের দিনগুলোতে তীব্র জলসঙ্কট দেখা দেয়। পর্যটন দপ্তরের অনীহা ও উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা এই পাহাড়ের পর্যটন শিল্পের বিকাশের প্রধান বাধা হিসেবে প্রকট হয়েছে আজ।
শিলং পাহাড়ের একটি গর্বের বিষয় হ'ল শতাব্দী প্রাচীন গলফ্ ক্লাব ( Shillong Golf Club )। শহরান্তে পাইন বনে ঘেরা এই বিশাল গল্ফ কোর্স ( Golf Course )। ১৮৯৮-এ তৈরি করা হয় এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই গল্ফ খেলার মাঠটি। একে Gleneagle of the East বলা হয়। এর ঠিক পাশেই আছে রেস কোর্স ও পোলো গ্রাউন্ড। এখন পোলো খেলা না হলেও এই মাঠে তীরন্দাজী প্রতিযোগিতার আসর বসে। অত্যন্ত আকর্ষণীয় কার্নিভালধর্মী এই প্রতিযোগিতায় নিশানার উপর বাজি ধরা হয়। এই পোলো মাঠের বিপরীতে ট্যুরিস্ট লজের নিচের ঢালে রয়েছে বাঙালির দেবী কালীর মন্দির। আর আছে একটি বৌদ্ধ মন্দির, যার দেবতা এসেছে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে।
শহরের প্রাণকেন্দ্রে রয়েছে সুন্দর উদ্যানসহ ওয়ার্ড লেক ( Ward's Lake )। এই জলাশয়টি ১৮৯৩-৯৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ গঠন করেন তৎকালীন অসমের চিফ কমিশনার স্যার উইলিয়াম ওয়ার্ড মহাশয়। কৃত্রিম এই লেকের মাঝে রয়েছে একটি দ্বীপ, যেটি একটি কাঠের সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করতে হয়। সেতুর উপর দাঁড়িয়ে মাছেদের জলক্রীড়া দেখা সত্যিই এক মনোমুগ্ধকর অভিজ্ঞতা। লেকের জলে বোটিং করারও ব্যবস্থা রয়েছে। লেকের পাশ দিয়ে রাজপথ চলেছে। এই চত্বরের আকর্ষণ আরও বাড়িয়েছে বটানিক্যাল গার্ডেন তথা মিউজিয়াম ( Botanical Garden or Museum ), মুখ্যমন্ত্রীর বাংলো, পাইন গাছে পরিবৃত রাজভবন।
এই পর্যটন স্থলের আর এক অভিনব আকর্ষণ হ'ল ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে Riatsomthiah-য় প্রতিষ্ঠিত হওয়া Wankhar Memorial Museum of Entomology বা প্রজাপতি মিউজিয়াম। নানা রঙের, নানা রকমের সহস্রাধিক প্রজাপতি, মথ, ফড়িং, মাকড়সা রয়েছে এই Butterfly Museum-এ। এই বিশাল সংগ্রহ আপনাকে অবশ্যই মোহিত করবে। এটি শুধুমাত্র সংগ্রহশালাই নয়, এটিকে কীটপতঙ্গের প্রজনন কেন্দ্রও বলা চলে। বিদেশেও চালান হচ্ছে এখানকার প্রজাপতিরা। রবিবার ও অন্যান্য ছুটির দিন ছাড়া প্রত্যেকদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শিশুদের প্রবেশমূল্য বড়দের প্রবেশ মূল্যের অর্ধেক।
G. S. Road-এ একই কমপ্লেক্সে রয়েছে মেঘালয়ের সংস্কৃতি ও উপজাতীয় সমাজজীবনের প্রদর্শনশালা ক্যাপ্টেন উইলিয়ামসন সাংমা স্টেট মিউজিয়াম, মেঘালয় কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ ও সেন্ট্রাল লাইব্রেরি। এই জায়গাগুলিতে রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প, অস্ত্রশস্ত্র, প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের সাথে পুরাতত্ত্বের নানা সম্ভার প্রদর্শিত হয়েছে।
আর একটি অতি মনোরম দর্শনীয় স্থান হ'ল মেঘালয় রাজ্যের উচ্চতম অংশ আপার শিলং পিক ভিউ পয়েন্ট ( Upper Shillong View Point, Laitkor Peak )। পাইন-ফার-বার্চ বনে অধ্যুষিত এই ভিউ পয়েন্ট থেকে পুরো শহর ও আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা খুব পরিস্কারভাবে দেখা যায়। এর গায়ে মেঘেরা ভেসে বেড়ায়। এমনকি নির্মেঘ দিনে হিমালয়ের বেশ কয়েকটি শিখরও এখান থেকে দেখা যায়। এটি Picnic Spot হিসেবেও যথেষ্ট বিখ্যাত। এয়ার ফোর্সের ক্যান্টনমেন্ট হয়ে এই স্থানে পৌঁছতে হয়। বসন্তে এখানে অনুষ্ঠিত U Shulong উৎসবেরও যথেষ্ট খ্যাতি আছে। মূল শহর থেকে বাসে-ট্যাক্সিতে করে অথবা পায়ে হেঁটে যেতে পারেন। জোয়াই-শিলচর রাস্তাটিও গেছে পিকের পাশ দিয়ে।
শহরান্তে হেলিপ্যাড অতিক্রম করে শিলং-চেরাপুঞ্জী রাস্তা ধরে ১২ কি. মি. গিয়ে সামান্য ডাইনে এগোলেই পৌঁছে যাবেন এলিফ্যান্ট ফলসে ( Elephant Water Falls )। ১৭৭ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে সোজা নেমে যান অনিন্দ্যসুন্দর এই জলপ্রপাতের নিচের অংশে। অনবদ্য এর নৈসর্গিক শোভার সাক্ষি হোন। নিচু দিয়ে বয়ে চলেছে সশব্দে ঝরণাধারা। তার সাথে তাল মিলিয়ে যেন মিষ্টি গান করে চলেছে নানা চেনা-অচেনা পাখিরা। সত্যিই আপনার মনে এক অপার্থিব অনুভূতির আবেশ এনে দেবে।
আর এক দ্রষ্টব্য হ'ল Cathedral of Mary Help of Christians বা ডন বসকো ক্যাথিড্রাল ( Don Bosco Cathedral )। ভিতরের সুন্দর তৈলচিত্রগুলিতে চিত্রায়িত যিশুখ্রিষ্টের নানান আখ্যান এই স্থানের আকর্ষণ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। রঙিন কাচে আলোর বিচ্ছুরণ অতি চমকপ্রদ। সকাল ৬ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। কাছে আছে রামকৃষ্ণ মিশন। এছাড়াও এই একই ক্যাম্পাসে মাত্র ২ টাকার টিকিট কেটে Lady Hydary Park, Mini Zoo, Forest Museum দর্শন করতে পারবেন। ক্যামেরার জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে। জাপানি প্রথার লেডি হায়দারি পার্কে ক্যামেলিয়া গাছ ও ফুল দেখতে পাবেন। শহর থেকে অল্প দূরেই রয়েছে ক্রিনোলাইন ফলস ও সুইমিংপুল ( Crinoline Falls & Swimming Pool )। এই চত্বরের লাগোয়া বনসাই ও অর্কিড বাগানটি এই জায়গাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
প্যাকেজ ট্যুরের বাসে করে ওয়ার্ড'স লেক, গলফ ক্লাব দেখে বিডন ও বিশপ জলপ্রপাত দেখে আসতে পারেন। ৬ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গানার্স ফলস। শিলং থেকে ১৭ কি. মি. দূরে গুয়াহাটি যাবার পথে জাতীয় সড়কের পাশে কৃত্রিম জলাশয় উমিয়ম লেক ( Umiam Lake ) অবস্থিত। খাসি ভাষায় উমিয়ম শব্দের বাংলা অর্থ হ'ল ( Meaning in Bengali of Umiam Word ) চোখের জল। এখানে জলবিদ্যুৎ তৈরি হয়। অনেকে একে বড়াপানিও ( Barapani ) বলে থাকেন। চারিদিকে পাহাড়, নীল জল, সোনালী চর, পাখির কলতান মিলেমিশে সত্যিই এক অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষায় যেন এই জায়গার মাধুর্য আরো বেড়ে যায়। হ্রদের জলে দাঁড় টানা নৌকা, ওয়াটার স্কুটার ভেসে বেড়াচ্ছে। ভারতের প্রথম ওয়াটার স্পোর্টস কমপ্লেক্সও এখানেই স্থাপিত হয়। এর লাগোয়া পার্কে অ্যাকোয়ারিয়াম ও মিউজিক্যাল ফাউন্টেন হয়েছে। রিসর্ট লাগোয়া লাম নেহেরু পার্কের ফুল ও ফলের বাগানের পরিবেশও অতুলনীয়। যারা মাছ ধরতে ভালোবাসেন তারা অনুমতি নিয়ে ছিপ ফেলে মাছ ধরতে পারেন। থাকার জন্য রয়েছে চার্লস কোরিয়ারের স্থাপত্যে গড়া MTDC-র লেক রিসর্ট। যোগাযোগের ঠিকানা - Orchid Lake Resort, Umiam ( Barapani ), PC - 793103, Tel - (0364) 2570258.
এই পাহাড়ি এলাকায় আরও সুন্দর সুন্দর অনেক জলপ্রপাত রয়েছে। শহরান্তে আছে হ্যাপি ভ্যালি চা বাগান ( Happy Valley Tea Garden ) ও তার পাশে স্যুইট ফলস। এই দুই জায়গাই দুর্দান্ত আকর্ষণীয়। পোলো গ্রাউন্ডের পাশে অবস্থিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামকরণ করা স্প্রেড ঈগল জলপ্রপাত। রেস কোর্সের পাশে আছে সতী ফলস। এগুলো পায়ে হেঁটেই দেখে নিতে পারবেন। উমিয়মের পথে আর এক রমণীয় স্থান হ'ল সেভেন সিস্টার'স ফলস ( Seven Sisters Falls )। উপরিউক্ত সবকয়টি ভ্রমণস্থল না দেখলে আপনার মেঘালয়ে ঘুরতে আসাই বৃথা।
কোথা থেকে কি কি কিনবেন? From Where and What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling in Shillong?
এখানে কেনাকাটা করার সেরা জায়গা হ'ল পশ্চিমপ্রান্তের বড়বাজার ( Bara Bazar ) এবং পুলিশ বাজার ( Police Bazar Area ) এলাকা। বড় বাজার এলাকায় খাসিয়া মেয়েরাই দোকানদার। এদের হাতের কাজ দেখার মতো। লাল সাদা ডুরে কাটা মিজো শাল, মধু, বাঁশের তৈরি নানা সামগ্রী দেখলে মুগ্ধ হতে হয়। সাপ্তাহিক হাটে ঘুরে বেড়ানো ও কেনাকাটা করার অভিজ্ঞতা অনবদ্য। আধুনিক সাজে সজ্জিত পুলিশ বাজার ও বাস স্ট্যান্ড এলাকার দোকানপাট থেকেও আপনার স্মৃতিচিহ্ন ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারেন। এই বাস স্ট্যান্ডের সামনে সাপ্তাহিক হাট বসে। কাছেই গভর্নমেন্ট এম্পোরিয়াম রয়েছে।
কনডাকটেড ট্যুর প্রোগ্রাম ( Conducted Tour Programmes ) :- দশ জনের বেশি যাত্রী হলে MTDC Tourist Information Centre, Police Bazar ( Opposite Bus Stand ), Tel - (0364) 2226220 - এই ঠিকানা থেকে বিভিন্ন প্যাকেজ অনুসারে দ্রষ্টব্য স্থানগুলি ঘুরিয়ে নিয়ে আসা হয়। জনপ্রতি কিছু টাকার চুক্তিতে শহর দর্শন সেরে নিতে পারেন। চেরাপুঞ্জি প্যাকেজে ট্যাক্সিতে করে চেরাপুঞ্জি ঘুরে আসুন। যাত্রীর সংখ্যা অধিক হলে এনারা বিশেষ ট্যুরের ব্যবস্থা করে থাকেন। MTDC-র এই ঠিকানা থেকে নানাধরনের গাড়ি ভাড়ায় পেয়ে যাবেন।
মেঘালয় ট্যুরিজমের কলকাতা ও দিল্লির অফিসের ঠিকানা হ'ল:-
(১) MTDC, 10, Anandilal Poddar Sarani, Kol - 71, Tel - 22651115.
(২) Krish Tours & Travels, Vaisno Chamber, 6 Brabourne Road, Kolkata - 1, Mobile - 9830504149/9232689660.
(৩) Tourist Information Centre, 1,Meghalaya House, 9 APJ Abdul Kalam Road, New Delhi - 110001,Tel - (011) 23014417.
জনপ্রিয় খাবার ( Popular Local Foods ):- খাসিয়াদের এবং এখানকার প্রিয় খাবার হ'ল শুয়োরের মাংসের তরকারি ও ফ্রায়েড রাইস, Tung Tap অর্থাৎ চাটনি দিয়ে জারানো ভাজা মাছ। এখানে ফ্রায়েড রাইসকে বলে জাডো। উৎসব-অনুষ্ঠানে বিশেষ মেনু হ'ল পেঁয়াজ ও রসুন দিয়ে রান্না করা শুয়োরের মাথা। চালে তৈরি ককিয়াদ ও ক্যাট সুরাই এখানে মদ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়। আপনার উচিত হবে বড়বাজারের যেকোন সাধারণ হোটেলে খাসি খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করা। আর পুলিশ বাজার এলাকার প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে হোটেল-রেস্তোরাঁ-বার। এইসব জায়গাতে ভারতীয়-চীনা-অন্তর্দেশীয় খাবার পেয়ে যাবেন। বাঙালি খাবারের সেরা ঠিকানা হ'ল G. S. Road-এর বাঙালি পরিচালিত নিও হোটেল। এই হোটেলটিতে আলো-বাতাসের অভাব থাকলেও আহারে খাঁটি বাঙালিয়ানা বজায় রয়েছে। Jail Road-এর Suruchi Hotel-টিও ভালো মানের বাঙালি খাবারের জন্য যথেষ্ট বিখ্যাত। চীনা ডিশের জন্য G. S. Road-এর Abba's, Malki Point, New World, Hongkong রেস্তোরাঁগুলি হ'ল আজও সেরা। ভারতীয় ভেজ মিল বা নিরামিষ খাবারের সেরা জায়গা হ'ল G. S. Road-এর Chiraag, Orchid Restaurants. চাইনিজ মিলের আর একটি ভালো ঠিকানা - Jail Road বাসস্ট্যান্ডের কাছে Eecee. এর ঠিক উল্টোদিকের Pizza বিখ্যাত নানারকম Fast Food-এর কারণে। পাঁচমিশালী ও কন্টিনেন্টাল খাবার খেতে Polo Towers, Centre Point, Hotel Alpine Continental, Hotel Pinewood-এও যেতে পারেন।
কিভাবে পৌঁছবেন? How to Reach or Go?
দিল্লি, বাগডোগরা, গুয়াহাটি ও কলকাতা থেকে সরাসরি বিমানে করে Shillong পৌঁছতে পারবেন। রেলপথে সরাসরি যেতে পারবেন না। শিয়ালদহ, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে করে গুয়াহাটি পৌঁছে উল্টোদিকের বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে সড়কপথে যাওয়া যায়। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির সাথে সড়কপথে বাস ও ট্যাক্সি সহযোগে এই শহরের ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
কোথায় থাকবেন? Where to Stay?
শহরজুড়ে প্রচুর হোটেল, লজ, রেস্টুরেন্ট, গেস্ট হাউস, রিসর্ট রয়েছে। তবে এর বেশিরভাগটাই আছে পুলিশ বাজার, বড় বাজার, লেক, বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও তার আশপাশে। চাইলে আগে থেকেই অনলাইনে ঘর বুকিং করেও যেতে পারেন।
মফলং ( Mawphlang ) :- বালাটের পথে আপার শিলং অর্থাৎ আট মাইল ছাড়িয়ে বামহাতে চেরাপুঞ্জি-ডাওকি সড়ক রেখে ডানহাতে এলিফ্যান্ট ফলস পার হয়ে পৌঁছে যান মফলং। এই স্থানের সুখ্যাতি অতুলনীয় নৈসর্গিক শোভা, নানারকম গাছপালা ও অর্কিডের জন্য। এখানকার আর এক উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য হ'ল শতাব্দী প্রাচীন কুঞ্জবন। জুলাই মাসে আসলে ফুলোৎসব ( Flower Festival ) দর্শন করতে পারবেন। পথের শোভাও মনোমুগ্ধকর। রাজধানী শহর থেকে নিয়মিত বাস যাওয়া আসা করে। যাওয়ার পথে ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দের ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সঙ্কীর্ণ গিরিসঙ্কট দেখতে ভুলবেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, Don't Spam.
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷