PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT CANNING GHUTIARI SHARIF & SACRED MAKKA POND:-
→ দক্ষিণ বাংলায় ( South Bengal ) যে কটি ধর্মীয় স্থান আছে তার মধ্যে অন্যতম জায়গা অধিকার করে আছে ক্যানিং থানার ( Canning Police Station ) অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফ। এই পবিত্র স্থানের মূল আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু হ'ল গাজী বাবার Gazi Baba )পবিত্র মাজারের ( Mazar ) উপর তৈরি দরগাহ ্ ( Dargah ) এবং শিরনি ভাসিয়ে মানত করার মক্কা পুকুর ( Makkah Pond )। দুটি জায়গাই অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সদা সুগন্ধময়। এই রহস্যময় ও বহু চর্চিত পবিত্র মক্কা পুকুরে প্রচুর মাছ আছে। কিন্তু এই মাছ ধরা এবং খাওয়ার উপরে পরিচালক ট্রাস্টি বোর্ডের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে ( স্থানীয় সূত্র অনুসারে )। সারা বছর ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত মুসলিম-হিন্দু-শিখ-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজারো ভক্ত আসেন দরগায় চাদর-আতর ও হাজোত সহযোগে গাজী বাবার সমাধিতে পূজো দিয়ে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাতে এবং পবিত্র মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে।
→ এই স্থান যে কতটা জাগ্রত তা জানেন মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের অগনিত মানুষ। প্রচুর মানুষের জীবনের অনেক জটিল থেকে জটিলতর সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে আকুল আন্তরিক শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ও প্রার্থনার জোরে। এই সকল উপকৃত মানুষেরা যখনই সুযোগ পান তখনই এই পবিত্র স্থানে এসে কিছুক্ষণ কাটিয়ে যান। এখানে শুধুমাত্র পশ্চিম বাংলা ( West Bengal ) নয়, সমগ্র ভারত ( India ), পাশের রাষ্ট্র বাংলাদেশ ( Bangladesh ), মায়ানমার ( Myanmar ), ইন্দোনেশিয়া ( Indonesia ), মালয়েশিয়া ( Malaysia ), নেপাল ( Nepal ), ভূটান ( Bhutan ), শ্রীলঙ্কা ( Sri Lanka ), আরব আমিরশাহী ( United Arab Emirates ) থেকেও অনেকে তীর্থ করতে আসেন।
→ দুটি সময়ে ঘুটিয়ারি এখানে তিল ধারণের কোন জায়গা থাকে না। এক হ'ল ১৭ই শ্রাবণের দিন, এই দিনটি গাজী বাবার পবিত্র মৃত্যু তিথি হিসেবে বহু যুগ আগে থেকে প্রতি বছর অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও জাকজমকের সাথে পালিত হয়ে আসছে। এই বিশেষ দিনটিতে সকল ভক্তরা মিলিত ভাবে গাজী বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আর দুই হ'ল ৭ই আষাঢ় থেকে শুরু হয়ে এক সপ্তাহব্যাপী চলা অম্বুবাচী মেলা। দুই উৎসবেরই নিখুঁত আয়োজন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদিত ট্রাস্টি বোর্ড ( West Bengal Government Recognized Trusty Board )। সেই মধ্যযুগ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত গাজী বাবার ভক্তরা এই দুই তিথি-পরবে তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন। ( Miracles of Ghutiari Sharif Mosque ) ভক্তরা তাঁর মাজারের সামনের মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে, নিমগাছে লাল সুতো বেধে বা মাজারে ঢিল বেধে মানত করে যান। অচিরেই বেশিরভাগেরই মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কঠিন রোগ, পারিবারিক সমস্যা, চাকরি, সন্তান লাভ, সুখশান্তি লাভের আশায় এই পবিত্র দরগায় আসেন পীড়িত মানুষেরা। এখানে মানত করে সন্তান লাভ হলে সদ্যজাত শিশুকে মক্কা পুকুরে ভাসানোর প্রথা আজও চালু আছে। মেলার সময় প্রতি বছর ভারতীয় রেল দফতর ( Indian Railway Department ) শিয়ালদহ স্টেশন দক্ষিণ শাখা ( Sealdah Station South Section ) থেকে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ( Special Train ) ব্যবস্থা করে।
→ এই পবিত্র ধর্মস্থান প্রতিষ্ঠার পিছনেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সত্য ঘটনা সমৃদ্ধ ইতিহাস ( History ) আছে। তার সাথে মহান পীর গাজী বাবার বর্ণময় জীবনীও ( Biography of Gazi Baba ) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মধ্যযুগে পীর হজরত গাজী সৈয়দ মুবারক আলী শাহ ( Pir Hazrat Ghazi Syed Mubarak Ali Shah ) অর্থাৎ গাজী বাবার দিল্লিতে ( Delhi ) আবির্ভাব হয়। তাঁর পিতা ছিলেন বাদশাহ চন্দন শাহ। তাঁর পবিত্র জন্মস্থান ছিল বেলে গ্রামের আদমপুরের ( Adampur ) জঙ্গল। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ঘরের প্রতি কোন টান ছিল না। বিবাহের পর তাঁর দুই পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হন। তাঁরা হলেন দুঃখী গাজী ও মেহের গাজী। এরপর আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তিনি সব ছেড়ে ঘুরতে ঘুরতে ঘুটিয়ারি শরিফের কাছে বিদ্যাধরী নদীর ( Bidyadhari River ) তীরে নারায়ণপুরের তারাহেদে নামের একটি দিঘির পাড়ে আস্তানা গড়েন। এই খবর জানতে পেরে তখনকার জমিদার রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন। তারপর তিনি ধোয়াঘাটায় এসে হেলা খান নামে এক জমিদারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কুড়ালির ( Kurali ) কাছে সাপুর গ্রামে একটি মড়া শেওড়া গাছের নীচে রোজ বসতেন। আশ্চর্যজনক ভাবে কয়েকদিনের মধ্যে মড়া শেওড়া গাছটি জ্যান্ত হয়ে ওঠে এবং নতুন পাতা, ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর থেকে সাধারণ মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করে। রাজা মদন রায়ের একবার জেল খাটা থেকে উদ্ধার করেন এই মুবারক গাজী। খুশি হয়ে রাজা তাঁকে ঘুটিয়ারি শরিফে ১৩৫৬ বিঘা জমি পাট্টা দেন। এরমধ্যে আবার ওনার বড়ো ছেলে দুঃখী বাবার সন্ধান করতে করতে এখানে তাঁর খোঁজ পান এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাবার সাথে থাকতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে ভক্তদের মুখে মুখে এই মোবারক গাজী বাবা পীরের মাহাত্ম্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
→ ১৭০৭ সালে যখন মন্বন্তর হয় তখন তাঁর ছেলে, গ্রামবাসী এবং চাষীদের একান্ত অনুরোধে এবং মানুষের দুঃখ সহ্য করতে না পেরে মক্কা শরীফে ( Makka Sharif ) আল্লাহর ( Allah ) কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে ধ্যান শুরু করেন। তার আগে তিনি ভক্তদের বলে রেখেছিলেন, যতদিন না বৃষ্টি হয় ততদিন যেন তাঁর বন্ধ দরজা কেউ না খোলে। কিন্তু, একসময় একদল পাঠান তাঁর জন্য হাজোত ( পূূূজার ডালি ) নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। কিছুুুসময় অপেক্ষার পর গাজী বাবার কোন সাড়া না পেয়ে অধৈর্য হয়ে পাঠানেরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বাবা মারা গেছেন। সেই দিনটি ছিল ১৭ই শ্রাবণ। সেই মুহূর্তেই আকাশ ভেঙে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আরম্ভ হয়। তাই এই ১৭ই শ্রাবণ দিনটি গাজী বাবার পবিত্র মৃত্যুতিথি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে প্রতি বছর শ্রদ্ধার সাথে নিয়ম করে। ১৩৫৬ বিঘা জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে বাবার মাজার।
(1) WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS HOLY PLACE:-
(2) HOW TO REACH OR GO? TRANSPORTATION BY BIKE / CAR / BUS / TRAIN / AIR LINES:-
(3) WHERE IS LOCATED?
→ বছরের যে কোন দিনই আপনি খুব সহজেই এখানে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। রাস্তাঘাট পাকা ও মসৃণ। শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং লোকালে চেপে বিখ্যাত চাম্পাহাটি ( Champahati is Famous For Fireworks Wholesale and Retail Market ) অতিক্রম করে আরও কয়েকটি স্টেশন বাদে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন। আসা ও যাওয়ার জন্য ঘনঘন ট্রেন পাবেন। স্টেশনে নেমে পূর্ব দিকে ২-৩ মিনিট গেলেই আপনি মাজার ও মক্কা পুকুরে পৌঁছে যাবেন। সড়কপথে কলকাতার ( Kolkata ) দিক দিয়ে আসতে গেলে গড়িয়া - পাটুলী ( Garia - Patuli ), কামালগাজী ( Kamal Gazi ) হয়ে N. S. C. Bose Road ধরে নরেন্দ্রপুর ( Narendrapur ), রাজপুর ( Rajpur ), হরিনাভি ( Harinavi ), বারুইপুর রেলগেট ( Baruipur Railgate ) পেরিয়ে ক্যানিং রোড ( Canning Road ) ধরে উত্তরভাগ ( Uttarbhag ) পেরিয়ে কুড়ালির মোড়ে ( Kurali More ) পৌঁছে বামহাতি যে পিচরাস্তা সোজা ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন ( Rail Station ) পর্যন্ত গেছে ওটা ধরে এগিয়ে যান। আপনার গাড়ি বা বাইকে করে কুড়ালির মোড় থেকে ৫-৭ মিনিট গেলেই রেলগেট পেরিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। পুরোপুরি মসৃণ পথ।
WHERE TO STAY? PLACES FOR STAYING WITH FOODING AND LODGING:-
→ থাকার জন্য দরগাহ ( Dargah ) - মসজিদ ( Masjid ) - মাজারের ( Mazar ) কাছাকাছি ও স্টেশন রোডের আশেপাশে কম দামের মাঝারি মানের অনেকগুলো হোটেল ( Hotel ), লজ ( Lodge ), গেস্ট হাউস ( Guest House ) আছে আর দামি রিসর্টে ( Resort ) থাকতে গেলে ক্যানিং রোডে ( Canning Road ) আসতে হবে। সব জায়গাতেই থাকা-খাওয়ার সুবিধা পাবেন। যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ব্যবহারও যথেষ্ট ভদ্র। তবে, ১৭ই শ্রাবণ বা অম্বুবাচীর মেলার সময় থাকতে গেলে আগে থেকে বুকিং ( Online Booking ) করে আসবেন যে কোন Travel Agency-র App বা Website থেকে। তা না হলে শুধু মূল স্থানেই নয় বারুইপুর ( Baruipur ) থেকে ক্যানিং টাউন ( Canning Town ) পর্যন্ত কোথাও থাকার ঘর পাবেন না।
১) এই স্থান ও কোলকাতা শিয়ালদহ স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৪১ কি. মি.
Distance Between This Place and Kolkata Sealdah Railway Station is 41 K. M.
২) গন্তব্য ও হাওড়া স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৪৯ কি. মি.
Distance Between Destination and Howrah Railway Station is Only 49 K. M.
৩) দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ৪৫ কি. মি.
Distance From Netaji Subhash Chandra Bose International Airport in Dumdum, Kolkata is 45 K.M.
৪) বারুইপুর থেকে এখানকার দূরত্ব ১৮ কি. মি.
Distance From Baruipur to This Place is 18 K. M.
৫) সুন্দরবনের ক্যানিং টাউন থেকে এই স্থানের দূরত্ব মাত্র ১৩ কি. মি.
This Spot is Only 13 K. M. Away From Canning Town in Sundarban.
→ দক্ষিণ বাংলায় ( South Bengal ) যে কটি ধর্মীয় স্থান আছে তার মধ্যে অন্যতম জায়গা অধিকার করে আছে ক্যানিং থানার ( Canning Police Station ) অন্তর্গত ঘুটিয়ারি শরিফ। এই পবিত্র স্থানের মূল আকর্ষণীয় কেন্দ্রবিন্দু হ'ল গাজী বাবার Gazi Baba )পবিত্র মাজারের ( Mazar ) উপর তৈরি দরগাহ ্ ( Dargah ) এবং শিরনি ভাসিয়ে মানত করার মক্কা পুকুর ( Makkah Pond )। দুটি জায়গাই অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সদা সুগন্ধময়। এই রহস্যময় ও বহু চর্চিত পবিত্র মক্কা পুকুরে প্রচুর মাছ আছে। কিন্তু এই মাছ ধরা এবং খাওয়ার উপরে পরিচালক ট্রাস্টি বোর্ডের কঠোর নিষেধাজ্ঞা আছে ( স্থানীয় সূত্র অনুসারে )। সারা বছর ধরে প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে বিকেল পর্যন্ত মুসলিম-হিন্দু-শিখ-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের হাজারো ভক্ত আসেন দরগায় চাদর-আতর ও হাজোত সহযোগে গাজী বাবার সমাধিতে পূজো দিয়ে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাতে এবং পবিত্র মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে নিজেদের মনস্কামনা পূর্ণ করতে।
→ দুটি সময়ে ঘুটিয়ারি এখানে তিল ধারণের কোন জায়গা থাকে না। এক হ'ল ১৭ই শ্রাবণের দিন, এই দিনটি গাজী বাবার পবিত্র মৃত্যু তিথি হিসেবে বহু যুগ আগে থেকে প্রতি বছর অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও জাকজমকের সাথে পালিত হয়ে আসছে। এই বিশেষ দিনটিতে সকল ভক্তরা মিলিত ভাবে গাজী বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করেন। আর দুই হ'ল ৭ই আষাঢ় থেকে শুরু হয়ে এক সপ্তাহব্যাপী চলা অম্বুবাচী মেলা। দুই উৎসবেরই নিখুঁত আয়োজন করেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুমোদিত ট্রাস্টি বোর্ড ( West Bengal Government Recognized Trusty Board )। সেই মধ্যযুগ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত গাজী বাবার ভক্তরা এই দুই তিথি-পরবে তাঁকে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে থাকেন। ( Miracles of Ghutiari Sharif Mosque ) ভক্তরা তাঁর মাজারের সামনের মক্কা পুকুরে শিরনি ভাসিয়ে, নিমগাছে লাল সুতো বেধে বা মাজারে ঢিল বেধে মানত করে যান। অচিরেই বেশিরভাগেরই মনস্কামনা পূর্ণ হয়। কঠিন রোগ, পারিবারিক সমস্যা, চাকরি, সন্তান লাভ, সুখশান্তি লাভের আশায় এই পবিত্র দরগায় আসেন পীড়িত মানুষেরা। এখানে মানত করে সন্তান লাভ হলে সদ্যজাত শিশুকে মক্কা পুকুরে ভাসানোর প্রথা আজও চালু আছে। মেলার সময় প্রতি বছর ভারতীয় রেল দফতর ( Indian Railway Department ) শিয়ালদহ স্টেশন দক্ষিণ শাখা ( Sealdah Station South Section ) থেকে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন পর্যন্ত বিশেষ ট্রেনের ( Special Train ) ব্যবস্থা করে।
→ এই পবিত্র ধর্মস্থান প্রতিষ্ঠার পিছনেও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সত্য ঘটনা সমৃদ্ধ ইতিহাস ( History ) আছে। তার সাথে মহান পীর গাজী বাবার বর্ণময় জীবনীও ( Biography of Gazi Baba ) ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। মধ্যযুগে পীর হজরত গাজী সৈয়দ মুবারক আলী শাহ ( Pir Hazrat Ghazi Syed Mubarak Ali Shah ) অর্থাৎ গাজী বাবার দিল্লিতে ( Delhi ) আবির্ভাব হয়। তাঁর পিতা ছিলেন বাদশাহ চন্দন শাহ। তাঁর পবিত্র জন্মস্থান ছিল বেলে গ্রামের আদমপুরের ( Adampur ) জঙ্গল। ছোটবেলা থেকেই তাঁর ঘরের প্রতি কোন টান ছিল না। বিবাহের পর তাঁর দুই পুত্র সন্তান ভূমিষ্ঠ হন। তাঁরা হলেন দুঃখী গাজী ও মেহের গাজী। এরপর আল্লাহর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্য তিনি সব ছেড়ে ঘুরতে ঘুরতে ঘুটিয়ারি শরিফের কাছে বিদ্যাধরী নদীর ( Bidyadhari River ) তীরে নারায়ণপুরের তারাহেদে নামের একটি দিঘির পাড়ে আস্তানা গড়েন। এই খবর জানতে পেরে তখনকার জমিদার রামচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেন। তারপর তিনি ধোয়াঘাটায় এসে হেলা খান নামে এক জমিদারের বাড়িতে আশ্রয় নেন। কুড়ালির ( Kurali ) কাছে সাপুর গ্রামে একটি মড়া শেওড়া গাছের নীচে রোজ বসতেন। আশ্চর্যজনক ভাবে কয়েকদিনের মধ্যে মড়া শেওড়া গাছটি জ্যান্ত হয়ে ওঠে এবং নতুন পাতা, ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর থেকে সাধারণ মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধা করতে শুরু করে। রাজা মদন রায়ের একবার জেল খাটা থেকে উদ্ধার করেন এই মুবারক গাজী। খুশি হয়ে রাজা তাঁকে ঘুটিয়ারি শরিফে ১৩৫৬ বিঘা জমি পাট্টা দেন। এরমধ্যে আবার ওনার বড়ো ছেলে দুঃখী বাবার সন্ধান করতে করতে এখানে তাঁর খোঁজ পান এবং আনন্দে আত্মহারা হয়ে বাবার সাথে থাকতে শুরু করেন। আস্তে আস্তে ভক্তদের মুখে মুখে এই মোবারক গাজী বাবা পীরের মাহাত্ম্য চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
→ ১৭০৭ সালে যখন মন্বন্তর হয় তখন তাঁর ছেলে, গ্রামবাসী এবং চাষীদের একান্ত অনুরোধে এবং মানুষের দুঃখ সহ্য করতে না পেরে মক্কা শরীফে ( Makka Sharif ) আল্লাহর ( Allah ) কাছে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করতে ধ্যান শুরু করেন। তার আগে তিনি ভক্তদের বলে রেখেছিলেন, যতদিন না বৃষ্টি হয় ততদিন যেন তাঁর বন্ধ দরজা কেউ না খোলে। কিন্তু, একসময় একদল পাঠান তাঁর জন্য হাজোত ( পূূূজার ডালি ) নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। কিছুুুসময় অপেক্ষার পর গাজী বাবার কোন সাড়া না পেয়ে অধৈর্য হয়ে পাঠানেরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখে ধ্যানমগ্ন অবস্থায় বাবা মারা গেছেন। সেই দিনটি ছিল ১৭ই শ্রাবণ। সেই মুহূর্তেই আকাশ ভেঙে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি আরম্ভ হয়। তাই এই ১৭ই শ্রাবণ দিনটি গাজী বাবার পবিত্র মৃত্যুতিথি হিসেবে পালিত হয়ে আসছে প্রতি বছর শ্রদ্ধার সাথে নিয়ম করে। ১৩৫৬ বিঘা জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে বাবার মাজার।
(1) WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS HOLY PLACE:-
(2) HOW TO REACH OR GO? TRANSPORTATION BY BIKE / CAR / BUS / TRAIN / AIR LINES:-
(3) WHERE IS LOCATED?
→ বছরের যে কোন দিনই আপনি খুব সহজেই এখানে যেতে পারেন। কলকাতা থেকে সড়ক ও রেলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো। রাস্তাঘাট পাকা ও মসৃণ। শিয়ালদহ থেকে ক্যানিং লোকালে চেপে বিখ্যাত চাম্পাহাটি ( Champahati is Famous For Fireworks Wholesale and Retail Market ) অতিক্রম করে আরও কয়েকটি স্টেশন বাদে ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন। আসা ও যাওয়ার জন্য ঘনঘন ট্রেন পাবেন। স্টেশনে নেমে পূর্ব দিকে ২-৩ মিনিট গেলেই আপনি মাজার ও মক্কা পুকুরে পৌঁছে যাবেন। সড়কপথে কলকাতার ( Kolkata ) দিক দিয়ে আসতে গেলে গড়িয়া - পাটুলী ( Garia - Patuli ), কামালগাজী ( Kamal Gazi ) হয়ে N. S. C. Bose Road ধরে নরেন্দ্রপুর ( Narendrapur ), রাজপুর ( Rajpur ), হরিনাভি ( Harinavi ), বারুইপুর রেলগেট ( Baruipur Railgate ) পেরিয়ে ক্যানিং রোড ( Canning Road ) ধরে উত্তরভাগ ( Uttarbhag ) পেরিয়ে কুড়ালির মোড়ে ( Kurali More ) পৌঁছে বামহাতি যে পিচরাস্তা সোজা ঘুটিয়ারি শরিফ স্টেশন ( Rail Station ) পর্যন্ত গেছে ওটা ধরে এগিয়ে যান। আপনার গাড়ি বা বাইকে করে কুড়ালির মোড় থেকে ৫-৭ মিনিট গেলেই রেলগেট পেরিয়ে আপনার গন্তব্যে পৌঁছে যাবেন। পুরোপুরি মসৃণ পথ।
WHERE TO STAY? PLACES FOR STAYING WITH FOODING AND LODGING:-
→ থাকার জন্য দরগাহ ( Dargah ) - মসজিদ ( Masjid ) - মাজারের ( Mazar ) কাছাকাছি ও স্টেশন রোডের আশেপাশে কম দামের মাঝারি মানের অনেকগুলো হোটেল ( Hotel ), লজ ( Lodge ), গেস্ট হাউস ( Guest House ) আছে আর দামি রিসর্টে ( Resort ) থাকতে গেলে ক্যানিং রোডে ( Canning Road ) আসতে হবে। সব জায়গাতেই থাকা-খাওয়ার সুবিধা পাবেন। যথেষ্ট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও ব্যবহারও যথেষ্ট ভদ্র। তবে, ১৭ই শ্রাবণ বা অম্বুবাচীর মেলার সময় থাকতে গেলে আগে থেকে বুকিং ( Online Booking ) করে আসবেন যে কোন Travel Agency-র App বা Website থেকে। তা না হলে শুধু মূল স্থানেই নয় বারুইপুর ( Baruipur ) থেকে ক্যানিং টাউন ( Canning Town ) পর্যন্ত কোথাও থাকার ঘর পাবেন না।
১) এই স্থান ও কোলকাতা শিয়ালদহ স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৪১ কি. মি.
Distance Between This Place and Kolkata Sealdah Railway Station is 41 K. M.
২) গন্তব্য ও হাওড়া স্টেশনের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৪৯ কি. মি.
Distance Between Destination and Howrah Railway Station is Only 49 K. M.
৩) দমদম নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দূরত্ব ৪৫ কি. মি.
Distance From Netaji Subhash Chandra Bose International Airport in Dumdum, Kolkata is 45 K.M.
৪) বারুইপুর থেকে এখানকার দূরত্ব ১৮ কি. মি.
Distance From Baruipur to This Place is 18 K. M.
৫) সুন্দরবনের ক্যানিং টাউন থেকে এই স্থানের দূরত্ব মাত্র ১৩ কি. মি.
This Spot is Only 13 K. M. Away From Canning Town in Sundarban.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, Don't Spam.
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷