PAST HISTORY & SOME VALUABLE INFORMATIONS ABOUT AJANTA & ELLORA CAVES IN MAHARASHTRA:-
মহারাষ্ট্রের অজন্তা হ'ল প্রাচীন ভারতের ( Ancient India ) অত্যাশ্চর্য ঐতিহাসিক স্মারক গুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ( UNESCO World Heritage Site ) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০ থেকে প্রায় ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অর্থাৎ ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বৌদ্ধ শ্রমণ শিল্পীরা ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন এই বিশ্ব বিখ্যাত গুহামন্দির শ্রেণী ( Temples With Buddhist Religious Art )। অজন্তার যেখানে বাগোড়া নদী পাথরের দেওয়াল বরাবর তীব্র অশ্বক্ষুরাকৃতি বাঁক নিয়েছে, সেখানে ঘন সবুজ অরন্যের মধ্যে এই পাথুরে বাঁকের দেওয়ালে সারি সারি গর্ত করে ৩২ টি গুহা বানানো হয়েছে। এই গুহাগুলিকে চৈত্য বা প্রার্থনা কক্ষ এবং বিহার বা থাকার স্থান হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে সেনা অফিসার জন স্মিথ হাজার বছরের পুরনো এই গুহামন্দিরগুলি আবিষ্কার করেন। চৈত্য, বিহার ও স্তুপ সংবলিত এই গুহাগুলির বিশেষত্ব হ'ল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রঙে আঁকা হয়েছে গাত্রের চিত্রগুলি।
WHICH PLACES TO VISIT NEAR THIS SPOT? NEAREST TOP TOURIST ATTRACTIONS:-
বাকাতক আমলে সৃষ্ট চারটি গুহার ছাদে ও দেওয়ালে টেম্পেরা পদ্ধতিতে আঁকা ছবিগুলি পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য সম্পদ। এই ছবিগুলির বিষয়বস্তু হ'ল জাতকের কাহিনী। বর্তমানে এই ছবিগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে পুরাতাত্ত্বিক জেমস্ বার্জেস যখন অজন্তা পরিদর্শন করেন, তখন ত্রিশটির মধ্যে শুধুমাত্র ষোলোটি গুহায় ছবি ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। ১,২,১৬ এবং ১৭ নম্বর গুহায় রয়েছে মহাযান সময়ের জাতকের কাহিনী। ৯ এবং ১০ নম্বর গুহার চিত্রকলা ভারতের চিত্র ইতিহাসের বিশেষ নিদর্শন। ৮,১২,১৩ এবং ১৫ নম্বরগুলো হ'ল প্রথম দিকের বিহার। ১৯,২৬ এবং ২৯ - গুলি হ'ল মহাযানপন্থী বৌদ্ধদের তৈরি চৈত্য। তবে ১,২,১০,১৬ এবং ১৭ নম্বর গুহাগুলি বেশি বিখ্যাত। প্রতিদিনই ধীরে ধীরে ভারতের এই বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত ( UNESCO World Heritage Site ) সম্পদ পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গুহাগুলির ভিতরে রয়েছে মৃদু বৈদ্যুতিক আলো ও ডিহিউমিডিফায়ার। গুহার মধ্যে ক্যামেরার ফ্লাশ ব্যবহার করা নিষেধ। প্রতি সোমবার অজন্তার গুহা জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে ( 8 A. M. - 5 P. M. )।
(1) HOW TO REACH OR GO? TRANSPORTATION BY BIKE / CAR / BUS / TRAIN / AIR LINES:-
(2) WHERE IS AJANTA LOCATED?
(3) WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS HISTORICAL BEAUTIFUL PLACE:-
যদি আপনি মুম্বাই ( Mumbai ) থেকে এখানে আসতে চান তাহলে দ্বিতীয় স্থান ঔরঙ্গাবাদ ( Aurangabad ) বা তৃতীয় স্থান ইলোরা Ellora ) হয়ে আসতে পারেন। মুম্বই থেকে প্রথম স্থানের দূরত্ব ৩৫০ কি. মি. - এর বেশি। দ্বিতীয় স্থান থেকে গুহাচত্বরের দূরত্ব ১০১ কি. মি.। তৃতীয় স্থান থেকে গুহাচত্বর ১০৫ কি. মি. দূরে অবস্থিত। সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন ( Rail Station ) জলগাঁও ( Jalgaon )। দূরত্ব মাত্র ৬১ কি. মি.। কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেনে করে অজন্তা-ইলোরা-ঔরঙ্গাবাদ আসতে গেলে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, মুম্বই মেল, এল টি টি এক্সপ্রেস, আমেদাবাদ এক্সপ্রেস ধরে হাওড়া থেকে ভুসুয়াল ( Bhusawal ) হয়ে প্রথমে জলগাঁও পৌঁছতে হবে। স্টেশন রোডে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি ( Travel Agency ) আছে। উদাহরণস্বরূপ - Shree Ganraj Travels ( Mob. - 9422276357 / 7972117277 )। এখান থেকে দরদাম করে গাড়ি নিতে হবে অজন্তা, ইলোরা এবং ঔরঙ্গাবাদ ঘুরতে হলে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে অজন্তা গুহা চত্বর থেকে ৫ কি. মি. আগে ফর্দাপুরে ( Fardapur ) থামতে হবে। তারপর বাকি পথ যেতে হবে ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব বাসে। গুহামন্দির ভালো করে দেখতে হলে খুব সকালে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো। কারণ, ভোরের সূর্যের আলোয় এই জায়গার সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। বছরের যে কোন সময়েই এখানে আসা যায়।
WHERE TO STAY? PLACES FOR STAYING WITH FOODING AND LODGING:-
→ এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল, লজ ও রিসর্ট আছে। যেমন, মহারাষ্ট্র পর্যটনের অজন্তা টি জংশন, ফর্দাপুরে রয়েছে অজন্তা টুরিস্ট রিসর্ট। উপরের জায়গাগুলিতে ঘর বুক করার জন্য - ( https://www.maharashtratourism.gov.in )। এছাড়া প্রাইভেট হোটেলগুলির মধ্যে আছে পদ্মপানি পার্ক ( Ph. 02438244280 ), হোটেল ভিউ পয়েন্ট ( Ph. 09657044278 )।
ইলোরা ( History and Other Informations on Ellora Caves ) → ঔরঙ্গাবাদ থেকে ২৮ কি. মি. এবং অজন্তা থেকে ১০৫ কি. মি. দূরে এই গুহামন্দিরশ্রেণী অবস্থিত। ঔরঙ্গাবাদ থেকে মালভূমি, গাছপালা ও অনতিউচ্চ পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছনো যায় Unesco World Heritage স্বীকৃতি প্রাপ্ত আর এক গুহাশ্রেনীর সামনে। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তার অসামান্য ভাস্কর্যের জন্য। পথে পড়বে বিখ্যাত দৌলতাবাদ দূর্গ ( Daulatabad Fort ) ও চাঁদ মিনার ( Chand Minar )। দৌলতাবাদ দূর্গের পাহাড়টির নাম দেবগিরি ( Devgiri Hill )। তাই অনেকে দেবগিরি দূর্গ ( Devgiri Fort ) বলে থাকেন। এখানে দেবাদিদেব মহাদেবের বাস ছিল বলে স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস। দ্বাদশ শতকে তৈরি হওয়া দূর্গের পরিবর্তন ঘটে চতুর্দশ শতকে, ইতিহাসের খামখেয়ালি সম্রাট মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী এখানে স্থানান্তরিত করার পর। কিন্তু সফল হয় নি। তবুও ইতিহাসে দৌলতাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে গিয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ থেকে প্রায় ৪০ মিনিটে এখানে পৌঁছনো যায়। উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ২ কি. মি. জায়গা জুড়ে অর্ধচন্দ্রাকারে এই গুহামন্দিরগুলির বিস্তৃতি। সবকয়টি ভালো করে দেখতে হলে হাতে ২ - ৩ দিন সময় রাখতে হবে।
Major Tourist Attractions:-
→ ১০০ টি গুহার মধ্যে ৩৪ টি সাধারণের জন্য খোলা আছে। গুহাগুলির মধ্যে ১২ টি বৌদ্ধধর্মের ( Buddhism ), ১৭ টি হিন্দুধর্মের ( Hinduism ) ও ৫ টি জৈনধর্মের ( Jainism ) নিদর্শন বজায় রেখেছে। ১ - ১২ নম্বর গুহাগুলি বৌদ্ধদের, ১৩ - ২৯ হিন্দুদের এবং ৩০ থেকে ৩৪ হলো জৈনদের। এরমধ্যে ১০,১১,১২,১৪,১৫,১৬,২১,২৯,৩১,৩২ এবং ৩৩ নম্বরের ভাস্কর্য না দেখলেই নয়। ৫ নম্বর গুহার খ্যাতি তার আয়তন ও স্তম্ভের সারির জন্য। ১০ নম্বর গুহাকে সবাই বলে বিশ্বকর্মার গুহা। এর সূক্ষ্ম কারুকার্য দেখার মতো। ১৬ নম্বর গুহার নাম কৈলাস মন্দির ( Kailash Temple )। মূল প্রবেশপথের সামনে এই গুহাটি অবস্থিত। এই কৈলাস মন্দির হ'ল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মনোলিথিক গুহা মন্দির ( Monolithic Caves Temple )। একটি সুবিশাল পাহাড়কে উপর থেকে কেটে প্রায় দুই লক্ষ টন পাথর সরিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশাল মন্দির। এতে যুক্ত ছিল ৭০০০ শিল্পী এবং সময় লেগেছিল প্রায় ১৫০ বছর। রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণের গল্প ( Indian Mythologies ) মন্দিরের সারা দেওয়াল, স্তম্ভ ও ছাদে খোদিত। মূল মন্দিরটি যেন সারি সারি হাতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর গঠন অনেকটা পাট্টাডাকালের বিরূপাক্ষ মন্দির ( Virupaksha Temple in Pattadakal, Karnataka ) ও মহাবলীপুরমের রথমন্দিরের ( Rath Temple in Mahabalipuram, Tamilnadu ) সাথে মেলে।
→ অজন্তার মতো এখানে কোন আলোর ব্যবস্থা নেই। সঙ্গে টর্চ বা অন্য কোন আলো রাখুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বিকেলের দিকে আসেন। কারণ, গুহাগুলির সবকয়টি পশ্চিমমুখী হওয়ায় প্রত্যেকটিতেই বিকেলবেলায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। এখানে বিনা পারিশ্রমিকে প্রত্নতত্ত্ববিভাগের ( Department of Archeology ) গাইড পাওয়া যায়। সঙ্গে নিয়ে নিন। তাঁরাই সবকিছু ঠিকঠাকভাবে দেখিয়ে ও বুঝিয়ে দেবেন। মঙ্গলবার ও জাতীয় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত সবকয়টি খোলা থাকে। ছবি তোলায় ফ্ল্যাশ জ্বালানো ও ভিডিও শ্যুটিং-এর জন্য অনুমতি নিতে হবে Superintendent Archeologist, Bibi Ka Maqbara, Aurangabad - 431004. Phone - 2400009 / 2400620 থেকে। ইলোরার নতুন আকর্ষণ মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে MTDC আয়োজিত ইলোরা উৎসব ( Ellora Festival )।
How to Reach?:-
→ ঔরঙ্গাবাদ ও অজন্তা দুই দিক দিয়েই এখানে আসা যায়।
Where to Stay?:-
→ থাকার জন্য হোটেল কৈলাস ( https://www.hotelkailas.com ), হোটেল গ্রেট অন্নপূর্ণা ( Ph. 09096779779 ), ইলোরা হেরিটেজ রিসর্ট ( Ph. 09347474773 )।
Other Famous Tourist Spots Near Ellora:-
→ এখান থেকে প্রায় ১ কি. মি. দূরের ভেরুল ( Verul ) গ্রামে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম গৃষনেশ্বর মন্দিরটি ( Grishneshwar Temple ) অবস্থিত। একই যাত্রায় এটিও দেখে নিন। হিন্দুদের অতি পবিত্র প্রাচীন তীর্থক্ষেত্র। গঠনশৈলী হ'ল দক্ষিণ ভারতীয়। ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে মন্দিরটি কিছুটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অষ্টাদশ শতকে রানী অহল্যাবাই হোলকার ( Ahilyabai Holkar ) পুরো মন্দিরটি সর্বশেষ সংস্কার করেন। এই মন্দিরে সবার জন্য অবারিত দ্বার। মহিলাদের প্রবেশ অবাধ। কিন্তু, পুরুষদের উর্ধাঙ্গ অনাবৃত অর্থাৎ খোলা রেখে প্রবেশ করতে হয়। গৃষনেশ্বর উদ্যানটিও ( Ghrishneshwar Park/Garden ) দেখার মতো। কাছেই হোলকার সাগর ( Holkar Sagar/Sea )। কনডাক্টেড ট্যুরে বাস যাচ্ছে ঔরঙ্গাবাদ ও ইলোরা থেকে মন্দির দেখাতে।
→ঔরঙ্গাবাদ ( History and Other Informations about Aurangabad ) - এই প্রাচীন ঐতিহাসিক শহরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আহমেদনগরের ( Ahmednagar ) রাজা দ্বিতীয় শাহ-র প্রধানমন্ত্রী তথা আবিসিনিয়ার ( Abisinia ) ক্রীতদাস মালিক অম্বর। সময় ও ইতিহাসের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঔরঙ্গাবাদ এখন শিল্পকেন্দ্রিক বানিজ্যিক শহরে পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইন্জিনিয়ারিং কলেজও আছে। মুসলিম কৃষ্টির যথেষ্ট ছাপ আছে অতি পুরাতন এই শহরে। ছয় লাখেরও বেশি জনসংখ্যা। অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি।
Top Places to Visit:-
পর্যটনের ক্ষেত্রে এই শহরের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য - মেইন স্কোয়ারে দোকানপাটে ঘেরা ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত শাহগঞ্জ মসজিদ ( Shahganj Mosque ), ১ কি. মি. উত্তরে মালিক অম্বরের হাতে ১৬১২ খ্রী:-এ শুরু হয়ে শতাধিক বছর পরে ঔরঙ্গজেবের ( Moghal Emperor Aurangazeb ) রাজত্বকালে সম্পূর্ণ হওয়া জুমা / জামা মসজিদ ( Juma / Jama Masjid ), দিল্লি ও মক্কা গেটের মাঝে ১৬৯২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত কিল্লা আরক ( Killa Arak ) অর্থাৎ ঔরঙ্গজেবের রাজ্যপাটের ধ্বংসাবশেষ, মালিক অম্বরের পাথরের তৈরি ৬ স্তম্ভের কালি মসজিদ ( Kali Masjid ) ও নৌখন্ড প্রাসাদ ( Naukhanda Palace ), সম্রাটের চাচার তৈরি ৫ গম্বুজের চক্ মসজিদ ( Chawk Mosque ), ব্যাসাল্ট পাথরের লাল মসজিদ ও শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমের মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিস্ট্রি মিউজিয়াম ( History Museum of Marathavada University )। এছাড়া, শহর থেকে ১৩ কি. মি. উত্তর-পশ্চিমে ইলোরা-মুম্বই রোডে ৬০০ ফুট উঁচু দেবগিরি পাহাড়ের দৌলতাবাদ দূর্গ। যাদব রাজা ভিল্লামার ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে এটি তৈরি করেন। শহর থেকে ৫ কি. মি. দক্ষিণে আছে সম্রাট ঔরঙ্গজেবের প্রথমা বেগম রাবিয়া-উদ্-দুরানীর ( Rabia Ud Durani ) সমাধিস্থল বিবি কা মকবারা ( Bibi Ka Maqbara )। আগ্রার তাজমহলের ( Tajmahal in Agra ) অনুকরণ করে এটি তৈরি। তাই অনেকে একে দক্ষিণ ভারতের তাজও ( Taj Mahal of South India ) বলেন। রোজ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিন টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। প্রতি অক্টোবরে MTDC আয়োজিত Bibi Ka Maqbara Annual Festival ( বাৎসরিক উৎসব ) ধুমধামের সাথে পালিত হচ্ছে। এই শহরের নবতম আকর্ষণ ছত্রপতি শিবাজী মিউজিয়ামও ( Chhatrapati Shivaji Maharaj Museum ) দেখে নিতে পারেন। খাম নদীর বাম তীরে, বেগমপুরা ব্রিজের কাছে আছে পানি চাক্কি ( Panchakki )। এটির সৃষ্টি হয়েছে ১৫৯৬ খ্রিষ্টাব্দে মালিক অম্বরের চমৎকার উদ্ভাবনী শক্তির ফলে। সেই সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের তোড়ে এই বিশাল চাকিটি ঘুরিয়ে গম পেষা হতো। তবে বর্তমানে গম পেষা বন্ধ। ঔরঙ্গজেবের সুফি ধর্মগুরু বাবা শাহ মুসাফির সাহেবের শ্বেতপাথরের সমাধি তথা দরগা আছে এই পানি চাক্কি ( Panchakki) চত্বরে। চত্বরের বাগানটি সুন্দর ও জলাধারে প্রচুর মাছ আছে। টিকিট কেটে এখানে প্রবেশ করতে হয়। শহর থেকে ৭ কি. মি. উত্তরে সহ্যাদ্রি পর্বতে ( Sahyadri Hills ) দাক্ষিণাত্যের বাকাতক ও কালচুরী রাজারা তৈরি করেন ঔরঙ্গাবাদ গুহা ( Aurangabad Caves )। ১০ টি গুহা নিয়ে ২ টি ভাগে মহাযানপন্থী বৌদ্ধ চৈত্য ও বিহার গড়ে উঠেছে। ঔরঙ্গাবাদ গুহাশ্রেনী ( Aurangabad Caves ) ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত। ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য দিতে হয়। এই গুহা থেকে ৫ কি. মি. দূরে খুলদাবাদে ( Khuladabad ) সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি ( Tomb of Aurangjeb / Aurangazeb ) দেখে নিতে পারেন। খুলদাবাদ থেকে ১৪ কি. মি. দূরে মহিষমল পিকনিক স্পট ( Mahishmal Picnic Spot ) অবস্থিত। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশ। সহ্যাদ্রি পর্বতের সাতমালা রেঞ্জের পিথলখোরায় চৈত্য ও বিহারের সমন্বয়ের গুহামন্দির দেখে নিতে পারেন। রিলিফের কাজ অজন্তা ও ইলোরার থেকেও সুন্দর। এছাড়াও শহরের মধ্যে আছে Salim Ali Lake ( Talab ) & Bird Sanctuary, Siddharth Garden & Zoo. ১০৮ কি. মি. দূরের সিরডিতে সাঁইবাবা মন্দির ( Saibaba Temple in Shirdi ) এবং ৮০ কি. মি. দূরে শনি ঠাকুরের ভারত বিখ্যাত মন্দির শনি সিঙ্গনাপুর অবশ্যই ঘুরে আসবেন।
How to Reach? Road Directions or Route Guide:-
→ মুম্বই থেকে আসলে বাসে করে সোজা আসা যাবে। কলকাতা-হাওড়া থেকে ট্রেনে আসতে হলে জলগাঁও নেমে পরে গাড়ি বা বাসে করে এখানে আসতে হবে। শহরের বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সিগুলো গাইড ও বাস সহযোগে কনডাক্টেড ট্যুরে অজন্তা, ইলোরা, দৌলতাবাদ, গৃষনেশ্বর, বিবিবিবিপ কা মকবারা সহ সমস্ত দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে আনছেন।
Best Time to Travel:-
→ বছরের যে কোন সময়ই ভ্রমণে যেতে পারেন। তবে বেড়াবার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হ'ল অক্টোবর মাসের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত। এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে।
Where to Stay?:-
→ থাকার জন্য আছে মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের ( Maharashtra Tourism ) রিসর্ট ঔরঙ্গাবাদ ( For Booking - https://mtdcrrs.maharashtratourism.gov.in ), দ্য মেডস্ রিসর্ট, জিনজার ঔরঙ্গাবাদ, হোটেল অতিথি, হোটেল গ্রান্ড কৈলাস। ( সবকয়টি হোটেলের বুকিং ফোন - 9830371744 )। এছাড়া আছে হোটেল যশোদীপ, হোটেল ক্লাসিক, হোটেল রিগাল প্লাজা, হোটেল ইরা এক্সিকিউটিভ। ( সবকয়টির বুকিং ফোন - 23607293 )।
মহারাষ্ট্রের অজন্তা হ'ল প্রাচীন ভারতের ( Ancient India ) অত্যাশ্চর্য ঐতিহাসিক স্মারক গুলির মধ্যে অন্যতম একটি। এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য ( UNESCO World Heritage Site ) স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ২০০ থেকে প্রায় ৬৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত অর্থাৎ ৮০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বৌদ্ধ শ্রমণ শিল্পীরা ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন এই বিশ্ব বিখ্যাত গুহামন্দির শ্রেণী ( Temples With Buddhist Religious Art )। অজন্তার যেখানে বাগোড়া নদী পাথরের দেওয়াল বরাবর তীব্র অশ্বক্ষুরাকৃতি বাঁক নিয়েছে, সেখানে ঘন সবুজ অরন্যের মধ্যে এই পাথুরে বাঁকের দেওয়ালে সারি সারি গর্ত করে ৩২ টি গুহা বানানো হয়েছে। এই গুহাগুলিকে চৈত্য বা প্রার্থনা কক্ষ এবং বিহার বা থাকার স্থান হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে সেনা অফিসার জন স্মিথ হাজার বছরের পুরনো এই গুহামন্দিরগুলি আবিষ্কার করেন। চৈত্য, বিহার ও স্তুপ সংবলিত এই গুহাগুলির বিশেষত্ব হ'ল সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক রঙে আঁকা হয়েছে গাত্রের চিত্রগুলি।
WHICH PLACES TO VISIT NEAR THIS SPOT? NEAREST TOP TOURIST ATTRACTIONS:-
বাকাতক আমলে সৃষ্ট চারটি গুহার ছাদে ও দেওয়ালে টেম্পেরা পদ্ধতিতে আঁকা ছবিগুলি পৃথিবীর ইতিহাসে এক অনন্য সম্পদ। এই ছবিগুলির বিষয়বস্তু হ'ল জাতকের কাহিনী। বর্তমানে এই ছবিগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে পুরাতাত্ত্বিক জেমস্ বার্জেস যখন অজন্তা পরিদর্শন করেন, তখন ত্রিশটির মধ্যে শুধুমাত্র ষোলোটি গুহায় ছবি ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। ১,২,১৬ এবং ১৭ নম্বর গুহায় রয়েছে মহাযান সময়ের জাতকের কাহিনী। ৯ এবং ১০ নম্বর গুহার চিত্রকলা ভারতের চিত্র ইতিহাসের বিশেষ নিদর্শন। ৮,১২,১৩ এবং ১৫ নম্বরগুলো হ'ল প্রথম দিকের বিহার। ১৯,২৬ এবং ২৯ - গুলি হ'ল মহাযানপন্থী বৌদ্ধদের তৈরি চৈত্য। তবে ১,২,১০,১৬ এবং ১৭ নম্বর গুহাগুলি বেশি বিখ্যাত। প্রতিদিনই ধীরে ধীরে ভারতের এই বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকাভুক্ত ( UNESCO World Heritage Site ) সম্পদ পুরোপুরি ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গুহাগুলির ভিতরে রয়েছে মৃদু বৈদ্যুতিক আলো ও ডিহিউমিডিফায়ার। গুহার মধ্যে ক্যামেরার ফ্লাশ ব্যবহার করা নিষেধ। প্রতি সোমবার অজন্তার গুহা জনসাধারণের জন্য বন্ধ থাকে। অন্যান্য দিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত খোলা থাকে ( 8 A. M. - 5 P. M. )।
(1) HOW TO REACH OR GO? TRANSPORTATION BY BIKE / CAR / BUS / TRAIN / AIR LINES:-
(2) WHERE IS AJANTA LOCATED?
(3) WHEN SHOULD YOU GO THERE? / BEST TIME TO VISIT OR TRAVEL THIS HISTORICAL BEAUTIFUL PLACE:-
যদি আপনি মুম্বাই ( Mumbai ) থেকে এখানে আসতে চান তাহলে দ্বিতীয় স্থান ঔরঙ্গাবাদ ( Aurangabad ) বা তৃতীয় স্থান ইলোরা Ellora ) হয়ে আসতে পারেন। মুম্বই থেকে প্রথম স্থানের দূরত্ব ৩৫০ কি. মি. - এর বেশি। দ্বিতীয় স্থান থেকে গুহাচত্বরের দূরত্ব ১০১ কি. মি.। তৃতীয় স্থান থেকে গুহাচত্বর ১০৫ কি. মি. দূরে অবস্থিত। সবচেয়ে কাছের রেল স্টেশন ( Rail Station ) জলগাঁও ( Jalgaon )। দূরত্ব মাত্র ৬১ কি. মি.। কলকাতা থেকে সরাসরি ট্রেনে করে অজন্তা-ইলোরা-ঔরঙ্গাবাদ আসতে গেলে গীতাঞ্জলি এক্সপ্রেস, মুম্বই মেল, এল টি টি এক্সপ্রেস, আমেদাবাদ এক্সপ্রেস ধরে হাওড়া থেকে ভুসুয়াল ( Bhusawal ) হয়ে প্রথমে জলগাঁও পৌঁছতে হবে। স্টেশন রোডে অনেক ট্রাভেল এজেন্সি ( Travel Agency ) আছে। উদাহরণস্বরূপ - Shree Ganraj Travels ( Mob. - 9422276357 / 7972117277 )। এখান থেকে দরদাম করে গাড়ি নিতে হবে অজন্তা, ইলোরা এবং ঔরঙ্গাবাদ ঘুরতে হলে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে অজন্তা গুহা চত্বর থেকে ৫ কি. মি. আগে ফর্দাপুরে ( Fardapur ) থামতে হবে। তারপর বাকি পথ যেতে হবে ব্যাটারি চালিত পরিবেশবান্ধব বাসে। গুহামন্দির ভালো করে দেখতে হলে খুব সকালে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো। কারণ, ভোরের সূর্যের আলোয় এই জায়গার সৌন্দর্য বহুগুণ বেড়ে যায়। বছরের যে কোন সময়েই এখানে আসা যায়।
WHERE TO STAY? PLACES FOR STAYING WITH FOODING AND LODGING:-
→ এখানে থাকার জন্য বেশ কয়েকটি হোটেল, লজ ও রিসর্ট আছে। যেমন, মহারাষ্ট্র পর্যটনের অজন্তা টি জংশন, ফর্দাপুরে রয়েছে অজন্তা টুরিস্ট রিসর্ট। উপরের জায়গাগুলিতে ঘর বুক করার জন্য - ( https://www.maharashtratourism.gov.in )। এছাড়া প্রাইভেট হোটেলগুলির মধ্যে আছে পদ্মপানি পার্ক ( Ph. 02438244280 ), হোটেল ভিউ পয়েন্ট ( Ph. 09657044278 )।
ইলোরা ( History and Other Informations on Ellora Caves ) → ঔরঙ্গাবাদ থেকে ২৮ কি. মি. এবং অজন্তা থেকে ১০৫ কি. মি. দূরে এই গুহামন্দিরশ্রেণী অবস্থিত। ঔরঙ্গাবাদ থেকে মালভূমি, গাছপালা ও অনতিউচ্চ পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছনো যায় Unesco World Heritage স্বীকৃতি প্রাপ্ত আর এক গুহাশ্রেনীর সামনে। বিশ্বজোড়া খ্যাতি তার অসামান্য ভাস্কর্যের জন্য। পথে পড়বে বিখ্যাত দৌলতাবাদ দূর্গ ( Daulatabad Fort ) ও চাঁদ মিনার ( Chand Minar )। দৌলতাবাদ দূর্গের পাহাড়টির নাম দেবগিরি ( Devgiri Hill )। তাই অনেকে দেবগিরি দূর্গ ( Devgiri Fort ) বলে থাকেন। এখানে দেবাদিদেব মহাদেবের বাস ছিল বলে স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস। দ্বাদশ শতকে তৈরি হওয়া দূর্গের পরিবর্তন ঘটে চতুর্দশ শতকে, ইতিহাসের খামখেয়ালি সম্রাট মহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী এখানে স্থানান্তরিত করার পর। কিন্তু সফল হয় নি। তবুও ইতিহাসে দৌলতাবাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে গিয়েছে। ঔরঙ্গাবাদ থেকে প্রায় ৪০ মিনিটে এখানে পৌঁছনো যায়। উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ২ কি. মি. জায়গা জুড়ে অর্ধচন্দ্রাকারে এই গুহামন্দিরগুলির বিস্তৃতি। সবকয়টি ভালো করে দেখতে হলে হাতে ২ - ৩ দিন সময় রাখতে হবে।
Major Tourist Attractions:-
→ ১০০ টি গুহার মধ্যে ৩৪ টি সাধারণের জন্য খোলা আছে। গুহাগুলির মধ্যে ১২ টি বৌদ্ধধর্মের ( Buddhism ), ১৭ টি হিন্দুধর্মের ( Hinduism ) ও ৫ টি জৈনধর্মের ( Jainism ) নিদর্শন বজায় রেখেছে। ১ - ১২ নম্বর গুহাগুলি বৌদ্ধদের, ১৩ - ২৯ হিন্দুদের এবং ৩০ থেকে ৩৪ হলো জৈনদের। এরমধ্যে ১০,১১,১২,১৪,১৫,১৬,২১,২৯,৩১,৩২ এবং ৩৩ নম্বরের ভাস্কর্য না দেখলেই নয়। ৫ নম্বর গুহার খ্যাতি তার আয়তন ও স্তম্ভের সারির জন্য। ১০ নম্বর গুহাকে সবাই বলে বিশ্বকর্মার গুহা। এর সূক্ষ্ম কারুকার্য দেখার মতো। ১৬ নম্বর গুহার নাম কৈলাস মন্দির ( Kailash Temple )। মূল প্রবেশপথের সামনে এই গুহাটি অবস্থিত। এই কৈলাস মন্দির হ'ল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মনোলিথিক গুহা মন্দির ( Monolithic Caves Temple )। একটি সুবিশাল পাহাড়কে উপর থেকে কেটে প্রায় দুই লক্ষ টন পাথর সরিয়ে তৈরি হয়েছে এই বিশাল মন্দির। এতে যুক্ত ছিল ৭০০০ শিল্পী এবং সময় লেগেছিল প্রায় ১৫০ বছর। রামায়ণ, মহাভারত এবং পুরাণের গল্প ( Indian Mythologies ) মন্দিরের সারা দেওয়াল, স্তম্ভ ও ছাদে খোদিত। মূল মন্দিরটি যেন সারি সারি হাতির উপর দাঁড়িয়ে আছে। এর গঠন অনেকটা পাট্টাডাকালের বিরূপাক্ষ মন্দির ( Virupaksha Temple in Pattadakal, Karnataka ) ও মহাবলীপুরমের রথমন্দিরের ( Rath Temple in Mahabalipuram, Tamilnadu ) সাথে মেলে।
→ অজন্তার মতো এখানে কোন আলোর ব্যবস্থা নেই। সঙ্গে টর্চ বা অন্য কোন আলো রাখুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি বিকেলের দিকে আসেন। কারণ, গুহাগুলির সবকয়টি পশ্চিমমুখী হওয়ায় প্রত্যেকটিতেই বিকেলবেলায় পর্যাপ্ত আলো থাকে। এখানে বিনা পারিশ্রমিকে প্রত্নতত্ত্ববিভাগের ( Department of Archeology ) গাইড পাওয়া যায়। সঙ্গে নিয়ে নিন। তাঁরাই সবকিছু ঠিকঠাকভাবে দেখিয়ে ও বুঝিয়ে দেবেন। মঙ্গলবার ও জাতীয় ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত সবকয়টি খোলা থাকে। ছবি তোলায় ফ্ল্যাশ জ্বালানো ও ভিডিও শ্যুটিং-এর জন্য অনুমতি নিতে হবে Superintendent Archeologist, Bibi Ka Maqbara, Aurangabad - 431004. Phone - 2400009 / 2400620 থেকে। ইলোরার নতুন আকর্ষণ মার্চের তৃতীয় সপ্তাহে MTDC আয়োজিত ইলোরা উৎসব ( Ellora Festival )।
How to Reach?:-
→ ঔরঙ্গাবাদ ও অজন্তা দুই দিক দিয়েই এখানে আসা যায়।
Where to Stay?:-
→ থাকার জন্য হোটেল কৈলাস ( https://www.hotelkailas.com ), হোটেল গ্রেট অন্নপূর্ণা ( Ph. 09096779779 ), ইলোরা হেরিটেজ রিসর্ট ( Ph. 09347474773 )।
Other Famous Tourist Spots Near Ellora:-
→ এখান থেকে প্রায় ১ কি. মি. দূরের ভেরুল ( Verul ) গ্রামে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম গৃষনেশ্বর মন্দিরটি ( Grishneshwar Temple ) অবস্থিত। একই যাত্রায় এটিও দেখে নিন। হিন্দুদের অতি পবিত্র প্রাচীন তীর্থক্ষেত্র। গঠনশৈলী হ'ল দক্ষিণ ভারতীয়। ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকে মন্দিরটি কিছুটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অষ্টাদশ শতকে রানী অহল্যাবাই হোলকার ( Ahilyabai Holkar ) পুরো মন্দিরটি সর্বশেষ সংস্কার করেন। এই মন্দিরে সবার জন্য অবারিত দ্বার। মহিলাদের প্রবেশ অবাধ। কিন্তু, পুরুষদের উর্ধাঙ্গ অনাবৃত অর্থাৎ খোলা রেখে প্রবেশ করতে হয়। গৃষনেশ্বর উদ্যানটিও ( Ghrishneshwar Park/Garden ) দেখার মতো। কাছেই হোলকার সাগর ( Holkar Sagar/Sea )। কনডাক্টেড ট্যুরে বাস যাচ্ছে ঔরঙ্গাবাদ ও ইলোরা থেকে মন্দির দেখাতে।
→ঔরঙ্গাবাদ ( History and Other Informations about Aurangabad ) - এই প্রাচীন ঐতিহাসিক শহরের প্রতিষ্ঠাতা হলেন আহমেদনগরের ( Ahmednagar ) রাজা দ্বিতীয় শাহ-র প্রধানমন্ত্রী তথা আবিসিনিয়ার ( Abisinia ) ক্রীতদাস মালিক অম্বর। সময় ও ইতিহাসের পরিবর্তনের সাথে সাথে ঔরঙ্গাবাদ এখন শিল্পকেন্দ্রিক বানিজ্যিক শহরে পরিবর্তিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল ও ইন্জিনিয়ারিং কলেজও আছে। মুসলিম কৃষ্টির যথেষ্ট ছাপ আছে অতি পুরাতন এই শহরে। ছয় লাখেরও বেশি জনসংখ্যা। অন্য ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করলেও মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যাই বেশি।
Top Places to Visit:-
পর্যটনের ক্ষেত্রে এই শহরের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। দর্শনীয় স্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য - মেইন স্কোয়ারে দোকানপাটে ঘেরা ১৭২০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত শাহগঞ্জ মসজিদ ( Shahganj Mosque ), ১ কি. মি. উত্তরে মালিক অম্বরের হাতে ১৬১২ খ্রী:-এ শুরু হয়ে শতাধিক বছর পরে ঔরঙ্গজেবের ( Moghal Emperor Aurangazeb ) রাজত্বকালে সম্পূর্ণ হওয়া জুমা / জামা মসজিদ ( Juma / Jama Masjid ), দিল্লি ও মক্কা গেটের মাঝে ১৬৯২ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত কিল্লা আরক ( Killa Arak ) অর্থাৎ ঔরঙ্গজেবের রাজ্যপাটের ধ্বংসাবশেষ, মালিক অম্বরের পাথরের তৈরি ৬ স্তম্ভের কালি মসজিদ ( Kali Masjid ) ও নৌখন্ড প্রাসাদ ( Naukhanda Palace ), সম্রাটের চাচার তৈরি ৫ গম্বুজের চক্ মসজিদ ( Chawk Mosque ), ব্যাসাল্ট পাথরের লাল মসজিদ ও শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমের মারাঠাওয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হিস্ট্রি মিউজিয়াম ( History Museum of Marathavada University )। এছাড়া, শহর থেকে ১৩ কি. মি. উত্তর-পশ্চিমে ইলোরা-মুম্বই রোডে ৬০০ ফুট উঁচু দেবগিরি পাহাড়ের দৌলতাবাদ দূর্গ। যাদব রাজা ভিল্লামার ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে এটি তৈরি করেন। শহর থেকে ৫ কি. মি. দক্ষিণে আছে সম্রাট ঔরঙ্গজেবের প্রথমা বেগম রাবিয়া-উদ্-দুরানীর ( Rabia Ud Durani ) সমাধিস্থল বিবি কা মকবারা ( Bibi Ka Maqbara )। আগ্রার তাজমহলের ( Tajmahal in Agra ) অনুকরণ করে এটি তৈরি। তাই অনেকে একে দক্ষিণ ভারতের তাজও ( Taj Mahal of South India ) বলেন। রোজ সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শুক্রবার ছাড়া অন্যান্য দিন টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। প্রতি অক্টোবরে MTDC আয়োজিত Bibi Ka Maqbara Annual Festival ( বাৎসরিক উৎসব ) ধুমধামের সাথে পালিত হচ্ছে। এই শহরের নবতম আকর্ষণ ছত্রপতি শিবাজী মিউজিয়ামও ( Chhatrapati Shivaji Maharaj Museum ) দেখে নিতে পারেন। খাম নদীর বাম তীরে, বেগমপুরা ব্রিজের কাছে আছে পানি চাক্কি ( Panchakki )। এটির সৃষ্টি হয়েছে ১৫৯৬ খ্রিষ্টাব্দে মালিক অম্বরের চমৎকার উদ্ভাবনী শক্তির ফলে। সেই সময় পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের তোড়ে এই বিশাল চাকিটি ঘুরিয়ে গম পেষা হতো। তবে বর্তমানে গম পেষা বন্ধ। ঔরঙ্গজেবের সুফি ধর্মগুরু বাবা শাহ মুসাফির সাহেবের শ্বেতপাথরের সমাধি তথা দরগা আছে এই পানি চাক্কি ( Panchakki) চত্বরে। চত্বরের বাগানটি সুন্দর ও জলাধারে প্রচুর মাছ আছে। টিকিট কেটে এখানে প্রবেশ করতে হয়। শহর থেকে ৭ কি. মি. উত্তরে সহ্যাদ্রি পর্বতে ( Sahyadri Hills ) দাক্ষিণাত্যের বাকাতক ও কালচুরী রাজারা তৈরি করেন ঔরঙ্গাবাদ গুহা ( Aurangabad Caves )। ১০ টি গুহা নিয়ে ২ টি ভাগে মহাযানপন্থী বৌদ্ধ চৈত্য ও বিহার গড়ে উঠেছে। ঔরঙ্গাবাদ গুহাশ্রেনী ( Aurangabad Caves ) ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্বীকৃত। ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। প্রবেশমূল্য দিতে হয়। এই গুহা থেকে ৫ কি. মি. দূরে খুলদাবাদে ( Khuladabad ) সম্রাট ঔরঙ্গজেবের সমাধি ( Tomb of Aurangjeb / Aurangazeb ) দেখে নিতে পারেন। খুলদাবাদ থেকে ১৪ কি. মি. দূরে মহিষমল পিকনিক স্পট ( Mahishmal Picnic Spot ) অবস্থিত। অত্যন্ত মনোরম পরিবেশ। সহ্যাদ্রি পর্বতের সাতমালা রেঞ্জের পিথলখোরায় চৈত্য ও বিহারের সমন্বয়ের গুহামন্দির দেখে নিতে পারেন। রিলিফের কাজ অজন্তা ও ইলোরার থেকেও সুন্দর। এছাড়াও শহরের মধ্যে আছে Salim Ali Lake ( Talab ) & Bird Sanctuary, Siddharth Garden & Zoo. ১০৮ কি. মি. দূরের সিরডিতে সাঁইবাবা মন্দির ( Saibaba Temple in Shirdi ) এবং ৮০ কি. মি. দূরে শনি ঠাকুরের ভারত বিখ্যাত মন্দির শনি সিঙ্গনাপুর অবশ্যই ঘুরে আসবেন।
How to Reach? Road Directions or Route Guide:-
→ মুম্বই থেকে আসলে বাসে করে সোজা আসা যাবে। কলকাতা-হাওড়া থেকে ট্রেনে আসতে হলে জলগাঁও নেমে পরে গাড়ি বা বাসে করে এখানে আসতে হবে। শহরের বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সিগুলো গাইড ও বাস সহযোগে কনডাক্টেড ট্যুরে অজন্তা, ইলোরা, দৌলতাবাদ, গৃষনেশ্বর, বিবিবিবিপ কা মকবারা সহ সমস্ত দর্শনীয় স্থান ঘুরিয়ে আনছেন।
Best Time to Travel:-
→ বছরের যে কোন সময়ই ভ্রমণে যেতে পারেন। তবে বেড়াবার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় হ'ল অক্টোবর মাসের শুরু থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ পর্যন্ত। এই সময় আবহাওয়া মনোরম থাকে।
Where to Stay?:-
→ থাকার জন্য আছে মহারাষ্ট্র ট্যুরিজমের ( Maharashtra Tourism ) রিসর্ট ঔরঙ্গাবাদ ( For Booking - https://mtdcrrs.maharashtratourism.gov.in ), দ্য মেডস্ রিসর্ট, জিনজার ঔরঙ্গাবাদ, হোটেল অতিথি, হোটেল গ্রান্ড কৈলাস। ( সবকয়টি হোটেলের বুকিং ফোন - 9830371744 )। এছাড়া আছে হোটেল যশোদীপ, হোটেল ক্লাসিক, হোটেল রিগাল প্লাজা, হোটেল ইরা এক্সিকিউটিভ। ( সবকয়টির বুকিং ফোন - 23607293 )।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Please, Don't Spam.
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷