PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT UTTRAKHAND:-
→ অনেকে বলেন যে এই পৃথিবীতে যদি কোথাও প্রকৃত স্বর্গ থেকে থাকে তো সেটা গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত উত্তরাখন্ড রাজ্যে। এক সময়ে ফুলে ফলে ভরা সবুজে ছাওয়া গাড়োয়াল হিমালয়ে দেবতাদের বাস ছিল। তাই একে দেবভূমিও ( Devabhumi ) বলা হয়। সাধুসন্তের পদধূলি সমৃদ্ধ এবং বাঙালি পর্যটকদের চোখের মণি ঋষিকেশ ও হরিদ্বারের অবস্থান এই রাজ্যেই। হরিদ্বারকে এই স্টেটের প্রবেশদ্বার ( Gateway ) বলা হয়। হিন্দুদের অতি পবিত্র এবং অন্যতম চার মহাতীর্থ কেদারনাথ-বদ্রীনাথ-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর অবস্থান এই অঞ্চলকে বিশ্বের দরবারে এক অন্যমাত্রার মর্যাদা পেতে সাহায্য করেছে। তেমনি শিখদের মহাপবিত্র তীর্থক্ষেত্র হেমকুন্ড সাহিবও এই রাজ্যে স্বমহিমায় বিরাজ করছে। হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে দেশ বিদেশের পর্যটকেরা এখানে আসেন। এক ডজনেরও বেশি অত্যন্ত মনোরম বিশ্ববিখ্যাত শৈল শহর ( Hill Station ) আছে। জিম করবেট অভয়ারণ্য ( Reserve Forest ) সমেত ৬টি জাতীয় উদ্যানের ( National Park ) অবস্থান এই রাজ্যে। এখানে বিশাল পরিমাণে বৈচিত্র্যে ভরা বনজ সম্পদ আছে।
→ উত্তরাখন্ড সংঘর্ষ সমিতির দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফলে ২০০০ সালের ৯ই নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে প্রথমে গঠিত হয় উত্তরাঞ্চল রাজ্য। পরে ২০০৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর সরকারি আদেশ অনুসারে উত্তরাঞ্চলের নাম বদলে বর্তমানের নামকরণ করা হয়।
আয়তনে ছোট হলেও এখানকার পর্যটন শিল্পের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি প্রধান অর্থকরী শিল্পও বটে। এর রাজধানী দেরাদুন ( Capital City is Dehradun )। মোট আয়তন ৫৩৪৮৩ বর্গ কি. মি. ( ২০৬৫০ বর্গ মাইল )। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ১০০৮৬২৯০ জন। এখানকার মানুষদের উত্তরাখন্ডী ( Uttarakhandi ) বলা হয়। জনঘনত্ব ( Population Density ) বা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করেন ১৮৯ জন। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারী আছেন ৯৬৩ জন ( Women Men Sex Ratio )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৭৯.৬৩%। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Average Yearly Income Per Head / Capita ) ১৯৮৭৪০ টাকা। প্রধান সরকারি ভাষা হল হিন্দি ও সংস্কৃত। প্রধান ফুল ব্রহ্মকমল ( Brahma Kamal )। প্রধান নদী গঙ্গা ( The Ganges )। সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ( Football )।
মোট জেলা ( Total Number of Districts is 13 ) আছে ১৩টি। যথাক্রমে, (1) আলমোড়া ( Almora ), (2) বাগেশ্বর ( Bageshwar ), (3) চামোলি ( Chamoli ), (4) চম্পাবত্ ( Champawat ), (5) দেরাদুন ( Dehradun ), (6) হরিদ্বার ( Haridwar ), (7) নৈনিতাল ( Nainital ), (8) পৌরি গাড়োয়াল ( Pauri Garhwal ), (9) পিথোরাগড় ( Pithoragarh ), (10) রুদ্রপ্রয়াগ ( Rudraprayag ), (11) তেহরি গাড়োয়াল ( Tehri Garhwal ), (12) উধম সিং নগর ( Udham Singh Nagar ), (13) উত্তরকাশী ( Uttarkashi )।
Uttrakhand Government Official Site - https://www.uk.gov.in
Tourism Department Official Website - https://www.uttarakhandtourism.gov.in
IMPORTANT OFFICE ADDRESSES, CONTACT TELEPHONE NUMBERS FOR EMERGENCY ENQUIRIES WHEN YOU ARE TRAVELLING DIFFERENT PLACES IN / ESSENTIAL ADDRESSES OF GOVT. TOURISM OFFICES, TRAVEL AGENCIES FOR ALL TOURISTS:-
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন খোঁজ খবর নিতে সরাসরি যোগাযোগ করুন -
Director of Tourism, 3/3 Industrial Area, Patel Nagar, Saharanpur Road, Dehradun - 248001, Tel - ( 0135 ) 2721289 অথবা 74 - 1, Rajpur Road, Dehradun, Tel - 2746817.
কলকাতায় যোগাযোগের ঠিকানা -
(ক) GMVN - Marshal House, 33/1, N. S. Road, Kol - 2, 2nd Floor, Room No. 224. Tel - 22315554/9831110999; (খ) KMVN - 7/2, C. Chakraberia Road ( South ), Bhawanipur, Kol - 25, Tel - 24868295/9339878995; (গ) Himalchura Travels & Tours, P-263, C. V. T. Road, Scheme IVM, Beliaghata, Kol- 10, Tel-23708004; (ঘ) Diamond Tours & Travels, 30 Jadunath Dey Road, 2nd Floor, Kol- 12. Tel - 22259639
ALL TOTAL LIST OF 22 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(i) Kumbh Mela, (ii) Basant Panchami, (iii) Bhilauli and Harela, (iv) Uttarakhandi Holi, (v) Makar Sankranti, (vi) Kale Kauwa or Ghughutia, (vii) Phool Dei, (viii) Ganga Dussehra, (ix) Kandali, (x) Bat Savitri, (xi) Purnagiri Mela, (xii) Syalde Bikhauti Fair, (xiii) International Yoga Festival Rishikesh, (xiv) Ghee Sankranti, (xv) Hill Jatra, (xvi) Kanwar Yatra, (xvii) Bissu Mela, (xviii) Nanda Devi Mela & Raj Jat Yatra, (xix) Magh Mela, (xx) Uttarayani Fair, (xxi) Egaas, (xxii) Bagwal Fair.
AVERAGE WEATHER OR CLIMATE. WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE:-
গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা থাকে ২৪° সেলসিয়াস। আবহাওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম। তেমনি শীতকালে অসম্ভব ঠান্ডা পড়ে। শীতের সময় উত্তর অংশে বেশিরভাগ সময় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচেই থাকে। তুষারপাত হয়। মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাতও হয়ে থাকে। আর বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের সাথে প্রায়শই পাহাড়ে ধ্বস নেমে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে দেখা যায়। সবদিক দিয়ে বিচার করলে যারা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে চান তাঁদের মার্চ মাস থেকে মে মাসের মধ্যেই যাওয়া উচিত। আর যারা তুষারপাত দেখতে চান এবং বরফে ঢাকা উত্তরাখন্ডের মজা নিতে চান, তারা শীতকালে এখানে ঘুরতে আসতে পারেন।
[ TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN UTTARAKHAND, INDIA WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS. ]
দেরাদুন ( Dehradun ) - দেরাদুন শব্দের অর্থ হল ছবির মতো সুন্দর উপত্যকা। শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতিতে যথেষ্ট উন্নত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উপত্যকা। দক্ষিণ-পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা নদী আর উত্তর-পশ্চিম পাশে যমুনা নদী। উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা আর দক্ষিণে শিবালিক পাহাড়। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই জায়গা। নিবিড় বনানী ও অগুনতি পাহাড়ি ঝর্ণা এই স্থানের সৌন্দর্যে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। সারা বছরই এখানকার আবহাওয়া অতি মনোরম। রেল স্টেশনের কাছেই রয়েছে শিখ গুরু রাম রায়ের হাতে গড়া দরবার সাহিব গুরুদ্বারা ( Darbar Sahib Sri Guru Ram Rai Maharaj Gurudwara, Arhat Bazar Rd, Jhanda Bazar, Jhanda Mohalla, Dehradun - 248001 )। প্রতি বছর হোলির ৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হয় শিখ উৎসব ঝান্ডা মেলা, যা দেরাদুনের জনপ্রিয় উৎসব। এখানে অবস্থিত অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজ ও ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষাদান করা হয়। বুধবার ও রবিবার এখানকার মিলিটারি মিউজিয়ামটিও দেখে নিতে পারেন। শহর থেকে মাত্র ৫ কি. মি. দূরে ইংরেজদের হাতে গড়া ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটটি অবশ্যই দেখতে যাবেন ( FRI Timber Museum, Brandis Rd, Forest Research Institute, Indian Military Academy, Dehradun, Uttarakhand 248003 )। নানা প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। এখানে অরণ্য নিয়ে গবেষণা করা হয়। ৬ টি গ্যালারিতে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের নানা সংগ্রহ এবং অরণ্যচারী বিভিন্ন প্রানী এই মিউজিয়ামের আকর্ষণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রাজপুর রোডে আছে সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অফিস ( Survey of India Office, Hathibarkala, Rajpur Road )। এই দপ্তরই এভারেস্টের উচ্চতা নির্ণয় করে। আবিষ্কারক ছিলেন রাধানাথ শিকদার, নামকরণ হয় তৎকালীন সার্ভেয়র জেনারেল অফ ইন্ডিয়া স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে। শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে একক সংগ্রহে গড়ে তোলা ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি মিউজিয়াম ( Wadia Institute of Himalayan Geology Museum, 33, General Mahadev Singh Rd, Vijay Park )। হিমালয় পর্বতের নানারকম পাথর ও ফসিলের প্রদর্শনী আছে। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে দেখে নিতে পারেন। এখানে ভূবিজ্ঞান নিয়ে জোরদার গবেষণা চলছে। দুন স্কুল ( The Doon School, Mall Rd, Kishan Nagar Chowk, Krishna Nagar, Dehradun. ) আর এক আকর্ষণীয় জায়গা। ৮ কি. মি. দূরের Central Silk Board Sericulture Centre, Prem Nagar -এ গিয়ে রেশমগুটির চাষও দেখে নিতে পারেন।
সহস্রধারা প্রস্রবণ ( Sahastradhara Natural Spring ) - দেরাদুন শহরের কাছেই রয়েছে বিখ্যাত সহস্রধারা গন্ধক জলের প্রস্রবণ ও ঝরনা। সহস্রটি জলধারামুখ, তাই এর নাম সহস্রধারা। এই স্থানের চারিদিকে সবুজ পাহাড়, লতাগুল্ম ও মরশুমি ফুলের সমারোহ সত্যিই দেখার মতো। শরৎকালে ও বসন্তকালে বাসা বাঁধে নাম না জানা রঙবেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। নামার পথে ডাইনে নল দিয়ে পড়ছে গন্ধক জল যা পেটের নানা অসুখের অব্যর্থ ওষুধ। পিকনিকও হয় এখানে। রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট প্রচুর আছে। শোনা যায় যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সময় পেলেই এখানে আসতেন। রেল স্টেশনের কাছ থেকে এই জায়গায় আসার অনেক বাস ছাড়ে।
তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির ( Tapkeshwar Temple, Dehradun ) - টনস বা বিন্দাল নদীর তীরে মেইন রেল স্টেশন থেকে ৬ কি. মি. উত্তর-পশ্চিমে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে এই তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরটি অবস্থিত। স্কন্দপুরাণে আছে যে দ্বাপর যুগে আচার্য দ্রোণ এই দ্রোণাগুম্ফাতেই বাস করতেন। তাঁর পুত্র অশ্বত্থামার জন্মও এই গুম্ফাতে। অশ্বত্থামা তপস্যা করতেন তপকেশ্বর দেবতার। সেই থেকে জায়গাটির এই নাম। শিবরাত্রিতে দূর-দূরান্ত থেকে যাত্রী আসেন এখানে। ঢোকার মুখেই দূর্গা মন্দির। রয়েছে বাল্মীকি গুহা। সিটি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে এখানে আসতে পারেন। আর একটু গিয়ে দেখে আসুন তিব্বতীয় গুহা ফ্রেস্কো ছবিতে সুশোভিত শাক্য সেন্টার।
রবার্স কেভ ( Robber's Cave, Gucchupani, Malsi ) - দেরাদুন শহর থেকে ৮ কি. মি. দূরে টনস বা বিন্দাল নদীর কাছে রবার্স কেভ বা ডাকাত গুহা অবস্থিত। স্থানীয় লোকেরা একে Guchu Pani-ও বলে থাকেন। এখন আর ডাকাতের দল না থাকলেও এই নিরালা নিভৃত স্থান আপনার দেহমনে এক ধরনের ভয়ের শিরশিরানি ভাব খেলিয়ে দেবে। টনস এখানে ফল্গুধারায় বইছে। অর্থাৎ, হঠাৎ করে নুড়ি পাথরের নীচে অদৃশ্য হয়ে বেশ কিছুটা দূরে আবার দৃশ্যমান হচ্ছে। ১ কি. মি. দূরের আনারওয়ালা গ্রাম পর্যন্ত বাস আসে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে। বাকি পথ হেঁটে আসতে হবে। তবে গাড়িতে করে আসলে একদম সামনে এসে পৌঁছবেন।
আপনার ভ্রমণের তালিকায় ভারত বিখ্যাত কন্যা গুরুকুল ও সামরিক বিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করতে পারেন। দেরাদুন শহর থেকে রাজপুর যাওয়ার পথে উঁচু জায়গায় সুন্দর পরিবেশের মাঝে এই বিদ্যালয় দুটি অবস্থান করছে। শীতকালে অসম্ভব শীত আর গ্রীষ্মকালে মনোরম স্নিগ্ধ আবহাওয়া যুক্ত এই স্থান। চারিদিকের বরফে ঢাকা পর্বতের দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। কন্যা গুরুকুল ( Kanya Gurukul Mahavidyalaya, Address - 60, Rajpur Rd, Kandholi, Chironwali, Dehradun, Uttarakhand 248001 ) হলো মেয়েদের জন্য। আর সামরিক বিদ্যালয় হলো ছেলেদের জন্য। ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুরোপুরি অনুসরণ করেই শিক্ষাদান করা হয়।
৬ কি. মি. দূরে রয়েছে পৌরাণিক যুগের তপোবন ( Tapoban, Uttarakhand ), যেখানে রামানুজ লক্ষ্মণ ইন্দ্রজিৎ বধের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন। মহাভারতের যুগের দ্রোণাচার্যও নাকি এই পবিত্র তপোবনে প্রায়শ্চিত্ত করেন। হৃষিকেশ যাওয়ার পথে শহর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আর এক বিখ্যাত ধর্মস্থান লকসমন সিধ মন্দির ( Laxman Siddh Temple, Lachhiwala Range )। এখানে পূর্বে সাধুসন্তরা সাধনা করতেন। এটি সন্ত লকসমন সিধের স্মৃতি মন্দির। প্রতি রবিবার অনেক দূর-দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন পূজা দিতে।
চক্রাতা ( Chakrata ) - ভ্রমণ উৎসাহী যারা তাঁরা দেরাদুন রেল স্টেশন পার্শ্ববর্তী গান্ধী রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘন্টা তিনেকের বাসযাত্রায় কৈলানা পর্বতমালায় অবস্থিত ওক, ফার, রডোডেনড্রন গাছে পরিবৃত চক্রাতা ঘুরে আসতে পারেন। নির্জন গভীর অরণ্যের মাঝে অতি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি শৈলাবাস হলো এই চক্রাতা। ব্রিটিশ আমলে এই জৌনসারি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাটি ছিল সামরিক গ্রীষ্মাবাস। এখনও জায়গাটি ইন্ডিয়ান মিলিটারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে। বর্তমানে ধীরে ধীরে পর্যটনস্থল হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রচুর হোটেল হয়েছে এবং হচ্ছে। যাত্রী সমাগমও ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাওয়ার পথে Kalsi ও Sahiya -তে চেকিং গেট রয়েছে। কলসিতে ২ থেকে ২.৩০ ঘন্টা পরপর গেট খোলে। সহিয়াতে গেট খোলে ১ ঘন্টা অন্তর। বিদেশিদের এখানে যেতে RAP ( Restricted Area Permit ) লাগে। অনেকগুলি ভিউ পয়েন্ট আছে, মাত্র ৩ কি. মি. দূরে আছে খারাম্বা চূড়া, জিপে বা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় চিরিমিরি লেক, কাছেই রয়েছে দুটি সুন্দর জলপ্রপাত - Kimona ও Tiger Waterfalls, ১ কিমি চড়াই উঠেই থানাডান্ডা, ৬ কিলোমিটার দূরে আছে রামতাল গার্ডেন, প্রায় ২০ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত সুন্দর নৈসর্গিক শোভা সমৃদ্ধ চুরানি। ভাগ্য ভালো থাকলে উঁচু রিজ থেকে বন্যপ্রাণীর দর্শনও পেতে পারেন। এখান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের টিউনি হয়ে সিমলাতেও যেতে পারেন বাসে করে। টিউনির পথে পরবে চির, পাইন, ফার, ওক, দেবদারু ও সাইপ্রাসে ছাওয়া এবং অসংখ্য জানা-অজানা পাখির কলকাকলিতে মুখর বনভূমি সমৃদ্ধ কাথিয়ান ( Kathian ) নামের অনন্য সুন্দর একটি জায়গা। এখান থেকে দিগন্তবিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালার অনেকগুলো নামকরা তুষারশুভ্র গিরিশিখর দেখতে পাওয়া যায়। ট্রেকিং করতে ইচ্ছুক যারা, তাঁরা ৩ দিন ট্রেক করেও Chakrata থেকে Kathiana -তে পৌঁছে যেতে পারেন।
ডাকপাথার ( Dakpathar ) - দেরাদুন থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে চক্রাতা যাওয়ার পথে শিবালিকের পাদদেশে যমুনা নদীর তীরে চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গাটি বিখ্যাত Dakpathar Yamuna Hydro Electricity Project - এর জন্য। এখানে জলবিদ্যুৎ তৈরি হয়। আর নদীর জল যাচ্ছে আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমিগুলোতে। এই স্থানেই যমুনা নদীর সাথে তমসা নদী মিলিত হয়েছে। ডিয়ার পার্ক, চিড়িয়াঘর, গোলাপ বাগান সমেত একটি Amusement Park এই জায়গাটির সৌন্দর্যে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। সত্যিই পিকনিকের আদর্শ পরিবেশ।
আসান ব্যারেজ ( Assan Barrage Water Sports Resort ) - ডাকপাথার থেকে ১২ কি. মি. দূরত্বে এই আসান ব্যারেজ তথা ওয়াটার স্পোর্টস রিসর্টটি রয়েছে। আসান হলো যমুনার শাখানদী। কায়াক ও ক্যানোয় চেপে এই খরস্রোতা পাহাড়ি নদীতে জলক্রীড়ার আনন্দে নিজের শরীর-মন ভাসিয়ে দিন। ৭ দিনের মজার ওয়াটার স্কি কোর্সটিও করে নিতে পারেন এই রিসর্ট থেকে। ব্যারেজের জলাধার বা লেকের জলে নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যেকার সময়ে দেশান্তর থেকে চলে আসা জলচর পরিযায়ী পাখিদের ভেসে বেড়ানো ও হুটোপুটি নিজের চোখে সামনে থেকে দেখার মজাই আলাদা। GMVN এর Official তত্ত্বাবধানে এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে। [Tel. No. - ( 01360 ) 224098 / Mobile No. - 9568006652]
হরিপুর ( Haripur ) - দেরাদুন শহর থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরের হরিপুরের সুখ্যাতি নৈসর্গিক শোভার জন্য। এখান থেকে হিমালয়ের অপূর্ব রূপ দর্শন করতে সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশের প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা চলতেই থাকে। যমুনা নদীর রূপ দর্শন আর এক বাড়তি পাওয়া।
এছাড়া, একই যাত্রায় লাখামন্ডল প্রাসাদ ( Lakhamandal Palace ) ও হরিপুরের পাশের কলসিতে ঘুরে আসুন। পুরাতত্ত্বের বিভিন্ন নিদর্শন নিয়ে লাখামন্ডলে একটি মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে। কলসিতে ১৮৬০ সালে আবিষ্কৃত প্রাসাদ ( Kalsi Palace ) ও অশোকের শিলালিপি দেখে নিতে পারেন। চক্রাতায় একটা রাত অবস্থান করে এই দুটি জায়গা একসাথে দর্শন করা উচিৎ হবে।
কি কি কেনাকাটা করবেন? What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling Here?
উত্তরকাশী ও গাড়োয়াল তেহরির উৎপাদিত আপেলজাত নানা দ্রব্যের বাণিজ্যকেন্দ্র দেরাদুনে কেনাকাটা করার সেরা ও বিশ্বস্ত জায়গা হলো Paltan Bazar, Rajpur Road, Ashtley Hall, Connaught Place. বাঙালি মিষ্টির দোকান আছে ভিক্টোরিয়ান ক্লক টাওয়ারের কাছে। শীতকালে আসলে কেশর কা হালুয়ার স্বাদ নিতে ভুলবেন না। ভারত বিখ্যাত বাসমতী চাল, সোয়েটার, বালাপোশ, উলের পোশাকের যথেষ্ট সুনাম আছে, দামেও খানিকটা সস্তা। এখানকার দোকানগুলোতে ব্রাসের অনেক রকমের জিনিস পাবেন। লিচুরও সুখ্যাতি রয়েছে, খেয়ে পরখ করে দেখতে পারেন।
কিভাবে যাবেন? How to Reach / Go?
কলকাতা-হাওড়া থেকে ট্রেনে করে সরাসরি এখানে পৌঁছনো যায়। এছাড়া, দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে হয় সরাসরি না হয় ভায়া দিল্লি এখানে আসতে পারবেন রেলপথে। নিউ দিল্লি সমেত নিকটবর্তী সমস্ত বড়ো শহর থেকে বাস সার্ভিস ও রেন্টাল কার সার্ভিস চালু আছে। আর বিমানে আসতে হলে ভায়া দিল্লি বা চন্ডীগড় হয়ে আসতে হবে।
কোথায় থাকবেন? Where to Stay?
রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে প্রচুর হোটেল, লজ, রেস্টুরেন্ট রয়েছে। একটু দরদাম করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। অথবা, আগে থেকে অনলাইন বুকিং করে তারপর যেতে পারেন। এই পেজের উপরের দিকে দেওয়া Trusted Website Link-এর মাধ্যমেও বুকিং করতে পারেন।
→ অনেকে বলেন যে এই পৃথিবীতে যদি কোথাও প্রকৃত স্বর্গ থেকে থাকে তো সেটা গাড়োয়াল হিমালয়ের কোলে অবস্থিত উত্তরাখন্ড রাজ্যে। এক সময়ে ফুলে ফলে ভরা সবুজে ছাওয়া গাড়োয়াল হিমালয়ে দেবতাদের বাস ছিল। তাই একে দেবভূমিও ( Devabhumi ) বলা হয়। সাধুসন্তের পদধূলি সমৃদ্ধ এবং বাঙালি পর্যটকদের চোখের মণি ঋষিকেশ ও হরিদ্বারের অবস্থান এই রাজ্যেই। হরিদ্বারকে এই স্টেটের প্রবেশদ্বার ( Gateway ) বলা হয়। হিন্দুদের অতি পবিত্র এবং অন্যতম চার মহাতীর্থ কেদারনাথ-বদ্রীনাথ-গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রীর অবস্থান এই অঞ্চলকে বিশ্বের দরবারে এক অন্যমাত্রার মর্যাদা পেতে সাহায্য করেছে। তেমনি শিখদের মহাপবিত্র তীর্থক্ষেত্র হেমকুন্ড সাহিবও এই রাজ্যে স্বমহিমায় বিরাজ করছে। হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে দেশ বিদেশের পর্যটকেরা এখানে আসেন। এক ডজনেরও বেশি অত্যন্ত মনোরম বিশ্ববিখ্যাত শৈল শহর ( Hill Station ) আছে। জিম করবেট অভয়ারণ্য ( Reserve Forest ) সমেত ৬টি জাতীয় উদ্যানের ( National Park ) অবস্থান এই রাজ্যে। এখানে বিশাল পরিমাণে বৈচিত্র্যে ভরা বনজ সম্পদ আছে।
→ উত্তরাখন্ড সংঘর্ষ সমিতির দীর্ঘ দিনের আন্দোলনের ফলে ২০০০ সালের ৯ই নভেম্বর উত্তরপ্রদেশের পাহাড়ি অঞ্চল নিয়ে প্রথমে গঠিত হয় উত্তরাঞ্চল রাজ্য। পরে ২০০৬ সালের ২৮শে ডিসেম্বর সরকারি আদেশ অনুসারে উত্তরাঞ্চলের নাম বদলে বর্তমানের নামকরণ করা হয়।
আয়তনে ছোট হলেও এখানকার পর্যটন শিল্পের আলাদা গুরুত্ব রয়েছে এবং এটি প্রধান অর্থকরী শিল্পও বটে। এর রাজধানী দেরাদুন ( Capital City is Dehradun )। মোট আয়তন ৫৩৪৮৩ বর্গ কি. মি. ( ২০৬৫০ বর্গ মাইল )। মোট জনসংখ্যা ( Total Population ) ১০০৮৬২৯০ জন। এখানকার মানুষদের উত্তরাখন্ডী ( Uttarakhandi ) বলা হয়। জনঘনত্ব ( Population Density ) বা প্রতি বর্গ কিলোমিটারে বাস করেন ১৮৯ জন। প্রতি ১০০০ পুরুষে নারী আছেন ৯৬৩ জন ( Women Men Sex Ratio )। সাক্ষরতার হার ( Percentage of Literacy ) ৭৯.৬৩%। মাথাপিছু বার্ষিক আয় ( Average Yearly Income Per Head / Capita ) ১৯৮৭৪০ টাকা। প্রধান সরকারি ভাষা হল হিন্দি ও সংস্কৃত। প্রধান ফুল ব্রহ্মকমল ( Brahma Kamal )। প্রধান নদী গঙ্গা ( The Ganges )। সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ( Football )।
মোট জেলা ( Total Number of Districts is 13 ) আছে ১৩টি। যথাক্রমে, (1) আলমোড়া ( Almora ), (2) বাগেশ্বর ( Bageshwar ), (3) চামোলি ( Chamoli ), (4) চম্পাবত্ ( Champawat ), (5) দেরাদুন ( Dehradun ), (6) হরিদ্বার ( Haridwar ), (7) নৈনিতাল ( Nainital ), (8) পৌরি গাড়োয়াল ( Pauri Garhwal ), (9) পিথোরাগড় ( Pithoragarh ), (10) রুদ্রপ্রয়াগ ( Rudraprayag ), (11) তেহরি গাড়োয়াল ( Tehri Garhwal ), (12) উধম সিং নগর ( Udham Singh Nagar ), (13) উত্তরকাশী ( Uttarkashi )।
Uttrakhand Government Official Site - https://www.uk.gov.in
Tourism Department Official Website - https://www.uttarakhandtourism.gov.in
IMPORTANT OFFICE ADDRESSES, CONTACT TELEPHONE NUMBERS FOR EMERGENCY ENQUIRIES WHEN YOU ARE TRAVELLING DIFFERENT PLACES IN / ESSENTIAL ADDRESSES OF GOVT. TOURISM OFFICES, TRAVEL AGENCIES FOR ALL TOURISTS:-
ভ্রমণ সংক্রান্ত যে কোন খোঁজ খবর নিতে সরাসরি যোগাযোগ করুন -
Director of Tourism, 3/3 Industrial Area, Patel Nagar, Saharanpur Road, Dehradun - 248001, Tel - ( 0135 ) 2721289 অথবা 74 - 1, Rajpur Road, Dehradun, Tel - 2746817.
কলকাতায় যোগাযোগের ঠিকানা -
(ক) GMVN - Marshal House, 33/1, N. S. Road, Kol - 2, 2nd Floor, Room No. 224. Tel - 22315554/9831110999; (খ) KMVN - 7/2, C. Chakraberia Road ( South ), Bhawanipur, Kol - 25, Tel - 24868295/9339878995; (গ) Himalchura Travels & Tours, P-263, C. V. T. Road, Scheme IVM, Beliaghata, Kol- 10, Tel-23708004; (ঘ) Diamond Tours & Travels, 30 Jadunath Dey Road, 2nd Floor, Kol- 12. Tel - 22259639
ALL TOTAL LIST OF 22 VERY BIG, MOST POPULAR OR FAMOUS LOCAL FAIRS & MAJOR FESTIVALS:-
(i) Kumbh Mela, (ii) Basant Panchami, (iii) Bhilauli and Harela, (iv) Uttarakhandi Holi, (v) Makar Sankranti, (vi) Kale Kauwa or Ghughutia, (vii) Phool Dei, (viii) Ganga Dussehra, (ix) Kandali, (x) Bat Savitri, (xi) Purnagiri Mela, (xii) Syalde Bikhauti Fair, (xiii) International Yoga Festival Rishikesh, (xiv) Ghee Sankranti, (xv) Hill Jatra, (xvi) Kanwar Yatra, (xvii) Bissu Mela, (xviii) Nanda Devi Mela & Raj Jat Yatra, (xix) Magh Mela, (xx) Uttarayani Fair, (xxi) Egaas, (xxii) Bagwal Fair.
AVERAGE WEATHER OR CLIMATE. WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS STATE:-
গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা থাকে ২৪° সেলসিয়াস। আবহাওয়া থাকে অত্যন্ত মনোরম। তেমনি শীতকালে অসম্ভব ঠান্ডা পড়ে। শীতের সময় উত্তর অংশে বেশিরভাগ সময় তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচেই থাকে। তুষারপাত হয়। মাঝে মাঝে বৃষ্টিপাতও হয়ে থাকে। আর বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টিপাতের সাথে প্রায়শই পাহাড়ে ধ্বস নেমে জনজীবন বিপর্যস্ত হতে দেখা যায়। সবদিক দিয়ে বিচার করলে যারা নির্বিঘ্নে ভ্রমণ করতে চান তাঁদের মার্চ মাস থেকে মে মাসের মধ্যেই যাওয়া উচিত। আর যারা তুষারপাত দেখতে চান এবং বরফে ঢাকা উত্তরাখন্ডের মজা নিতে চান, তারা শীতকালে এখানে ঘুরতে আসতে পারেন।
এই রাজ্যের যেকোন জায়গায় যাওয়া আসা, থাকা খাওয়ার ব্যাপারে আগে থাকতে অনলাইন বুকিং-এর জন্য নীচের বিশ্বস্ত ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে এক বা একাধিক ব্যবহার করতে পারেন। [ FOR ONLINE BOOKING OF FOODS / FLIGHTS, TRAIN / RAILWAY RESERVATION, HOUSES ON RENT/ FLATS RENTAL / LODGES / RESORTS / HOMESTAYS / TENTS / HOTELS ROOMS IN ANY PLACE WITH DISCOUNT, CHEAP AIR TICKETS, BUS BOOKING, CAR HIRE ]:-
1. https://www.trivago.in
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
2. https://www.goibibo.com
3. https://www.makemytrip.com
4. https://www.yatra.com
5. https://www.cleartrip.com
6. https://www.tripadvisor.in
7. https://www.ixigo.com
8. https://www.zomato.com
[ TOP PLACES TO VISIT OR MAJOR TOURIST ATTRACTIONS IN UTTARAKHAND, INDIA WITH PROPER TOUR PLAN ON MAIN TRAVEL DESTINATIONS AND OTHER NEAREST BEAUTIFUL SPOTS. ]
দেরাদুন ( Dehradun ) - দেরাদুন শব্দের অর্থ হল ছবির মতো সুন্দর উপত্যকা। শিক্ষা-দীক্ষা-সংস্কৃতিতে যথেষ্ট উন্নত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উপত্যকা। দক্ষিণ-পূর্ব পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা নদী আর উত্তর-পশ্চিম পাশে যমুনা নদী। উত্তরে হিমালয় পর্বতমালা আর দক্ষিণে শিবালিক পাহাড়। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই জায়গা। নিবিড় বনানী ও অগুনতি পাহাড়ি ঝর্ণা এই স্থানের সৌন্দর্যে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। সারা বছরই এখানকার আবহাওয়া অতি মনোরম। রেল স্টেশনের কাছেই রয়েছে শিখ গুরু রাম রায়ের হাতে গড়া দরবার সাহিব গুরুদ্বারা ( Darbar Sahib Sri Guru Ram Rai Maharaj Gurudwara, Arhat Bazar Rd, Jhanda Bazar, Jhanda Mohalla, Dehradun - 248001 )। প্রতি বছর হোলির ৫ দিন পর অনুষ্ঠিত হয় শিখ উৎসব ঝান্ডা মেলা, যা দেরাদুনের জনপ্রিয় উৎসব। এখানে অবস্থিত অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি, রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি কলেজ ও ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত শিক্ষাদান করা হয়। বুধবার ও রবিবার এখানকার মিলিটারি মিউজিয়ামটিও দেখে নিতে পারেন। শহর থেকে মাত্র ৫ কি. মি. দূরে ইংরেজদের হাতে গড়া ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটটি অবশ্যই দেখতে যাবেন ( FRI Timber Museum, Brandis Rd, Forest Research Institute, Indian Military Academy, Dehradun, Uttarakhand 248003 )। নানা প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। এখানে অরণ্য নিয়ে গবেষণা করা হয়। ৬ টি গ্যালারিতে উদ্ভিদ বিজ্ঞানের নানা সংগ্রহ এবং অরণ্যচারী বিভিন্ন প্রানী এই মিউজিয়ামের আকর্ষণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। রাজপুর রোডে আছে সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অফিস ( Survey of India Office, Hathibarkala, Rajpur Road )। এই দপ্তরই এভারেস্টের উচ্চতা নির্ণয় করে। আবিষ্কারক ছিলেন রাধানাথ শিকদার, নামকরণ হয় তৎকালীন সার্ভেয়র জেনারেল অফ ইন্ডিয়া স্যার জর্জ এভারেস্টের নামে। শহর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে একক সংগ্রহে গড়ে তোলা ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজি মিউজিয়াম ( Wadia Institute of Himalayan Geology Museum, 33, General Mahadev Singh Rd, Vijay Park )। হিমালয় পর্বতের নানারকম পাথর ও ফসিলের প্রদর্শনী আছে। সোমবার থেকে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টার মধ্যে দেখে নিতে পারেন। এখানে ভূবিজ্ঞান নিয়ে জোরদার গবেষণা চলছে। দুন স্কুল ( The Doon School, Mall Rd, Kishan Nagar Chowk, Krishna Nagar, Dehradun. ) আর এক আকর্ষণীয় জায়গা। ৮ কি. মি. দূরের Central Silk Board Sericulture Centre, Prem Nagar -এ গিয়ে রেশমগুটির চাষও দেখে নিতে পারেন।
সহস্রধারা প্রস্রবণ ( Sahastradhara Natural Spring ) - দেরাদুন শহরের কাছেই রয়েছে বিখ্যাত সহস্রধারা গন্ধক জলের প্রস্রবণ ও ঝরনা। সহস্রটি জলধারামুখ, তাই এর নাম সহস্রধারা। এই স্থানের চারিদিকে সবুজ পাহাড়, লতাগুল্ম ও মরশুমি ফুলের সমারোহ সত্যিই দেখার মতো। শরৎকালে ও বসন্তকালে বাসা বাঁধে নাম না জানা রঙবেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। নামার পথে ডাইনে নল দিয়ে পড়ছে গন্ধক জল যা পেটের নানা অসুখের অব্যর্থ ওষুধ। পিকনিকও হয় এখানে। রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট প্রচুর আছে। শোনা যায় যে ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু সময় পেলেই এখানে আসতেন। রেল স্টেশনের কাছ থেকে এই জায়গায় আসার অনেক বাস ছাড়ে।
তপকেশ্বর মহাদেব মন্দির ( Tapkeshwar Temple, Dehradun ) - টনস বা বিন্দাল নদীর তীরে মেইন রেল স্টেশন থেকে ৬ কি. মি. উত্তর-পশ্চিমে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে এই তপকেশ্বর মহাদেব মন্দিরটি অবস্থিত। স্কন্দপুরাণে আছে যে দ্বাপর যুগে আচার্য দ্রোণ এই দ্রোণাগুম্ফাতেই বাস করতেন। তাঁর পুত্র অশ্বত্থামার জন্মও এই গুম্ফাতে। অশ্বত্থামা তপস্যা করতেন তপকেশ্বর দেবতার। সেই থেকে জায়গাটির এই নাম। শিবরাত্রিতে দূর-দূরান্ত থেকে যাত্রী আসেন এখানে। ঢোকার মুখেই দূর্গা মন্দির। রয়েছে বাল্মীকি গুহা। সিটি বাস স্ট্যান্ড থেকে বাসে করে এখানে আসতে পারেন। আর একটু গিয়ে দেখে আসুন তিব্বতীয় গুহা ফ্রেস্কো ছবিতে সুশোভিত শাক্য সেন্টার।
রবার্স কেভ ( Robber's Cave, Gucchupani, Malsi ) - দেরাদুন শহর থেকে ৮ কি. মি. দূরে টনস বা বিন্দাল নদীর কাছে রবার্স কেভ বা ডাকাত গুহা অবস্থিত। স্থানীয় লোকেরা একে Guchu Pani-ও বলে থাকেন। এখন আর ডাকাতের দল না থাকলেও এই নিরালা নিভৃত স্থান আপনার দেহমনে এক ধরনের ভয়ের শিরশিরানি ভাব খেলিয়ে দেবে। টনস এখানে ফল্গুধারায় বইছে। অর্থাৎ, হঠাৎ করে নুড়ি পাথরের নীচে অদৃশ্য হয়ে বেশ কিছুটা দূরে আবার দৃশ্যমান হচ্ছে। ১ কি. মি. দূরের আনারওয়ালা গ্রাম পর্যন্ত বাস আসে শহরের বাসস্ট্যান্ড থেকে। বাকি পথ হেঁটে আসতে হবে। তবে গাড়িতে করে আসলে একদম সামনে এসে পৌঁছবেন।
আপনার ভ্রমণের তালিকায় ভারত বিখ্যাত কন্যা গুরুকুল ও সামরিক বিদ্যালয়ের নাম যুক্ত করতে পারেন। দেরাদুন শহর থেকে রাজপুর যাওয়ার পথে উঁচু জায়গায় সুন্দর পরিবেশের মাঝে এই বিদ্যালয় দুটি অবস্থান করছে। শীতকালে অসম্ভব শীত আর গ্রীষ্মকালে মনোরম স্নিগ্ধ আবহাওয়া যুক্ত এই স্থান। চারিদিকের বরফে ঢাকা পর্বতের দৃশ্য দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে। কন্যা গুরুকুল ( Kanya Gurukul Mahavidyalaya, Address - 60, Rajpur Rd, Kandholi, Chironwali, Dehradun, Uttarakhand 248001 ) হলো মেয়েদের জন্য। আর সামরিক বিদ্যালয় হলো ছেলেদের জন্য। ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি পুরোপুরি অনুসরণ করেই শিক্ষাদান করা হয়।
৬ কি. মি. দূরে রয়েছে পৌরাণিক যুগের তপোবন ( Tapoban, Uttarakhand ), যেখানে রামানুজ লক্ষ্মণ ইন্দ্রজিৎ বধের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেন। মহাভারতের যুগের দ্রোণাচার্যও নাকি এই পবিত্র তপোবনে প্রায়শ্চিত্ত করেন। হৃষিকেশ যাওয়ার পথে শহর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে আর এক বিখ্যাত ধর্মস্থান লকসমন সিধ মন্দির ( Laxman Siddh Temple, Lachhiwala Range )। এখানে পূর্বে সাধুসন্তরা সাধনা করতেন। এটি সন্ত লকসমন সিধের স্মৃতি মন্দির। প্রতি রবিবার অনেক দূর-দূরান্ত থেকে পূণ্যার্থীরা আসেন পূজা দিতে।
চক্রাতা ( Chakrata ) - ভ্রমণ উৎসাহী যারা তাঁরা দেরাদুন রেল স্টেশন পার্শ্ববর্তী গান্ধী রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে ঘন্টা তিনেকের বাসযাত্রায় কৈলানা পর্বতমালায় অবস্থিত ওক, ফার, রডোডেনড্রন গাছে পরিবৃত চক্রাতা ঘুরে আসতে পারেন। নির্জন গভীর অরণ্যের মাঝে অতি মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের একটি শৈলাবাস হলো এই চক্রাতা। ব্রিটিশ আমলে এই জৌনসারি উপজাতি অধ্যুষিত এলাকাটি ছিল সামরিক গ্রীষ্মাবাস। এখনও জায়গাটি ইন্ডিয়ান মিলিটারী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে। বর্তমানে ধীরে ধীরে পর্যটনস্থল হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। প্রচুর হোটেল হয়েছে এবং হচ্ছে। যাত্রী সমাগমও ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাওয়ার পথে Kalsi ও Sahiya -তে চেকিং গেট রয়েছে। কলসিতে ২ থেকে ২.৩০ ঘন্টা পরপর গেট খোলে। সহিয়াতে গেট খোলে ১ ঘন্টা অন্তর। বিদেশিদের এখানে যেতে RAP ( Restricted Area Permit ) লাগে। অনেকগুলি ভিউ পয়েন্ট আছে, মাত্র ৩ কি. মি. দূরে আছে খারাম্বা চূড়া, জিপে বা পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় চিরিমিরি লেক, কাছেই রয়েছে দুটি সুন্দর জলপ্রপাত - Kimona ও Tiger Waterfalls, ১ কিমি চড়াই উঠেই থানাডান্ডা, ৬ কিলোমিটার দূরে আছে রামতাল গার্ডেন, প্রায় ২০ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত সুন্দর নৈসর্গিক শোভা সমৃদ্ধ চুরানি। ভাগ্য ভালো থাকলে উঁচু রিজ থেকে বন্যপ্রাণীর দর্শনও পেতে পারেন। এখান থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের টিউনি হয়ে সিমলাতেও যেতে পারেন বাসে করে। টিউনির পথে পরবে চির, পাইন, ফার, ওক, দেবদারু ও সাইপ্রাসে ছাওয়া এবং অসংখ্য জানা-অজানা পাখির কলকাকলিতে মুখর বনভূমি সমৃদ্ধ কাথিয়ান ( Kathian ) নামের অনন্য সুন্দর একটি জায়গা। এখান থেকে দিগন্তবিস্তৃত হিমালয় পর্বতমালার অনেকগুলো নামকরা তুষারশুভ্র গিরিশিখর দেখতে পাওয়া যায়। ট্রেকিং করতে ইচ্ছুক যারা, তাঁরা ৩ দিন ট্রেক করেও Chakrata থেকে Kathiana -তে পৌঁছে যেতে পারেন।
ডাকপাথার ( Dakpathar ) - দেরাদুন থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে চক্রাতা যাওয়ার পথে শিবালিকের পাদদেশে যমুনা নদীর তীরে চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গাটি বিখ্যাত Dakpathar Yamuna Hydro Electricity Project - এর জন্য। এখানে জলবিদ্যুৎ তৈরি হয়। আর নদীর জল যাচ্ছে আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষের জমিগুলোতে। এই স্থানেই যমুনা নদীর সাথে তমসা নদী মিলিত হয়েছে। ডিয়ার পার্ক, চিড়িয়াঘর, গোলাপ বাগান সমেত একটি Amusement Park এই জায়গাটির সৌন্দর্যে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। সত্যিই পিকনিকের আদর্শ পরিবেশ।
আসান ব্যারেজ ( Assan Barrage Water Sports Resort ) - ডাকপাথার থেকে ১২ কি. মি. দূরত্বে এই আসান ব্যারেজ তথা ওয়াটার স্পোর্টস রিসর্টটি রয়েছে। আসান হলো যমুনার শাখানদী। কায়াক ও ক্যানোয় চেপে এই খরস্রোতা পাহাড়ি নদীতে জলক্রীড়ার আনন্দে নিজের শরীর-মন ভাসিয়ে দিন। ৭ দিনের মজার ওয়াটার স্কি কোর্সটিও করে নিতে পারেন এই রিসর্ট থেকে। ব্যারেজের জলাধার বা লেকের জলে নভেম্বর থেকে মার্চ মাসের মধ্যেকার সময়ে দেশান্তর থেকে চলে আসা জলচর পরিযায়ী পাখিদের ভেসে বেড়ানো ও হুটোপুটি নিজের চোখে সামনে থেকে দেখার মজাই আলাদা। GMVN এর Official তত্ত্বাবধানে এখানে থাকারও ব্যবস্থা আছে। [Tel. No. - ( 01360 ) 224098 / Mobile No. - 9568006652]
হরিপুর ( Haripur ) - দেরাদুন শহর থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরের হরিপুরের সুখ্যাতি নৈসর্গিক শোভার জন্য। এখান থেকে হিমালয়ের অপূর্ব রূপ দর্শন করতে সারা বছর ধরে দেশ-বিদেশের প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আনাগোনা চলতেই থাকে। যমুনা নদীর রূপ দর্শন আর এক বাড়তি পাওয়া।
এছাড়া, একই যাত্রায় লাখামন্ডল প্রাসাদ ( Lakhamandal Palace ) ও হরিপুরের পাশের কলসিতে ঘুরে আসুন। পুরাতত্ত্বের বিভিন্ন নিদর্শন নিয়ে লাখামন্ডলে একটি মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে। কলসিতে ১৮৬০ সালে আবিষ্কৃত প্রাসাদ ( Kalsi Palace ) ও অশোকের শিলালিপি দেখে নিতে পারেন। চক্রাতায় একটা রাত অবস্থান করে এই দুটি জায়গা একসাথে দর্শন করা উচিৎ হবে।
কি কি কেনাকাটা করবেন? What are The Things You Should Buy ( Marketing ) While Traveling Here?
উত্তরকাশী ও গাড়োয়াল তেহরির উৎপাদিত আপেলজাত নানা দ্রব্যের বাণিজ্যকেন্দ্র দেরাদুনে কেনাকাটা করার সেরা ও বিশ্বস্ত জায়গা হলো Paltan Bazar, Rajpur Road, Ashtley Hall, Connaught Place. বাঙালি মিষ্টির দোকান আছে ভিক্টোরিয়ান ক্লক টাওয়ারের কাছে। শীতকালে আসলে কেশর কা হালুয়ার স্বাদ নিতে ভুলবেন না। ভারত বিখ্যাত বাসমতী চাল, সোয়েটার, বালাপোশ, উলের পোশাকের যথেষ্ট সুনাম আছে, দামেও খানিকটা সস্তা। এখানকার দোকানগুলোতে ব্রাসের অনেক রকমের জিনিস পাবেন। লিচুরও সুখ্যাতি রয়েছে, খেয়ে পরখ করে দেখতে পারেন।
কিভাবে যাবেন? How to Reach / Go?
কলকাতা-হাওড়া থেকে ট্রেনে করে সরাসরি এখানে পৌঁছনো যায়। এছাড়া, দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে হয় সরাসরি না হয় ভায়া দিল্লি এখানে আসতে পারবেন রেলপথে। নিউ দিল্লি সমেত নিকটবর্তী সমস্ত বড়ো শহর থেকে বাস সার্ভিস ও রেন্টাল কার সার্ভিস চালু আছে। আর বিমানে আসতে হলে ভায়া দিল্লি বা চন্ডীগড় হয়ে আসতে হবে।
কোথায় থাকবেন? Where to Stay?
রেলস্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশে প্রচুর হোটেল, লজ, রেস্টুরেন্ট রয়েছে। একটু দরদাম করে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেন। অথবা, আগে থেকে অনলাইন বুকিং করে তারপর যেতে পারেন। এই পেজের উপরের দিকে দেওয়া Trusted Website Link-এর মাধ্যমেও বুকিং করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, Don't Spam.
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷