মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

[ Best Places to Visit Uttar Pradesh Tourism ]

SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT UTTAR PRADESH:-

→     উত্তরপ্রদেশ হ'ল ভ্রমণার্থীদের এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য বৈচিত্র্যে ভরা স্বর্গরাজ্য। ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় প্রচুর দর্শনীয় স্থান আছে এই রাজ্যের অলিতে গলিতে। ইতিহাস এখানে এখনও যেন ফিসফিস করে কথা কয়। প্রাচীন ভারতের ঐতিহ্যের গন্ধ এর আকাশে বাতাসে তাজা আবেশ ছড়িয়ে রেখেছে। রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ ১৯৫০ সালের ২৪ শে জানুয়ারি। এর রাজধানী লক্ষ্ণৌ ( Capital City is Lucknow )। মোট এলাকা ( Total Area ) বা আয়তন হলো ২৪৩২৯০ বর্গ কি. মি. অর্থাৎ ৯৩৯৩০ বর্গ মাইল। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ১৯৯৮১২৩৪১ জন। জনঘনত্ব ( Population Density ) প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৮২০ জন। এখানকার বাসিন্দাদের উত্তরপ্রদেশি ( Uttar Pradeshi ) বলা হয়। প্রতি ১০০০ পুরুষ পিছু নারীর সংখ্যা ৯১০ জন ( Male and Female Sex Ratio )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৬৯.৭২%। প্রধান ভাষা ( Main Official Languages ) হ'ল হিন্দি, উর্দু এবং ইংরেজি। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Per Head / Per Capita Average Yearly Income ) ৬১৩৫০ টাকা।

Government Official Website - http://www.up.gov.in

Tourism Department Website - http://www.uptourism.gov.in

             মোট জেলা আছে ৭৫ ( Total Number of Districts is 75 ) টি। সেগুলি হলো - (1) আগ্রা ( Agra ), (2) ফিরোজাবাদ ( Firozabad ), (3) মৈনপুরি ( Mainpuri ), (4) মথুরা ( Mathura ), (5) আলিগড় ( Aligarh ), (6) এটাহ্ ( Etah ), (7) হাথরাস্ ( Hathras), (8) কাশগঞ্জ ( Kasganj ), (9) এলাহাবাদ ( Allahabad ), (10) ফতেপুর ( Fatehpur ), (11) কৌশম্বি ( Kaushambi ), (12) প্রতাপগড় ( Pratapgarh ), (13) আজমগড় ( Azamgarh ), (14) বালিয়া ( Ballia ), (15) মাউ ( Mau ), (16) বুদাউন ( Budaun ), (17) বরেলি ( Bareilly ), (18) পিলভিট্ ( Pilibhit ), (19) শাহজাহানপুর ( Shahjahanpur ), (20) বাস্তি ( Basti ), (21) সন্ত কবীর নগর ( Sant Kabir Nagar ), (22) সিদ্ধার্থ নগর ( Siddharthnagar ), (23) বান্দা ( Banda ), (24) চিত্রকূট ( Chitrakoot ), (25) হামিরপুর ( Hamirpur ), (26) মাহোবা ( Mahoba ), (27) বাহরাইচ্ ( Bahraich ), (28) বলরামপুর ( Balarampur ), (29) গোন্ডা ( Gonda ), (30) শ্রাবস্তী ( Shravasti ), (31) আম্বেদকর নগর ( Ambedkar Nagar ), (32) আমেঠি ( Amethi ), (33) বারাবাঙ্কি ( Barabanki ), (34) ফৈজাবাদ ( Faizabad ), (35) সুলতানপুর ( Sultanpur ), (36) দেওরিয়া ( Deoria ), (37) গোরখপুর ( Gorakhpur ), (38) কুশিনগর ( Kushinagar ), (39) মহারাজগঞ্জ ( Maharajganj ), (40) জালাউন ( Jalaun ), (41) ঝাঁসি ( Jhansi ), (42) ললিতপুর ( Lalitpur ), (43) আউরাইয়া ( Auraiya ), (44) এটাওয়া ( Etawah ), (45) ফারুকাবাদ ( Farrukhabad ), (46) কনৌজ ( Kannauj ), (47) কানপুর দেহাত ( Kanpur Dehat ), (48) কানপুর নগর ( Kanpur Nagar ), (49) হারদোই ( Hardoi ), (50) লখিমপুর খেরি ( Lakhimpur Kheri ), (51) লক্ষ্ণৌ ( Lucknow ), (52) রায়বরেলি ( Raebareli ), (53) সিতাপুর ( Sitapur ), (54) উন্নাও ( Unnao ), (55) বাগপাত ( Bagpat ), (56) বুলন্দশহর ( Bulandshahr ), (57) গৌতমবুদ্ধ নগর ( Gautamabuddha Nagar ), (58) গাজিয়াবাদ ( Ghaziabad ), (59) হাপুর ( Hapur ), (60) মিরাট ( Meerut ), (61) ভাদোহি জেলা ( Bhadohi District ), (62) মির্জাপুর ( Mirzapur ), (63) শোনভদ্র ( Sonbhadra ), (64) আমরোহা ( Amroha ), (65) বিজনৌর ( Bijnor ), (66) মোরদাবাদ ( Moradabad ), (67) রামপুর ( Rampur ), (68) সম্বল ( Sambhal ), (69) মুজফ্ফরনগর ( Mujffarnagar ), (70) সাহারানপুর ( Saharanpur ), (71) সামলি ( Shamli ), (72) চান্দৌলি ( Chandauli ), (73) গাজীপুর ( Ghazipur ), (74) জৌনপুর ( Jaunpur ), (75) বারাণসী ( Varanasi )।

WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE. AVERAGE WEATHER OR CLIMATE:-

              ঘুরতে যাবার সেরা মরশুম অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। তবে, এলাকাভেদে পার্থক্য আছে এই সময়ে। পাহাড় অর্থাৎ উত্তরাখন্ড বেড়াতে যাবার জন্য গ্রীষ্ম ও শরৎকাল সেরা ঋতু। শরৎকালে পাহাড়ের নৈসর্গিক শোভা থাকে অদ্ভুত-অকল্পনীয়। মে থেকে জুলাই মাসে পাহাড় ফুলে ফুলে রাঙা হয়ে ওঠে। ট্রপিক্যাল আবহাওয়া থাকে সারা সমতল জুড়ে। শীতে ২৭° এবং গ্রীষ্মে ৪৮° সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠে থাকে। আবার অদ্ভুতভাবে মধ্য জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষার সময়ে যখন তখন তাপমাত্রা ১০° সেলসিয়াসেও নেমে যায়।

→          পর্যটকদের সুবিধার জন্য রাজ্য পর্যটন দপ্তর সদাই সচেষ্ট। ভ্রমণার্থীদের সুবিধার্থে UP Tourism এবং UPSTDC -এর তত্ত্বাবধানে রাজ্যের সমস্ত ট্যুরিস্ট বাংলো, প্যাকেজ ট্যুর, নানারকম গাড়িও পাওয়া যায়। যোগাযোগের ঠিকানা [ IMPORTANT OFFICE ADDRESSES, CONTACT TELEPHONE NUMBERS FOR EMERGENCY ENQUIRIES WHEN YOU ARE TRAVELLING DIFFERENT PLACES IN  / ESSENTIAL ADDRESSES OF GOVT. TOURISM OFFICES, TRAVEL AGENCIES FOR ALL TOURISTS. ]-

Lucknow - H Gomti, 6,Sapru Marg, Tel - (0522) 2615005, 2614284.

New Delhi - Chandralok Building, 36 Janpath, Tel - (011) 23322251 / 23711296.

Kolkata - 12A, Netaji Subhash Road, 2nd Floor, Kol-1. Tel - (033) 22314974 / 22307855.

Chennai - 2, Wallajah Road. Tel - (044) 25363276.

Mumbai - 38 World Trade Centre, Cuffe Parade, Colaba. Tel - (022) 22155082.

For Tourist Informations -

UPSTDC ( Conducted Tours )
Hotel Gomti, 6 Sapru Marg. Tel - 0522 - 2615005.
PRO - Kumaon Mandal Vikash Nigam, A-4 Sarang Manor, Shah Nazaf Road. Tel - 0522 2239434.
PRO - Garhwal Mandal Vikash Nigam, Khushnuma Complex, Flat No.  4 - 7.

RF Bahadur Marg - 1, Tel - 0522 - 2207844.

Wildlife Information Centre, 17 Rana Pratap Marg - Tel - 2283902.
UPSRTC Bus Stand - Charbagh - Tel - 2450988.
UPSRTC Bus Stand - Kaiserbagh - Tel - 2222503.
Railway Enquiry - Manual - Tel - 131
Pre Recorded Information - UP - Tel - 1331
,,          ,,                 ,,                - Dn - Tel - 1332
Rail Reservation - Tel - 1330 & 1335
Rail Computerised Reservation, Charbagh - Tel - 2259932
Indian Airlines Reservation Enquiry - Tel - 2620927

Festivals Organised By UP Tourism Department -
(1) Buddha Mahotsav, Kushinagar,
(2) Taj Mahotsava, Agra,
(3) One Day Buddha Mahotsava, Sravasti,
(4) Kajari Nahotsav, Mirzapur,
(5) Shopping Festival,
(6) Ganga Mahotsava, Varanasi,
(7) Water Sports Festival, Allahabad,
(8) Ayurveda - Janshi Mahotsava, Jhansi,
(9) Lucknow Mahotsava, Lucknow,
(10) Buddha Mahotsava, Sarnath / Kushinagar.

ALL TOTAL LIST OF 20 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-

(i) Ganga Dussehra Mahotsav, (ii) Buddha Purnima, (iii) Ayodhya Pooja, (iv) Makar Sankranti, (v) Lath Mar Holi, (vi) Janmashtami, (vii) Taj Mahotsava, (viii) Durgotsav, (ix) Barsana Holi, (x) Nandgaon Holi or Rangoli, (xi) Maha Shivratri in Varanasi, (xii) Diwali Festival, (xiii) Dadjee Ka Huranga in Baldeo, (xiv) Kampil Fair, (xv) Ayurveda Jhansi Mahotsav, (xvi) Kailash Fair in Agra, (xvii) Nirjala Ekadashi, (xviii) Dr. Sampoornanand Jayanti, (xix) Lucknow Mahotsav, (xx) Bateshwar Mela.


এই রাজ্যের যেকোন জায়গায় যাওয়া আসা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারে আগে থাকতে অনলাইন বুকিং-এর জন্য নীচের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। [ FOR ONLINE BOOKING OF FOODS / FLIGHTS, TRAIN / RAILWAY RESERVATION, HOUSES ON RENT/ FLATS RENTAL / LODGES / RESORTS / HOMESTAYS / TENTS / HOTELS ROOMS IN ANY PLACE WITH DISCOUNT, CHEAP AIR TICKETS, BUS BOOKING, CAR HIRE ]:-
1. https://www.trivago.in
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com

[ TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN UTTAR PRADESH, INDIA WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS. ]

লক্ষ্ণৌ ( Lucknow ) - হিন্দু ও মুসলিম সংস্কৃতির সাহচর্যের এক সুন্দর উদাহরণ এই শহরটি। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়াও এর নবাবিয়ানাকে একতিলও ক্ষুন্ন করতে পারেনি। এখানকার বাসিন্দাদের কথাবার্তা, চালচলনেও তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এর সৌন্দর্য অতুলনীয়। কেউ কেউ একে সিল্ক, সুগন্ধি, জুয়েলারীর শহর বলে। অনেকে একে সাইকেল, রিকশা ও এক্কাগাড়ির শহরও বলে থাকেন। উৎপত্তি ও নামকরণ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। পুরাণ অনুসারে, সূর্যবংশীয় রাজাদের হাতে এই শহরের পত্তন হয়। আবার অনেকের মতে, মোগল আমলেই স্থানটি নগরী হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করে। কিছু ঐতিহাসিকদের মতে, বনবাসের পর শ্রীরামচন্দ্র ভাই লক্ষ্মণকে যে লক্ষ্মণাবতী উপহার দেন সেটিই পরবর্তী সময়ে লক্ষ্ণৌ শহর হয়। আবার কারো মতে, স্থপতি লখনার নাম অনুসারে এর নামকরণ হয়। এই প্রাচীন নগরীটি হলো নবাবি, মোগল খাদ্য ও কৃষ্টির উপযুক্ত ধারক-বাহক। তাঁর প্রমাণ রয়েছে সবকটি মহল্লার অলি-গলির হোটেল-রেস্তোরায়, বাড়ি-ঘরে, পুরাতন ইমারতে। এখানে শিয়াপন্থী মুসলিমরা সংখ্যায় বেশি। ঘটা করে মহরম পালন করা হয়। এবার চলে আসি দর্শনীয় স্থানগুলির কথায়। শহরের 3 কি. মি. পশ্চিমে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের কাছে গোমতী নদীর তীরে নবাবের দূর্গের পাশে আছে বড়া ইমামবাড়া ( Bara Imambara, Machchhi Bhavan, Lucknow, Uttar Pradesh 226003 )। এটি ছিল শিয়াধর্মী নবাবদের শোক পালন করার জায়গা। নবাব আসাফউদ্দৌলা ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দের মন্বন্তরে ক্ষতিগ্রস্ত প্রজাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য ইরানি স্থপতি খিফায়ত উল্লাকে দিয়ে এই ৪ তলা প্রাসাদটি নির্মাণ করান। এটি সম্পূর্ণ তৈরি হতে ১৫ বছর সময় লাগে। এই স্থানেই রয়েছে আর এক অত্যাশ্চর্য স্থাপত্য ভুলভুলাইয়া ( Bhul Bhulaiya of Awadh ), যার মানে হলো ভুলে যাওয়া। পিলারবিহীন বিশ্বের বৃহত্তম হলটির স্থাপত্য পর্যটকদের অবাক করে দেয়। এটি সত্যিই একটি গোলকধাঁধা, কারণ কোন গাইড ছাড়া এখান থেকে বেরিয়ে আসা খুবই মুশকিল। একই মাপের ও একই রকম দেখতে ৪৮৯ টি দরজা রয়েছে। কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝা যায় না। ৮৪ ধাপ সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠলে পুরো শহরের প্যানোরামিক দৃশ্য আপনার হৃদয়কে আপ্লুত করে দেবে। কিন্তু, পাতালপুরীর পথ এখন পুরো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সেকালের পাতালপুরীতে প্রবেশ করতে পারবেন না। প্রাসাদের বামদিকে আসাফ-উদ-দৌলা মসজিদ ( Aasifi Masjid ) যেখানে বিধর্মীদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। আর আছে গোমতী নদীর সাথে যুক্ত ৫ তলা শাহী বাওলি ( Shahi Bauli Stepwell )। গভীরতা এখনও অজানা। এর সাথে টানেলের মাধ্যমে ইমামবাড়ার যোগ রয়েছে। এই চত্বরেই সমাধিস্থ রয়েছেন আসাফ-উদ-দৌলা ও তাঁর বেগম সামসুন্নিসা। পশ্চিমে অবস্থিত ইমামবাড়ার প্রবেশ তোরণ বা গেট অভিনব স্থাপত্যের রুমি দরওয়াজা বা টার্কিশ গেট ( Rumi Darwaza )। ৬০ ফুট উচ্চতার বিশাল দরজা এটি। আর একটু এগিয়ে গেলেই পৌঁছে যাবেন ভিক্টোরিয়া পার্ক সমাধিস্থলে ( Victoria Park Cemetery ), যেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ব্রিটিশদের সমাধি। এই পার্কের দক্ষিণে অবস্থিত সমস্ত রকমের দোকানপাট, বাজারের চক এলাকা ( Chowk Market Area )। এখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে পারেন। মচ্ছিভবনের শাহী বাওলি থেকেই প্রতি বছর শিয়াধর্মী মহরমের মিছিল বের হয়। ২ মাস ৮ দিন ধরে মহরমের উৎসব চলে। বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি পোড়ানো হয় মহরমের রাতে। প্রতিদিন সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এই বিশাল ঐতিহাসিক স্থান খোলা থাকে। যৎসামান্য মূল্যের টিকিট কেটে বড় ও ছোট ইমামবাড়া, ভুলভুলাইয়া, বাওলি, পিকচার গ্যালারি, Rumi Darwaza Gulab Garden / Gulab Vatika দেখে নিতে পারবেন। তবে সামান্য পারিশ্রমিক দিয়ে সঙ্গে একজন গাইড নিয়ে ঘোরা উচিত। তাতে এখানকার ইতিহাস সম্পর্কে অনেক কিছু সঠিকভাবে জানতে পারবেন। ইমামবাড়ার মসজিদ থেকে প্রাচীন কালের লক্ষ্মণটিলা ( Lakshman / Laxman Teela ) দেখা যায়। হয়তো আজকের এই লক্ষ্মণটিলাই ছিল রামায়ণের লক্ষ্মণাবতী। পরে পীর মহম্মদের দখলে যেতে টিলার নাম হয় পীর মহম্মদ কা টিলা ( Pir Muhammad Ka Teela )। আরও পরে ঔরঙ্গজেব এখানে একটি মসজিদও গড়েন। বড়া ও ছোটা দুই ইমামবাড়ার পথের মাঝে বিখ্যাত ক্লকটাওয়ার ( Clock Tower Art Gallery ) রয়েছে। নবাব নাসির উদ্দিন হায়দার ১৮৮০ থেকে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে এই ৬৭.৩ মিটার উঁচু ভারতের বৃহত্তম ঘড়ির চতুষ্কোণ টাওয়ারটি নির্মাণ করেন। অনেক পূর্বে নাকি এটি সোনায় মোড়া ছিল। এই ইমারতটি নাকি নবাবের বরাদরি বা গ্রীষ্মাবাসও ছিল। জনসাধারণ একে পিকচার গ্যালারিও ( Picture Gallery ) বলে থাকেন। হলের দ্বিতীয় তলে সজ্জিত অযোধ্যার নবাবদের চেহারার পূর্ণ দৈর্ঘ্যের চিত্রগুলি যেন তাঁদের শৌর্যবীর্যের কাহিনী বর্ণনা করছে। রোজ সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রুমি দরওয়াজা পেরিয়ে ছোটা ইমামবাড়ায় ( Chhota Imambara ) পৌঁছে যান। ১৮৩৭-৪২ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মহম্মদ আলি শাহ এটি তৈরি করান। আকারে ছোট কিন্তু স্থাপত্যশৈলী অতুলনীয় সুন্দর। মাথায় একটি সোনার গম্বুজ রয়েছে। পবিত্র কোরানের আয়াত সারা দেওয়ালে খোদাই করা। এছাড়া রৌপ্য সিংহাসন, নানাবিধ তাজিয়়া ও দেশ-বিদেশি ঝাড়লন্ঠন দেখে অবশ্যই মুুুগ্ধ হবেন। এখানেই সমাধিস্থ রয়েছেন নবাব মহম্মদ আলি শাহ। এর পশ্চিমে নবাবের আর এক অসামান্য সৃৃষ্টি জুমা মসজিদ ( Jama Masjid ) অবস্থান করছে পিঁয়়াজের আকারের ৩ টি গম্বুজ ও ২ টি আজান মিনারসহ। বিধর্মীদের প্রবেশ নিষেধ। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দক্ষিণ-পূর্বে গোমতী নদীর তীরে উঁচু ঢিবির উপরে ১৭৮০-১৮০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে গড়ে তোলা হয় দি রেসিডেন্সি ( The Residency Palace For British Ambassadors )। অযোধ্যার রাজসভার ইংরেজ দূতেদের বসবাসের জন্য নবাব মহম্মদ আলি শাহ তৈরি করান। ইংরেজদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে নবাবের গুণমুগ্ধ প্রজারা সিপাহী বিদ্রোহের বছরে অর্থাৎ ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে ৮৭ দিন ধরে এই বাড়িটি অবরোধ করে রাখেন। এই সময়়ে খাদ্য - ওষুধের অভাব, গোলাগুলি, অগ্নিসংযোগের ফলে প্রচুর ব্রিটিশের জীবনহানি ঘটে। বাড়িটি ভারতপ্রেমীদের কাছে একটি পবিত্র তীর্থক্ষেত্র। সকলের জন্য অবারিত দ্বার। কামানের গোলার ক্ষতচিহ্ন মডেল রুমের দেওয়ালে বিদ্যমান। পিছনে রয়েছে অযোধ্যার নবাবের স্ত্রী মিসেস লরেন্সের বেগম কোঠী ( Begum Kothi )।  মাটির নীচের গ্রীষ্মাবাসের ঠান্ডাঘরে বর্তমানে মিউজিয়াম বসেছে। মডেল রুম রোজ সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার বাদে রোজ টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হয়। গোমতীর পশ্চিম তীরে রেসিডেন্সির বিপরীতে সিপাহী বিদ্রোহ অর্থাৎ স্বাধীনতার যুদ্ধে যেসব ভারতীয় প্রাণত্যাগ করেছিলেন তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি শহীদ মিনার তৈরি হয়েছিল। এটিকে Shaheed Smarak বা Martyrs Memorial Monument বলা হয়। এখানে নদীর জলে বোটিং-এরও ব্যবস্থা আছে। হজরতগঞ্জে হোটেল গোমতীর কাছে রানা প্রতাপ মার্গে শাহনাজাফ ইমামবাড়া ( Shah Najaf Imambara, Rana Pratap Marg, Hazratganj ) আছে। ভিতর ঝাড়লন্ঠনসহ সুসজ্জিত। মাথার গম্বুজ আগে সোনায় মোড়া ছিল। অসংখ্য তাজিয়া আছে যেগুলো শহীদ ইমাম হোসেনের স্মরণে প্রতি বছর মহরমের মিছিলে বের করা হয়। ১৮৫৭ সালের শহীদ শাহনাজাফ ও ৩ জন বেগমসহ ষষ্ঠ নবাব গাজিউদ্দিন হায়দারের মৃতদেহ সমাধিস্থ রয়েছে এখানে। শুক্রবার সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত অবধি খোলা থাকে। এর পশ্চিমে অবস্থিত নবাব ওয়াজেদ আলি শাহ নির্মিত অতীতের গ্রীষ্মাবাস সিকান্দারবাগ ( Sikandarbag Botanical Garden ) যেটি বর্তমানে বোটানিক্যাল গার্ডেন তথা গবেষণা কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আর আছে নবাবের হারেম মহল এখানকার সুন্দর উদ্যানে। সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। The Residency-এর নিকটে নদীর তীরে আর এক দ্রষ্টব্য স্থান হলো ছাত্তার মঞ্জিল ( Chattar Manzil, Mahatma Gandhi Marg, Qaisar Bagh, Lucknow, Uttar Pradesh - 226001 ) যেটির নির্মাণ নবাব গাজিউদ্দিন শুরু করলেও তাঁর সুযোগ্য পুত্র নাসিরউদ্দিনের তত্ত্বাবধানে ১৮২০ সালে সম্পূর্ণ হয়। মাথার গোল গম্বুজের উপর গিলটি করা ছাতা থাকার কারণে এর ছাত্তার মঞ্জিল নাম হয়। এখন এখানে কেন্দ্রীয় ঔষধ গবেষণাগার স্থাপিত হয়েছে। অতীতের স্মৃতিমন্ডিত সুন্দর রাজপ্রাসাদটি দেখে নিতে ভুুুুলবেন না। শহরের আর এক আকর্ষণ হলো La Martiniere School. এর অতীতের ইতিহাস এবং স্থাপত্য - এই দুইয়েতেই যথেষ্ট অভিনবত্ব রয়েছে। প্রিন্সিপালের অনুমতি নিয়ে এই প্রাসাদটি দর্শন করতে হয়। এটি আসলে ফরাসি শিল্পী-সেনা-গুপ্তচর ক্লড মার্টিনের জীবদ্দশায় অসমাপ্ত কনস্টানশিয়া করিন্থিয়ান ও গথিক স্থাপত্যশৈলীর মিশেলে নির্মিত। এই বাড়িটিতে ১২৩ ফুট উঁচু থাম আছে। সামনে বসানো বিশাল কামানটি এই প্রাসাদের আভিজাত্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে। বেসমেন্টে ক্লডের সমাধি আছে। বাড়িটি অসম্পূর্ণ থাকা অবস্থায় মারা যেতেই তাঁরই অসমাপ্ত কাজটিকে তাঁরই পরিকল্পনা অনুযায়ী ১ লক্ষ ৬০ হাজার পাউন্ড খরচ করে ১৮৪০ খ্রিস্টাব্দে জোসেফ কুয়েরে সম্পূর্ণতা দান করেন। এই বছরই এই বিখ্যাত স্কুলটি চালু হয়। বিনোদনের আর একগুচ্ছ জনপ্রিয় পসরা রয়েছে রেলস্টেশন থেকে ৩ কি. মি. দূরে অবস্থিত বানারসীবাগ ( Banarasi Bagh ) চত্বরে। পাশাপাশি থাকা চিড়িয়াখানা ( Lucknow Zoo ), বটানিক্যাল গার্ডেন ( Botanical Garden ), প্রাকৃতিক ইতিহাসের সংগ্রহশালা ( Natural History Museum )। একই দিনে সবকয়টি জায়গা ভালো করে দেখে নিতে পারবেন। অনেক প্রজাতির জীবজন্তু এই চিড়িয়াখানায় দেখতে পারবেন। বিশেষ করে সাপের সংগ্রহ তারিফের যোগ্য। হাতি অথবা মিনি ট্রেনে করে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন চত্বরে ঘুরে ঘুরে সব দ্রষ্টব্য সহজে দেখে নেওয়া যায়। সোমবার বন্ধ থাকে। বাদবাকি প্রত্যেক দিন সকাল ১০.৩০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। একটি সাধারণ অ্যাকোয়ারিয়াম আছে, সেটিও পারলে দেখে নিন। কাছেই আছে রাজভবন ( Raj Bhavan ) ও বিধানসভা ভবন ( Vidhan Sabha Bhavan )। এই রাজ্যের প্রাচীনতম স্টেট মিউজিয়ামটিও ( Uttar Pradesh Directorate Museum, Banarasi Bagh, Zoo Campus ) অবশ্যই দেখবেন। এই মিউজিয়ামের সংগ্রহে যেসকল অমূল্য সম্পদ রয়েছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গুপ্ত ও মোগল যুগের মুদ্রা, পুরাতন অনেক সংখ্যক পান্ডুলিপি ও ছবি, বেশ কিছু হিন্দু-বৌদ্ধ-জৈন স্থাপত্য, পোড়ামাটির কাজ, উপজাতি জনগোষ্ঠীর হস্তশিল্প, বিভিন্ন প্রাচীন হাতের কাজ, বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সম্ভার। সোমবার বন্ধ, এছাড়া রোজ সকাল সাড়ে দশটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত খোলা থাকে। লক্ষ্ণৌ রেল স্টেশন লাগোয়া চারবাগের মতিলাল নেহেরু শিশু সংগ্রহশালায় ( Motilal Nehru Children's Museum ) বিভিন্ন ধরনের পুতুলের সম্ভার দেখে আসুন। সোমবার বন্ধ। সপ্তাহের অন্যান্য দিন বেলা দশটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত খোলা থাকে। দ্য রেসিডেন্সির দক্ষিণে ওয়াজেদ আলি শাহের তৈরি কাইসার বাগ বরাদরিতে মনোরম বাগিচায় যে লেক আছে তার মধ্যে সুরম্য সামার প্যালেস, হারেম মহল দর্শন করে আসুন। এইখানেই খুরশিদ বেগম ও নবাব সাদাত আলির সমাধি রয়েছে। ব্রিটিশের গোলার আঘাতে আরও অনেক স্থাপত্য ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমানে কাইসারবাগে ( Qaisar Bagh ) বসতি গড়ে উঠেছে। এছাড়া সারা শহর জুড়ে আরও অনেক প্রাচীন স্থাপত্য ও দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যেমন, নাদান মহল মকবরা, কাউন্সিল চেম্বার, গোমতী নদীর উত্তর তীরে বাদশাহ বাগের বিশ্ববিদ্যালয়, ইব্রাহিম চিস্তির সমাধি, ষোলা খাম্বা প্যাভিলিয়ন, খাসিয়ামন্ডিতে শতবর্ষেরও বেশী প্রাচীন কালী মন্দির, মচ্ছি ভবন, মহরমের সময় বিশাল তাজিয়া মিছিল ইত্যাদি আপনার লক্ষ্ণৌ ভ্রমণের আরো কিছু সেরা দ্রষ্টব্য। কিন্তু, এ সবকিছুর আকর্ষণকে ছাপিয়ে যায় Lucknow Festival -এর আকর্ষণ। প্রতি বছর ২৫শে নভেম্বর থেকে ৫ই ডিসেম্বর - এই ১১ দিন ধরে এই বিশ্ব বিখ্যাত লক্ষ্ণৌ মহোৎসব চলে। এই উৎসবে বিশাল মিছিল নগরী পরিক্রমা করে, নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। আকাশ ঘুড়িতে ছেয়ে থাকে। এই উৎসবের আর এক বিশেষ আকর্ষণ হলো মোরগ লড়াই ( Cock Fighting )। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও প্রচুর পর্যটক আসেন এই বর্ণাঢ্য উৎসবের আনন্দ উপভোগ করতে। মিটারহীন ট্যাক্সির সাথে ৬০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকার দৈনিক চুক্তিতে শহরের সবকয়টি দর্শনীয় স্থান ঘুরে নেওয়া যায় দুই-তিন দিনের মধ্যে। সিটি বাসে চড়েও একে একে সব দ্রষ্টব্য স্থানগুলিই দেখতে পারেন। আপনি যদি একটু শৌখিন হন তাহলে অটো বা টাঙা অথবা রিকশাতে নবাবি মেজাজে শহর ঘুরে দেখুন। UP State Tourism Development Corporation এর পরিচালনায় বিভিন্ন Package-এর Conducted Tour Programme-এও শহরটি ভালো করে ঘুরে নিতে পারেন। এদের কাছে গাইডও ভাড়ায় পাওয়া যায়। লক্ষ্ণৌ রেল স্টেশনটি তৈরি হয়েছে ইমামবাড়ার স্থাপত্যশৈলী অনুকরণ করে।

কেনাকাটা। What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling in Lucknow?

                   এই শহরের সিল্ক, বিভিন্ন রকম সুগন্ধি বা পারফিউম, বিদরি, জুয়েলারী দ্রব্যের বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। জরির কারুকার্য করা চিকন শাড়ি ও পাঞ্জাবি থেকে চোখ ফেরানোই দুষ্কর। জারদৌসি ও কামদানি শিল্পেরও যথেষ্ট সুখ্যাতি আছে। শহরের দোকানে দোকানে নবাবি আমলের নানারকম অ্যান্টিক ( Antiques ) সামগ্রী বিক্রি হয়। একটু যাচাই করে কিনতে পারলে সঠিক দামে সঠিক জিনিসই পেয়ে যাবেন। বড়া ইমামবাড়ার কাছে চক বাজার বা রেল স্টেশনের কাছের আমিনাবাদ থেকে কেনাকাটা করাই উচিত হবে। শুক্রবার চক বাজার ও বৃহস্পতিবার আমিনাবাদ বন্ধ থাকে। হজরতগঞ্জ বাজার রবিবার বন্ধ। এখানকার আর এক বিখ্যাত দ্রব্য হলো কনৌজের আতর। আতরের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল অম্বর, খুস, গুলাব ( Special Ittar Perfumes are Ambar, Khus and Ghulab )। তবে, বেশিরভাগ পর্যটকই হজরতগঞ্জের গভর্নমেন্ট এম্পোরিয়াম ( Government Emporium in Hazratganj ) থেকে কেনাকাটা করাই বেশি পছন্দ করেন। আর এক নামকরা দোকান হলো ভগবান দাস অ্যান্ড সন্স। এদের চক বাজার ও হুসেন গঞ্জে শাখা রয়েছে। সবসময় দালাল এড়িয়ে নিজেরাই দরদাম ও যাচাই করে জিনিস কিনবেন।

লক্ষ্ণৌর সুস্বাদু, জনপ্রিয় ও বিখ্যাত খাবার। Which Tasty Foods are Very Famous and Popular in Lucknow?

             নবাবি আমলের অনেক রকম সুস্বাদু খাবার পাবেন এখানকার হোটেল-রেস্তোরাঁগুলিতে। বেশিরভাগ পদই মাংসের তৈরি। সংখ্যায় যেমন অনেক রকমের তেমনি এগুলির রান্নার পদ্ধতিও ভিন্ন। মোগলাই খানা বিরিয়ানি, পোলাও, রুমালি রুটির সাথে মুর্গ মসল্লম, কাকোরি কাবাব, শামি কাবাব, বোটি কাবাব খেলে তার স্বাদ অনেকদিন মনে থাকবে। চীনা খাবারের জন্য বিখ্যাত হলো হংকং রেস্টুরেন্ট, জন হিং। কফির জন্য বিখ্যাত হলো মহাত্মা গান্ধী রোডের Marksman Cafe আর অশোক মার্গের Indian Coffee House. দক্ষিণ ভারতীয় খাবারের জন্য বিখ্যাত Basanta Restaurant, যেখানকার মশলা দোসার স্বাদ ভোলার নয়। কুলফি, ফালুদা ও দশেরি আমের স্বাদ নিতে ভুলবেন না। শহর থেকে ৩০ কি. মি. দূরে আমের স্বর্গরাজ্য মালিহাবাদ ( Malihabad ) অবস্থিত। এখানে আসলে নিজের চোখে ২০০র বেশি প্রজাতির আমগাছ ও আম দেখতে তো পারবেনই, তার সাথে দশেরি, চৌসা ইত্যাদি সুমিষ্ট আম খেতেও পারবেন।

কোথায় থাকবেন? Where to Stay?

                  রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এবং অন্যান্য মহল্লায় সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে প্রচুর হোটেল, লজ এবং হলিডে হোম আছে। পেজের উপরের দিকে দেওয়া লিঙ্কের মাধ্যমে ঘর বুক করতে পারেন। দরদাম ও তুলনা করে ঠিক করবেন। হেভি ডিসকাউন্টও মিলতে পারে।

কিভাবে যাবেন? How to Reach / Go?

                   ভারতের যেকোন রাজ্যের সাথে রেলপথ ও বিমানপথে লক্ষ্ণৌয়ের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। সড়কপথেও যেকোন জায়গা থেকে নিজস্ব গাড়িতে পৌঁছতে পারবেন। সড়কপথে কলকাতা থেকে লক্ষ্ণৌ শহরের দূরত্ব ১০০৩ কি. মি.। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলির বড়ো ও মাঝারি শহরের সাথে বাস সহযোগে যোগাযোগ রয়েছে। রেল স্টেশনের উল্টোদিকের বাসস্ট্যান্ড থেকে দূরপাল্লার বাস গাড়ি সবসময় ছাড়ছে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Please, Don't Spam.

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷